Monday, March 30, 2020

জ্বর আছে শুনে স্বামীকে ঘর থেকে বের করে দিলেন স্ত্রী



বগুড়ার আদমদীঘিতে শরীরে জ্বর আছে শুনে স্বামীকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন স্ত্রী। সোমবার (৩০ মার্চ) ভোরে ট্রাকযোগে বাড়ি আসেন ওই ব্যক্তি। বাড়ি আসার পর তার শরীরে জ্বর রয়েছে এমন কথা শুনে স্ত্রী ঘর থেকে তাকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন।


জানা গেছে, আদমদীঘির কেশরতা গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে কাবিল উদ্দীন ঢাকা থেকে শরীরে জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসেন। গায়ে জ্বর থাকায় স্ত্রী তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। জ্বরের জন্য ঘর বের করে দেয়া ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা এ নিয়ে গতকাল সকাল থেকে গ্রামে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এদিকে একই গ্রামের দুবাই ফেরত দুই ব্যক্তি গত ২০ মার্চ থেকে গ্রামে এসে আত্মগোপনে রয়েছেন।


বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে জানালে গতকাল তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ানের শরণাপন্ন হন। এরপর মেডিকেল টিম নিয়ে কেশরতা গ্রামে যান।
পরে ওই তিন পরিবারের সবাইকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে বাড়িগুলোতে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা তিন পরিবারের ১৪ দিনের খাবার দায়িত্ব নেন ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান।

Thursday, March 19, 2020

করোনার চিকিৎসার ভয়ে চাকরি ছাড়লেন ৮৪ চিকিৎসক!



বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। মানুষ থেকে মানুষের ছড়িয়ে পড়ছে এ ভাইরাস। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে যথাযথ সুরক্ষা উপকরণ না থাকায় চাকরি ছেড়েছেন বুলগেরিয়ার ৮৪ ডাক্তার!

বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ার দুইটি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, হাসপাতালে ডাক্তারদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত দ্রব্যবাদী না থাকায় ওই ডাক্তার ও নার্সরা কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র দেন।
সোফিয়ার দুই হাসপাতাল থেকে চাকরি ছাড়া এক ডাক্তার ক্যামেলিয়া বাচোভস্কি বলেন, আমিসহ আমার ৮৪ সহকর্মী পদত্যাগপত্র দিয়েছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের জানালো, আমাদের করোনার রোগীদের চিকিৎসা দিতে হবে। কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা নেই।
তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ ডাক্তার বয়স্ক এবং অবসরে যাওয়ার প্রাক্কালে রয়েছেন। করোনায় বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। আমরা সুরক্ষা ছাড়া করোনা রোগীদের কী করে চিকিৎসা দেব।


তথ্যসূত্র: somoynews.tv

করোনাভাইরাস: সংক্রমণের কারণে 'লকডাউন' করা হলো মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা



করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলাকে 'লকডাউন' করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

শিবচর উপজেলার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামসুদ্দিন খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, শিবচর উপজেলায় শুধু ঔষধের দোকান এবং অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে। এছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ থাকবে।

মি. খান বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। এ সময়ের মধ্যে শিবচর উপজেলায় থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না এবং সেখান থেকে বেরও হতে পারবেন না।

মানুষ যাতে অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে রাস্তায় পুলিশী টহল থাকবে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে বলে জানান তিনি।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম জায়গা যেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য লকডাউন করা হলো।

এই উপজেলায় সম্প্রতি ৬৩৯ মানুষ ইটালি, গ্রিস, স্পেন কিংবা জার্মানি থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

শিবচর উপজেলা লকডাউন করা হতে পারে - এমন ইঙ্গিত বিকেলেই দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত যাদের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হয়েছে তারা মাদারীপুর, ফরিদপুর এবং শিবচর এলাকার বাসিন্দা।

"দুই একটা এলাকার কথা আমাদের খবরে আসে। তার মধ্যে হলো মাদারীপুর এরিয়া, ফরিদপুর এরিয়া বা ঐ শিবচর এরিয়া। এ সমস্ত এরিয়াতে বেশি করে দেখা দিচ্ছে। যদি অবনতি ঘটে, তাহলে পরে আমরা লকডাউনের দিকে যাব," সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, এসব এলাকায় তুলনামূলকভাবে বেশি আক্রান্তের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যে ১৭ জনের দেহে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই এসব এলাকার বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

"আমরা যেটা খবর পাই, ওখানকার লোক কোয়ারেন্টিনেও বেশি, বিদেশে থাকেও বেশি। সেজন্য এসব জায়গাকে আমরা মোর ক্রিটিক্যাল (বেশি ঝুঁকিপূর্ণ) মনে করি। আগামীতে যদি ওখানে সত্যিই বেড়ে যায়, তাহলে আমরা লকডাউন করবো," বলেন মি. মালেক।

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে যে মাদারীপুর এবং ফরিদপুরের বহু বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী। ইতালিতে করোনাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার সময় অনেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, পুরো বাংলাদেশে এখন ৫০০০'র বেশি মানুষকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।


তথ্যসূত্র: bbc.com

আদমদীঘিতে পুলিশের করোনা বিষয়ে সর্তকতামূলক লিফলেট বিতরণ


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে গনসচেতনতা সৃষ্ঠির লক্ষে বগুড়ার আদমদীঘি থানা পুলিশের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এরশাদুল হক এরশাদ ও থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীনের নেতৃত্ব পুলিশ আদমদীঘি সদর বাসস্ট্যান্ড, সান্তাহার পৌরসভাসহ বিভিন্ন জনবহুল গুরুত্বপূর্ন এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার প্রদত্ত করোনা সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করতে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেট বিতরণ কালে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক, সান্তাহার ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আনিছুর রহমানসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।

কীটনাশক পান করে কিশোরীর মৃত্যু


বগুড়ার আদমদীঘির বিহিগ্রামে কীটনাশক পানে সাদিয়া পারভিন (১৩) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। সাদিয়া ওষুধ ভেবে ভুল করে জমিতে দেয়া কীটনাশক পান করে বলে স্বজনরা জানান। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাদিয়া পারভিন উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির বিহিগ্রামের আইয়ুব হোসেনের মেয়ে। গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাদিয়া ভুল করে বাড়ীতে থাকা কীটনাশক পান করে। এরপর তাকে প্রথমে আদমদীঘি ও পরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার মাধ্যমে কিছুটা সুস্থ হলে সোমবার দুপুরে চিকিৎসক ছাড়পত্র দেন। বাড়িতে আনার পর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সাদিয়া মারা যায়।
আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন জানান, কিশোরী মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।


তথ্যসূত্র:kalerkantho.com

Wednesday, March 18, 2020

বাংলাদেশে করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু



করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ আছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পুরুষ, তার বয়স ৭০। ওই ব্যক্তি খুবই উচ্চ-ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ফুসফুসের সমস্যা ও কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। তার হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বিদেশে যান নাই, কিন্তু বিদেশ ফেরত ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন।
ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা আরো বলেন, সংক্রমণ রয়েছে এই সন্দেহে ১৬ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪২ জন। যে চারজন নতুন রোগী সংযোজিত হয়েছে; এদের মধ্যে একজন নারী, তিনজন পুরুষ। তাদের মধ্যে একজন পূর্বে আক্রান্ত এক ব্যক্তির পরিবারের সদস্য। বাকি তিনজন বিদেশ থেকে ভ্রমণ করে এসেছেন। এদের মধ্যে দুইজন ইটালি থেকে এসেছেন, আরেকজন কুয়েত থেকে এসেছেন।
করোনা প্রতিরোধে সাবধানতার পাশাপাশি জনসমাবেশ বন্ধের আহ্বানও জানান আইইডিসিআরের এ পরিচালক। বিপণী বিতান, শপিংমলে না যেতেও অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে, সংক্রমণ বেড়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ পর্যায়ে রয়েছে এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানান সেব্রিনা ফ্লোরা। এখন পর্যন্ত সবই পারিবারিক সংক্রমণ ঘটেছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

Monday, March 16, 2020

করোনায় আক্রান্তদের বাড়ি ভাড়াসহ সব দায়িত্ব নিলেন জাস্টিন ট্রুডো



কানাডায় করোনা আক্রান্তদের বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে জনগণের সব দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার সংবাদমাধ্যম সিটিনিউজ১১৩০ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো নিজে ও তার স্ত্রী সোফিয়া ১৪ দিনের আইসোলেশনে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শরীরের এখনো করনো ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেনি। এছাড়া স্ত্রী সোভি করোনায় আক্রান্ত হলেও তার অবস্থা স্থিতিশীল।
এর মধ্যে ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় খুব শিগগিরই তার সরকার ‘সিগনিফিক্যান্ট ফিসক্যাল স্টিমুলাস’ নামে একটি বিশেষ প্যাকেজ চালু করতে যাচ্ছে। এ প্যাকেজটি গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়া ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে বাড়ি ভাড়া, মুদি কেনাকাটা বা শিশুদের অতিরিক্ত সেবায় অর্থ খরচ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা কানাডিয়ানদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করব।
তিনি আরও বলেন, আপনারা নিজের স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, সঞ্চয়, বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে চিন্তিত আছেন। আমি জানি, (করোনার কারণে) বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে আপনার অনিশ্চয়তায় আছেন। আপনাদের নিরাপদ রাখতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তাতে দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে। তবে এটা সত্য যে, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন যে অবস্থানে আছি তা আপনাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট।
আমরা মানি যে আমাদের আরও অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। আমরা চাই না কোনো কানাডিয়ান বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন কি-না, বাজার-ঘাট করতে পারবেন কি-না, বা তাদের ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করতে পারবেন কি-না, এটা নিয়ে চিন্তা করুক,’ যোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কানাডায় ৩৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১১ জন।


তথ্যসূত্র:প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো নিজে ও তার স্ত্রী সোফিয়া ১৪ দিনের আইসোলেশনে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শরীরের এখনো করনো ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেনি। এছাড়া স্ত্রী সোভি করোনায় আক্রান্ত হলেও তার অবস্থা স্থিতিশীল।
এর মধ্যে ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় খুব শিগগিরই তার সরকার ‘সিগনিফিক্যান্ট ফিসক্যাল স্টিমুলাস’ নামে একটি বিশেষ প্যাকেজ চালু করতে যাচ্ছে। এ প্যাকেজটি গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়া ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে বাড়ি ভাড়া, মুদি কেনাকাটা বা শিশুদের অতিরিক্ত সেবায় অর্থ খরচ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা কানাডিয়ানদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করব।
তিনি আরও বলেন, আপনারা নিজের স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, সঞ্চয়, বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে চিন্তিত আছেন। আমি জানি, (করোনার কারণে) বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে আপনার অনিশ্চয়তায় আছেন। আপনাদের নিরাপদ রাখতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তাতে দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে। তবে এটা সত্য যে, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন যে অবস্থানে আছি তা আপনাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট।
আমরা মানি যে আমাদের আরও অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। আমরা চাই না কোনো কানাডিয়ান বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন কি-না, বাজার-ঘাট করতে পারবেন কি-না, বা তাদের ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করতে পারবেন কি-না, এটা নিয়ে চিন্তা করুক,’ যোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কানাডায় ৩৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১১ জন।


তথ্যসূত্র:প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো নিজে ও তার স্ত্রী সোফিয়া ১৪ দিনের আইসোলেশনে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শরীরের এখনো করনো ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেনি। এছাড়া স্ত্রী সোভি করোনায় আক্রান্ত হলেও তার অবস্থা স্থিতিশীল।
এর মধ্যে ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় খুব শিগগিরই তার সরকার ‘সিগনিফিক্যান্ট ফিসক্যাল স্টিমুলাস’ নামে একটি বিশেষ প্যাকেজ চালু করতে যাচ্ছে। এ প্যাকেজটি গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়া ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে বাড়ি ভাড়া, মুদি কেনাকাটা বা শিশুদের অতিরিক্ত সেবায় অর্থ খরচ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা কানাডিয়ানদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করব।
তিনি আরও বলেন, আপনারা নিজের স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, সঞ্চয়, বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে চিন্তিত আছেন। আমি জানি, (করোনার কারণে) বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে আপনার অনিশ্চয়তায় আছেন। আপনাদের নিরাপদ রাখতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তাতে দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে। তবে এটা সত্য যে, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন যে অবস্থানে আছি তা আপনাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট।
আমরা মানি যে আমাদের আরও অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। আমরা চাই না কোনো কানাডিয়ান বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন কি-না, বাজার-ঘাট করতে পারবেন কি-না, বা তাদের ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করতে পারবেন কি-না, এটা নিয়ে চিন্তা করুক,’ যোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কানাডায় ৩৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১১ জন।



তথ্যসূত্র:somoynews.tv

ইতালি যেন মৃত্যুপুরী, একদিনেই করোনা কেড়ে নিল ৩৬৮ প্রাণ



ইতালিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে নতুন করে আরও অন্তত ৩৬৮ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৮০০ জন। আক্রান্ত প্রায় ২৪ হাজার ৭৫০ জন।

দেশব্যাপী করোনা ছড়িয়ে পড়ায় এবার বন্ধ করে দেয়া হলো ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। ইতালির জাহাজ নির্মাণ শিল্পের প্রায় ২০ শতাংশের উপরে মালিকানা প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
ইতালিতে এবার দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেয়া হলো বড় বড় সব শিল্প প্রতিষ্ঠান। সোমবার থেকে আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে। উত্তর ইতালির মদেনায় অবস্থিত ফেরারি, ভেনিস, মন ফালকনে, নাপলী, আনকোণায় অবস্থিত খ্যাতিমান জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোসহ সমগ্র ইতালির অধিকাংশ ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান এর আওতায় পড়েছে।
দেশটিতে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের প্রায় ২০ শতাংশের উপরে মালিকানা বাংলাদেশি প্রবাসীদের। বিলিয়ন ইউরোর এসব প্রতিষ্ঠানে সমগ্র ইতালিতে কর্মরত প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি।
এখন কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশিদেরও থাকতে হবে হোম কোয়ারেন্টাইনে।


তথ্যসূত্র:somoynews.tv

আদমদীঘিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভ্যান চালকের মৃত্যু


বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে চার্জার ভ্যানের চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে হারুন অর রশিদ (৫১) নামের এক ভ্যানচালক মারা গেছেন। গত শনিবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হারুনের বাড়ি সান্তাহার পৌর এলাকার পোঁওতা মহল্লায়।

পরিবারের সদস্যরা জানান, বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হওয়ার পর হারুনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আব্দুল ওয়াদুদ ভ্যানচালকের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।


তথ্যসূত্র:www.kalerkantho.com

করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে দুই শিশুসহ আরো তিন জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত



বাংলাদেশে আরো তিন জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ জনে।

এই আক্রান্তদের মধ্যে এক নারী ও দুই শিশু রয়েছেন। এরা দ্বিতীয় দফায় শনাক্ত হওয়া দুজনের মধ্যে এক জনের পরিবারের সদস্য। ওই দুজনেই সম্প্রতি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন।

নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা একথা জানান।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, "একজন রোগীর পরিবারের সদস্য ছিল। তাদের যেহেতু কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করার সময় ওই রোগীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপসর্গ পাওয়া যায়। পরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়"।

নতুন আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এদের লক্ষণ-উপসর্গ মৃদু। তাদের শারীরিক অবস্থা ভাল। কিন্তু তাদের কাছ থেকে যাতে অন্যদের মধ্যে জীবাণু ছড়িয়ে না পড়ে তা ঠেকাতে তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে তিন জন সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। আর বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ৫ জন।

এছাড়া এখনো আইসোলেশনে রয়েছেন আরো ১০ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের রয়েছেন ৪ জন।

যারা বাইরে থেকে আসছে তারা যাতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের থেকেও দূরত্ব বজায় রাখেন সে বিষয়ে আবারো অনুরোধ জানানো হয়।

নমুনা দিতে বা করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ নিয়ে সেবা পেতে কাউকে আইইডিসিআর এর কার্যালয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

এর পরিবর্তে হটলাইনে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রয়োজন মনে হলে আইইডিসিআরের সদস্যরাই গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করবেন বলে জানান তিনি।

তথ্যসূত্র:bbc.com

করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে স্কুল-কলেজ দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ



করোনাভাইরাসের সতর্কতার অংশ হিসেবে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়।

এর আগে করোনাভাইরাসের সতর্কতার অংশ হিসেবে দশ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

আগামী বুধবার থেকে শুরু হয়ে ২৮শে মার্চ পর্যন্ত টানা ১০ দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ চেয়ে অনশন ও মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থীরা। অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচীও পালন করে।

বিস্তারিত আসছে....


তথ্যসূত্র: bbc.com

Saturday, March 14, 2020

যে কারণে আমেরিকায় করোনার ঝুঁকি বেশি


আমেরিকাজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৩ মার্চ হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে ইউরোপীয় দেশ থেকে আমেরিকায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ট্রাম্প।

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময় করোনা ঠেকাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য তহবিল ঘোষণা করেন ট্রাম্প। আমেরিকায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪০ জন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা ঝুঁকি সত্ত্বেও অনেক মানুষ চিকিৎসকের কাছে যাবেন না। কারণ আমেরিকায় ১০ মিলিয়নের বেশি মানুষের স্বাস্থ্যবিমা বা এ দেশে থাকার বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তাই তাঁরা দরকার থাকলেও স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারছে না। এ কারণে এই দেশের প্রতিটি মানুষ করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন।

সেবাস্তিয়ান নামের এক ব্যক্তির হাতের ত্বক শুষ্ক হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ফেটেও গেছে। হাত অতিরিক্ত ধোয়ার কারণেই এমন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় হাত ধুয়ে নিই। এটা এখন অভ্যাস। কারণ ছোটবেলা থেকে জানি, যদি আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি, তাহলে কোনো চিকিৎসকের কাছে যেতে পারব না।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেবাস্তিয়ান মাত্র তিন বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় আসেন। আমেরিকায় বৈধ কাগজপত্রবিহীন প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে এই সেবাস্তিয়ান একজন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নেই মানেই দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবার কোনো সুযোগ নেই।

সেবাস্তিয়ান বলেন, ‘আমি চিকিৎসকের কাছে যাই না। যদি কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ি, তাহলে মা ঘরেই নানা টোটকা দিয়ে তা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করতেন। বেশি অসুস্থ হলেই স্কুল ফাঁকি দিতে হতো।’

সম্প্রতি সেবাস্তিয়ানের এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ বিষয়ে সেবাস্তিয়ান বলেন, সব খবরই তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেখছে। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের কিছুই করার নেই। তিনি বলেন, ‘বৈধ কাগজপত্রবিহীন হওয়ায় মেডিকেলে যাওয়াটা অনেক কঠিন এখানে। তারপরও যদি যেতে হয়, তাহলে দেশ থেকে বহিষ্কার করে দেওয়ার ঝুঁকি থাকে। আমার পরিবার অপরাধী নয়, তবে এটা ঠিক আমাদের বৈধ কাগজপত্র নেই। এ কারণেই আমাদের চিকিৎসকের কাছে যাওয়াটা অনেক ভয়ের ব্যাপার।’

আমেরিকায় বৈধ কাগজপত্র থাকুক আর না থাকুক, যে কারও জন্যই দেশটিতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াটা অনেক ব্যয়বহুল ব্যাপার। আমেরিকায় প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষের কোনো স্বাস্থ্যবিমা নেই। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সময় নানা কারণে সংখ্যাটা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আর স্বাস্থ্যবিমা ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে তাদের খরচ হয় কয়েক শ ডলার।

২৮ বছর বয়সী লিসা রুবিও চাকরি করার কারণে স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা পান। তিনি বলেন, ‘ফ্লুর সময়ে আমরা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ ক্ষেত্রে আমার শিশু সন্তানকে চেক করার জন্য প্রতিবার চিকিৎসককে ১০০ ডলার করে দিতে হয়। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে কাশির কারণে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু চিকিৎসক বলেছেন, এটা ভাইরাসের কারণে। তাই কোনো ওষুধ প্রেসক্রাইব করা যাচ্ছে না। চিকিৎসক প্রেসক্রাইব না করলেও কিন্তু বিমা থেকে তাঁর বিল কেটে নেওয়া হবে।

গত বছর পর্যন্ত লিসার কোনো স্বাস্থ্যবিমা ছিল না। গত বছরই লিসা এ কারণে মহাবিপদে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। বুকে খুব ব্যথা হয়েছিল। কিন্তু আমার বিমা সুবিধা ছিল না। তাই অর্থ খরচের ভয়ে এই ব্যথা বারবার এড়িয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এর দুই সপ্তাহ পর একদিন মধ্যরাতে আমার ফুসফুস কাজ করা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে আমাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সে সময় চিকিৎসক বলেছিলেন, ব্যথা নিয়ে যদি আগেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতাম তাহলে এমনটা হতো না।’
আমেরিকায় জনস্বাস্থ্য কর্মীদের যেকোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। করোনার এই সংকটের কারণে তা আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে। এ ছাড়া আমেরিকায় এ ধরনের কোনো কর্মীকে বেতনসহ অসুস্থতাজনিত ছুটি দেওয়ার বিধান নেই।

দাতব্য সহায়তায় পরিচালিত একটি মোবাইল ক্লিনিকের পরিচালক ও চিকিৎসক রবি গ্রাভোস শাহ বলেন, ‘আমি রোগীদের নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। কারণ তাঁরা অসুস্থ অবস্থায় এসে সামান্য চিকিৎসা নিয়েই আবার কর্মক্ষেত্রে ফিরে যান। কারণ এ ছাড়া তাঁদের আর কোনো উপায় নেই। তাঁদের খাবারসহ যাবতীয় খরচের অর্থ জোগানেরও ওই কাজ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। করোনাভাইরাসের এই সময়েও এই পরিস্থিতির হয়তো কোনো পরিবর্তন হবে না।’

টাকসন এলাকায় দাতব্য সহায়তায় পরিচালিত এই মোবাইল ক্লিনিকে সপ্তাহে প্রায় ৫০ জন রোগীর চিকিৎসা করানো হয়। যারা অন্য মেডিকেলে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য রাখেন না, তাঁরাই এই ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।

রবি গ্রাভোস শাহ আরও বলেন, করোনাভাইরাস আসার আগে অসংখ্য রোগী এইচআইভি ও অন্যান্য যৌন রোগের লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা করাননি। স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা নেই বলেই তাঁরা এই জটিল রোগ নিয়েও তা এড়িয়ে গেছে। ফলে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমেরিকায় জনস্বাস্থ্য সংকটের এটা একটা বড় উদাহরণ হতে পারে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মতো ভয়াবহ এই ভাইরাস আসার পরও এই পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই করোনাভাইরাসের সময়ও কোটি মানুষ স্বাস্থ্যবিমা নেই বলে চিকিৎসা না নেয়, তাহলে এর পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে। হয়তো আমেরিকার প্রতিটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন।

তথ্যসূত্র:prothomalo.com

করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে আরো দু'জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত, ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ স্থগিত



আগামীকাল (রবিবার) মধ্যরাত থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ইংল্যান্ড বাদে ইউরোপের সব দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এর আগে ঐ একই সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিশ্চিত করেন যে বাংলাদেশে আরো দু'জন নতুন ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে কোথায় বা কারা সনাক্ত হয়েছেন তা বলা হয়নি। শুধু জানানো হয়েছে, এরা দুজনই বিদেশ থেকে এসেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ভারত, সৌদি আরবের মত অনেক দেশই তাদের দেশে বিদেশ থেকে যাত্রী প্রবেশ স্থগিত করেছে।"

"ইংল্যান্ড বাদে ইউরোপের সব দেশ এবং যেসব দেশে করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিকভাবে বেশি সেসকল দেশ থেকে সব যাত্রী বাংলাদেশে আসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।"

তিনি বলেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন ইউরোপকে করোনাভাইরাসের এপিসেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।"

তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিক বেশি থাকার কারণে ইউরোপের বাইরে অন্যান্য মহাদেশের কোনো নির্দিষ্ট দেশকে চিহ্নিত করা হয়েছে কিনা, সেবিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

কিন্তু সেসব দেশ থেকে আসা বিদেশী যাত্রীর পাশাপাশি বাংলাদেশি নাগরিকদেরও ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতেই হবে বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

রোববার রাত থেকে শুরু করে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণের পর এবিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান পররাষ্টমন্ত্রী আবদুল মোমেন।

এছাড়া যেসব দেশ বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে যাওয়া বাতিল করেছে, সেসব দেশের নাগরিকদেরও বাংলাদেশে প্রবেশ স্বল্পকালীন সময়ের জন্য স্থগিত করা হবে বলে জানান তিনি।

পররাষ্টমন্ত্রী আরো বলেন, "আমার অনেকগুলো দেশকে অন অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে থাকি। আগামী দু্ সপ্তাহের জন্য সেসব দেশের অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা স্থগিত করা হবে।"

এসব সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে দূতাবাসগুলোকে জানারন্ হয়েছে এবং এর বাস্তবায়নের স্বার্থে নীতিমালা নির্ধারণ করার কাজ চলছে।


তথ্যসূত্র:www.bbc.com

Thursday, March 12, 2020

SpaceX could launch its first astronauts in under two months


This SpaceX illustration shows Crew Dragon with its thrusters firing.

SpaceX


It's been nearly a decade since astronauts last began begun a journey to space from American soil, and now SpaceX says they hope to change that this May.

Elon Musk's rocket company has been working toward launching astronauts to the International Space Station aboard its Crew Dragon spacecraft as part of NASA's Commercial Crew program. On Tuesday, SpaceX Chief Operating Officer Gwynne Shotwell said it's "gunning for May" for the company's first ever launch of humans atop one of its Falcon 9 rockets.

Shotwell was speaking to reporters Tuesday at the Satellite 2020 conference in Washington, D.C., CNBC reported. The conference has since been cut short by concerns over coronavirus and closed early on Wednesday.

The pioneering Crew Dragon launch is currently set for May 7 from Florida's Kennedy Space Center, according to industry website SpaceFlight Now. NASA astronauts Doug Hurley and Bob Behnken will make the journey to the ISS aboard the new spaceship, which has already successfully flown to the ISS and back with a dummy aboard.

In his own appearance at Satellite 2020 Monday, Musk said that SpaceX and NASA engineers have put Crew Dragon through a "staggering" amount of testing in preparation for carrying its first crew.


If it succeeds in May, the Crew Dragon mission will come just as NASA is running out of orbital flights booked on Russian Soyuz vehicles, which have been ferrying astronauts to space ever since the Space Shuttle program ended in 2011.

"Why does Soyuz still fly?" Musk asked rhetorically on stage Monday. "It was designed in the 50s... It's a solid vehicle, it's just, like, it's time to move on."

If the remaining testing goes well and NASA signs off, we could finally be moving on to a new era of human spaceflight within about eight weeks.


তথ্যসূত্র:www.cnet.com

Wednesday, March 11, 2020

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস: আক্রান্ত তিনজনের দুইজনকেই ছাড়পত্র দেয়া হবে, আইইডিসিআর



বাংলাদেশে যে তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে দু'জনের শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ আইইডিসিআর'এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, "যে তিনজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিল, তাদের দু'জনকে গতকাল (মঙ্গলবার) পরীক্ষা করে আমরা নেগেটিভ পেয়েছি।"

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী ঐ দু'জনকে ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

করোনাভাইরাস ম্যাপ
"পরপর দু'দিন পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসলে বা কারো শরীরে কোভিড-১৯'এর উপস্থিতি না পেলে আমরা তাকে সুস্থ ঘোষণা করতে পারি এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিতে পারি।"

গত রবিবার আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৩জন রোগী শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে, যাদের মধ্যে দু'জন সম্প্রতি ইতালি থেকে এসেছেন।

আক্রান্তদের বয়স বিশ থেকে পয়ত্রিশ বছরের মধ্যে বলে জানানো হয়েছিল।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের আজ আরেক দফা পরীক্ষা করে তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে কিনা সেবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।

আইইডিসিআরের পরিচালক জানান এখন পর্যন্ত সর্বমোট ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছেন তারা এবং দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশনে বা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছে আট জনকে।

সংবাদ সম্মেলনে কোয়ারেন্টিন করার খুঁটিনাটি বিষয়েও আলোচনা করেন আইইডিসিআরের পরিচালক।

তিনি বলেন, "কোয়ারেন্টিন হিসেবে আমরা মূলত ১৪ দিন বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেই। যেসব দেশে বড় আকারে আউটব্রেক রয়েছে, সেসব দেশ থেকে যারা আসবেন তাদেরকে অন্তত ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলছি।"

তবে যারা অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনীয় কাজে বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কাজ ছাড়া অন্যান্য সময় স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিন করার অনুরোধ করেন তিনি।

"স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিন বা সেল্ফ কোয়ারেন্টিন বলতে বুঝাচ্ছি যে কাজের সময়টা বাদে অন্যান্য সময় যেন তারা জনসমাগম এড়িয়ে চলেন এবং ভাইরাস যেন না ছড়ায় সেই সতর্কতা অবলম্বন করেন। কাজের সময়টুকুতেও তারা যেন বিশেষভাবে সতর্ক থাকেন, সেই অনুরোধ করবো আমরা।"


তথ্যসূত্র: bbc.com

করোনাকে মহামারী ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার



করোনা ভাইরাসকে মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি এই মহামারীকে প্যানডেমিক হিসেবে বর্ণনা করেছে। যে রোগ একই সময়ে বিভিন্ন দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে তাকে প্যানডেমিক বলা হয়। বুধবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘোষণা আসে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ ড. টেড্রোস আধানোম গেব্রেসাস বলেন, চীনের বাইরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা গত দুসপ্তাহে অনেক ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, সংক্রমণের এই আশঙ্কাজনক অবস্থা নিয়ে তিনি সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন।
তিনি আরো বলেন, যদিও এখনো খুব বেশে দেরি হয়ে যায়নি। পৃথিবীজুড়ে দেশগুলোর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ পরিষ্থিতি বদলে দিতে পারে।
এদিকে, করোনা ভাইরাসে বুধবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মারা গেছেন ৪ হাজার ২৫৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত ৬৬ হাজার ৬১৭ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।
বিশ্বের ১১১টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়েছে। শুধু চীনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৫৪। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৩৬ জনের।
চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ১৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৩১ জনের। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার মানুষ।
অপরদিকে ইরানে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৪২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৯১ জন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে নতুন করে আরও ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জন হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশে নতুন করে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এছাড়া আগের যে তিনজন এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন মঙ্গলবার (১০ মার্চ) তাদের পুনঃপরীক্ষা করে ফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে। তারা এখন সুস্থ। শিগগিরই তাদের ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে জানান তিনি।


তথ্যসূত্র: somoinews.tv

Tuesday, March 10, 2020

করোনা কেড়ে নিল ব্রিটিশ-বাংলাদেশির প্রাণ


ব্রিটেনে রবিবার যে তৃতীয় ব্যক্তি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন, তিনি একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি। সংক্রমণ ধরা পড়ার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ম্যানচেস্টারের এক হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার ছেলে বিবিসি বাংলার মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে বর্ণনা করেছেন কীভাবে ইতালিতে বেড়াতে গিয়ে তার বাবা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন:

‘প্রতি বছরের শুরুতে আমার বাবা ইতালিতে বেড়াতে যান দুই-তিন সপ্তাহের জন্য। এটা তার একটা প্রিয় বেড়ানোর জায়গা। কারণ বহু বছর তিনি ইতালিতে ছিলেন। ১৯৮৯ সালে তিনি বাংলাদেশ থেকে ইতালি আসেন। তখন তিনি বয়সে তরুণ।

উত্তর ইতালির যে শহরে আমরা থাকতাম সেটা মিলান থেকে ৫০ মাইল দূরে। সেখান থেকে সুইটজারল্যান্ডের সীমান্তও বেশি দূরে নয়। বহু বছর আমরা সেখানে ছিলাম। আমার জন্ম সেখানেই। বড় হয়েছি সেখানে।

পাঁচ-ছয় বছর আগে আমরা পাকাপাকিভাবে ব্রিটেনে চলে আসি। আমরা থাকি ম্যানচেস্টারের কাছে। কিন্তু আমার বাবা ইতালিতে বেড়াতে যেতে পছন্দ করতেন। আমরাও প্রতি বছর গ্রীষ্মে পরিবারের সবাই মিলে সেখানে বেড়াতে যেতাম। তবে বাবা প্রতি বছরের শুরুতে নিয়ম করে বেড়াতে যেতেন ইতালিতে তার পুরোনো শহরে। এবছরও গিয়েছিলেন।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তিনি সেখানে যান। তখনও ইতালিতে করোনাভাইরাস এত ব্যাপকভাবে ছড়ানোর কথা শোনা যায়নি। কিন্তু তিনি যে দুই সপ্তাহ ইতালিতে ছিলেন, তার মধ্যেই পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়। ব্যাপকভাবে সেখানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।

ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ বাবা ফিরে এলেন ইতালি থেকে। তখনও তিনি সুস্থ। কিন্তু তিন দিন পর সব যেন ওলট-পালট হয়ে গেল।

মার্চের তিন তারিখ, মঙ্গলবার। সেই মঙ্গলবারটা ছিল আর যেকোনো দিনের মতোই। আমাদের বাড়ির কাছে যে হেলথ সেন্টার, বাবা সেখানে গিয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে। এই অ্যাপয়েন্টমেন্টটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।

বাবার বয়স ছিল ৬০ বছর। তার নানা ধরনের অসুস্থতা ছিল, যা নিয়ে তিনি বেশ ভুগছিলেন। কোলেস্টরেল, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট। তবে এসবের পরও তিনি মোটামুটি ভালোই ছিলেন। তিনি একশোভাগ সুস্থ ছিলেন, এটা বলা যাবে না, কিন্তু মোটামুটি ভালো ছিলেন।

করোনাভাইরাস নিয়ে যেহেতু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল, তাই আমি কিছু মাস্ক কিনেছিলাম। আমি আমার মা-বাবাকে বললাম, বাইরে যাওয়ার সময় যেন তারা মাস্ক পরে বের হন।

গত মঙ্গলবার বাড়ির কাছের হেলথ সেন্টারে যখন বাবা গেলেন, তখন ডাক্তার এবং নার্সরা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন তিনি মাস্ক পরে আছেন। তিনি বললেন, মাত্র দুদিন আগে তিনি ইতালি থেকে এসেছেন।

সাথে সাথে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো। তাকে আলাদা করে ফেলা হলো। নর্থ ম্যানচেস্টার জেনারেল হাসপাতাল থেকে একটা জরুরি দল চলে এলো। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো।

তার সঙ্গে আমাদের সেদিনই শেষ দেখা। আমরা বুঝতে পারিনি যে আর কোনোদিন তার সঙ্গে আর দেখা হবে না।

হাসপাতালে প্রথম কয়েকদিন তিনি বেশ ভালোই ছিলেন। কিন্তু তারপর ডাক্তাররা বলছিলেন, তার রক্তে যথেষ্ট অক্সিজেন যাচ্ছে না। তার হার্টবিট অনিয়মিত। এভাবেই চলছিল কয়েকদিন। তারপর রবিবার তিনি মারা গেলেন।

এদিকে বাড়িতে আমাদেরও রীতিমত আলাদা করে রাখা হয়েছিল। আমরা ঘর থেকে বেরুতে পারছিলাম না। কোথাও যেতে পারছিলাম না। বাবার খবরাখবর আমরা পেতাম টেলিফোনে।

যে ওয়ার্ডে তাকে রাখা হয়েছিল, সেখানে আমরা ফোন করতাম। সেখান থেকেই আমরা খবর পেতাম। আমরা তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারতাম না।

রবিবার সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন এলো আমাদের কাছে। তারা বললো, আধ ঘণ্টা আগে বাবা মারা গেছেন। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। খবরটা শুনে ধাতস্থ হতে আমার কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছিল। আমার বাবাকে আমি আর কোনোদিন দেখতে পাবো না!

এরকম একটা খবর যখন আপনি পান, সেটা বুঝতেই আপনার অনেক সময় লেগে যায়। আমি ছিলাম শোকাহত। আমাদের বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গেল।

বাবার মৃত্যুর খবর পেলেও আমরা কিছুই করতে পারছি না, কোথাও যেতে পারছি না। কারণ আমাদের সবাইকে 'আইসোলেশনে' রাখা হয়েছে। প্রতিদিন পাবলিক হেলথ ইংল্যাণ্ড থেকে আমাদের সবার কাছে টেক্সট আসে। তারা জানতে চায়, আমাদের সব ঠিক আছে কি না। আমাদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো লক্ষণ আছে কি না। প্রতিদিন আমাদের সেই টেক্সটের জবাব দিতে হয়। এখন পর্যন্ত আমরা সবাই ভালো আছি। আমাদের কারো মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই।

আমরা এক সপ্তাহ এই অবস্থায় আছি। আরও এক সপ্তাহ থাকতে হবে।

আমরা যেহেতু আইসোলেশনে আছি, তাই আমার বাবার জানাজা বা দাফন কোনো কিছুই করতে পারছি না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা লাশ আরও কিছুদিন মর্গে রেখে দেবে । আরও এক সপ্তাহ পর যখন আমাদের মুক্তি মিলবে, তখন আমরা বাবার জানাজা, দাফন এগুলোর আয়োজন করতে পারবো।

আমরা এখনো জানি না, তার জানাজা-দাফন এগুলো আমরা স্বাভাবিকভাবে করতে পারবো কি না। কারণ তিনি তো স্বাভাবিকভাবে মারা যাননি। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড যা বলে, সেই মতই আমাদের কাজ করতে হবে।

মাত্র দুই মাস আগেও আমরা জানতাম না করোনাভাইরাস জিনিসটা কী, এই ভাইরাসটাই ছিল না। এখন এই ভাইরাস আমার বাবাকে কেড়ে নিল।

-বিবিসি বাংলা

করোনার স্থায়ী প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের


বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিরাময়ে এখনও কার্যকর কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বিজ্ঞানীরা প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি আমেরিকান বিজ্ঞানীদের একটি দল গবেষণাগারে নতুন একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। যেটা করোনাভাইরাসের স্থায়ী সমাধান হতে পারে।

তাইওয়ান নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এ গবেষণা থেকে পাওয়া ফল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণাগারে পাঠানো হবে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে এটা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে অভিহিত করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণার সময় তারা হঠাৎ লক্ষ করে দেখেন যে ল্যাবের পরীক্ষণ থালাটিতে কোভিড-১৯ ভাইরাসের ওপরে এই টিকা কাজ করছে। টিকার সংস্পর্শে ভাইরাসটি অস্থির আচরণ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটস-এ সপ্তাহব্যাপী ঘন্টার পর ঘন্টা এটা নিয়ে গবেষণা করার পরে, ইঁদুরের ওপর মূল পরীক্ষাটি চালানো হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে এই ভ্যাকসিন ইঁদুরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

ভ্যাকসিনটির উন্নয়নের নেতৃত্ব দেওয়া এনআইএইচ এর গবেষণা সহযোগী কিজমেকিয়া কর্বেট বলেছেন, যখন তার দল ইতিবাচক ফলাফলের কথা পাঠিয়েছিল, তখন এটি সবার জন্য একেবারে আশ্চর্যজনক ছিল। সবাই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল।

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য বিশ্বজুড়ে ১২টিরও বেশি বিজ্ঞানী দল কাজ করে চলেছে। এই জন্য তারা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ধরণের ভ্যাকসিনগুলি তৈরির প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। দ্রুততম সময়ে তারা কিছু একটা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। তারা যে সব ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে নতুন আবিষ্কার হওয়া এই ভ্যাকসিন তারচেয়ে অধিক কার্যকরি হতে পারে বলে আশাবাদি বিজ্ঞানীরা। কিছু কিছু বিজ্ঞানীরা শর্ট কিছু আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন যেটা এক বা দুই মাসের জন্য হলেও মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে পারে। তবে নতুন এই ভ্যাকসিনটি করোনার স্থায়ী সমাধান হতে পারে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

তবে পেন প্রেসবিটারিয়ান মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান ডঃ জুডিথ ওডনেল সাবধান করে বলেছিলেন, যতক্ষণ না আমরা এগুলি মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করতে পারছি, ততক্ষণ আমাদের এই ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা কী হবে সে সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়।

প্রথমে অল্প সংখ্যক যুবক, সুস্বাস্থের অধিকারী স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে শীঘ্রই পরীক্ষা করা শুরু হবে। তবে এই পরীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করবেন তাদের শরীরে ভাইরাসটির প্রবেশের কোন সম্ভাবনা নেই, কারণ এই ভ্যাকসিনের মধ্যে ভাইরাসটি নেই। নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করা উচিত যে, মানবদেহে ভ্যাকসিনগুলি কোনও উদ্বেগজনক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখায় কি-না। মানবদেহে ব্যবহারের জন্য এই ভ্যাকসিনগুলি সুরক্ষিত কি-না সেটা বৃহত্তর পরীক্ষায় নির্ধারিত হবে।

প্রথমে এটা সিয়াটেলে ওয়াশিংটন স্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরপরে, ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী মাসে পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক ডজন স্বেচ্ছাসেবক এবং মিসৌরির কানসাস সিটিতে একটি পরীক্ষামূলক কেন্দ্রে ভ্যাকসিন প্রার্থীদের ওপর প্রয়োগ করা হবে। তারপরে চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় একই রকম গবেষণা চালানো হবে।

প্রাথমিক সুরক্ষা পরীক্ষা ভাল ফলাফল পাওয়া গেলে, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে এটা বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যে কোন নতুন ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে ব্যবহারের এই সময় লাগে বলে বলছিলেন এনআইএইচর জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগের বিভাগের পরিচালক ডাঃ অ্যান্টনি ফাওসি।

এটি এখনও পরিক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। প্রস্তুতকারকরা জানেন এটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ ভ্যাকসিনটি সত্যিই মানবদেহের জন্য সুরক্ষিত কি-না এবং কোন ক্ষতি করে না এটা নিশ্চিত হতে হাজার হাজার মানুষের উপর পরীক্ষা চালানোর প্রয়োজন হয়।

ইনোভিওর গবেষণা ও উন্নয়ন প্রধান কেট ব্রোডারিক বলেছেন, আমি সত্যিই প্রত্যেকের হতাশা এবং বিভ্রান্তি বুঝতে পারি। কিন্তু আপনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সবকিছু তাড়াহুড়ো করে করতে পারেন না। গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এটা সঠিক হয়েছে বলা যাবে না।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো ধরা পড়া করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত অন্তত ১০৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ২ হাজার ২৩৭ জন, মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৯৭ জন।

অতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রি, নোয়াখালীতে দুই ফার্মেসীর অর্থদণ্ড



নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে অতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রি করায় দুই সার্জিক্যাল ফার্মেসীকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চৌমুহনী সমবায় মার্কেটের ইসলামিয়া সার্জিক্যালের সত্ত্বাধিকারী তিন ক্যাটাগরির ফেস মাস্ক বিক্রয় করে আসছিলেন, চায়না মাস্ক ১২০ টাকা যার পূর্বের মূল্য ৪০ টাকা, এয়ার ফিল্টারিং মাস্ক ১৩০ টাকা যার পূর্বের মূল্য ৪০ টাকা এবং কাপড়ের নরমাল মাস্ক ৬০ টাকা করে বিক্রয় করছিল যার পূর্বের মূল্য ১০ টাকা ছিলো। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ ও ড্রাগ আইন ১৯৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে ৭০ হাজার টাকা এবং একই অভিযোগে ফেয়ার সার্জিক্যাল ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এ সময় আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন সহকারি পরিচালক মাসুদুজ্জামান খান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর নোয়াখালী ও সহকারি পরিচালক কাওছার আহমেদ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালী এবং বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।


তথ্যসূত্র: somoinews.tv

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্থান হবে বিআইটিআইডিতে



বিদেশফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে থাকারও ব্যবস্থা করছে সরকার।

এছাড়া, চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে প্রথমে সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ওই হাসপাতালে ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে ১০ শয্যার ইউনিট।
বিমানবন্দর বা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আসা কারো এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে তাদের এই হাসপাতালে পাঠানো হবে জানিয়ে হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালের ডায়রিয়া ইউনিটের দুটি কক্ষে আইসোলেটেড ইউনিট খোলা হয়েছে। এই সংক্রামক ভাইরাস প্রতিরোধে রোগীর জন্য বিশেষ পোশাকও সরকার সরবরাহ করেছে।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরে কোয়ারেন্টাইনের জন্য হালিশহরের পিএইচ আমীন একাডেমি ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার সিডিএ পাবলিক স্কুলকে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি সব হাসপাতালেও আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০টি কক্ষ প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা জানান, দেশে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে দুজন ইতালিফেরত।

সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস: ইতালিজুড়ে মানুষকে ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ



করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশ জুড় জরুরী কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে ইতালি। এর মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং জনসমাগমে না যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


সোমবার প্রধানমন্ত্রী জুজেপ্পে কন্টে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং জরুরী ভ্রমণের ক্ষেত্রেও অনুমোদন নেয়ার কথা বলা হয়েছে।



তিনি বলেন যে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষদের সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, "হাতে আর সময় নেই।"

সোমবার ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬৬ থেকে ৪৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনের পর এটি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ।


সরকারি হিসাব বলছে, রবিবার থেকে নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যাও ২৪% বেড়েছে। ইতালির ২০টি এলাকার সবকটিতে ভাইরাস আক্রান্তের খবর মিলেছে।

ঘরে থাকুন:
প্রধনমন্ত্রী জুজেপ্পে কন্টে বলেন, সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে মানুষকে ঘরে থাকতে হবে। "আমাদের এখানে সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে...আর সেই সাথে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে," সন্ধ্যায় দেয়া এক ভাষণে তিনি একথা বলেন।

"পুরো ইতালি একটি সংরক্ষিত এলাকায় পরিণত হবে," তিনি বলেন।

"ইতালির স্বার্থে আমাদের সবাইকেই কিছু না কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আর এটা এখনই করতে হবে।"

"এজন্যই সংক্রমণ ঠেকাতে এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দিতে আমি আরো বেশি দৃঢ় ও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"

লা রিপাবলিকা সংবাদপত্রকে দেয়া এর আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রাদুর্ভাব নিয়ে তিনি বলেন: "এই মুহূর্তে আমার চার্চিলের সেই পুরনো কথা মনে পড়ছে...এটা আমাদের সবচেয়ে অন্ধকারতম সময়, কিন্তু আমরা এটি অতিক্রম করবো।"

নিষেধাজ্ঞাগুলো কী কী?
মিস্টার কন্টে এক কথায় নিষেধাজ্ঞা বোঝাতে বলেছেন, "বাড়িতে থাকুন"- সেই সাথে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

"রাতের জীবন আর থাকবে না; আমরা এগুলোর অনুমতি দিতে পারি না কারণ এগুলো সংক্রমণের উপলক্ষ তৈরি করে," তিনি বলেন।

ফুটবল ম্যাচসহ সব ধরণের খেলাধুলার অনুষ্ঠান সারা দেশে বাতিল করা হয়েছে। স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

সরকার বলছে, শুধুমাত্র যাদের এমন কোন দাপ্তরিক কাজ রয়েছে যা বাতিল করা সম্ভব নয় কিংবা এমন কোন পারিবারিক জরুরি অবস্থা তৈরি হয়েছে যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয় শুধু তারাই ভ্রমণ করতে পারবে।

বিমান যেসব যাত্রী আসা-যাওয়া করবেন তাদের সবাইকেই প্রমাণ করতে হবে যে তারা অসুস্থ নন।

ট্রেন স্টেশনে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। বিভিন্ন বন্দরে প্রমোদ জাহাজ নোঙর করার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।


সাধারণ মানুষ একে কীভাবে দেখছে?
সোমবার ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর অংশ হিসেবে কারাবন্দীদের সাথে সব ধরণের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণার পর জেলের ভেতরে দাঙ্গায় সাত জন বন্দী নিহত হয়।

দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সান্তা'আন্না কারাগারে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।

ধারণা করা হচ্ছে যে, কারাবন্দীরা জেলের একটি হাসপাতালে হেরোইনের বিকল্প হিসেবে মেথাডোনের খোঁজে হামলা চালালে ওই মাদকের মাত্রাতিরিক্ত সেবনের কারণে দুই জন প্রাণ হারায়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, মিলানের সান ভিত্তোর কারাগারে বন্দীরা একটি সেল ব্লকে আগুন দিয়ে জানালা দিয়ে ছাদে উঠে ব্যানার নাড়াতে থাকে।

দক্ষিণাঞ্চলের ফোজিয়া শহরের একটি কারাগারে বিক্ষোভের সময় কয়েক ডজন বন্দী জেল ভেঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেকেই তাৎক্ষনিকভাবে গ্রেফতার করা হয়। তবে নয় জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

ইতালির নেপলস, রোম ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি কারাগারে এখনো দাঙ্গা চলছে।

বিশ্বের অন্যান্য স্থানে কী হচ্ছে?
পুরো বিশ্বে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ১১১০০০ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩৮৯০ জন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দেশটিতে এখন যারাই পৌঁছাবে তাদের সবাইকে স্বেচ্ছায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে এই রোগে আরো ৪৩ জন মারা যাওয়ার কথা জানানো হয়। মধ্য ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশটিতে ৭১৬১ জন আক্রান্ত এবং ২৩৭ জন মারা গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে আরো বেশি বলে ধারণা করা হয়।

চীনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা থাকলেও দেশটিতে একদিনে নতুন করে ৪০ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে যা গত ২০শে জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন।

যদিও দেখা যাচ্ছে যে দেশটিতে সংক্রমণের হার কমে আসছে, তবু শঙ্কা থাকছে যে, হয়তো সব ঘটনা নজরে আসছে না।

অন্যান্য স্থানের কী অবস্থা?
•বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে, বিশ্বব্যাপী মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়ার "সম্ভাবনা খুবই বাস্তব।"

•ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে কানাডা- ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভাঙ্কুভারে এক প্রবীণ নিবাসে একজন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

•ফ্রান্সে সংস্কৃতি মন্ত্রী ফ্র্যাংক রিস্টার সরকারের প্রথম সদস্য যিনি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার দলের সদস্যরা বলেছে যে, গত সপ্তাহের বেশ কয়েক দিন তিনি পার্লামেন্টে কাটিয়েছেন। যেখানে আরো অনেকে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে।

•যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে

•হাজার হাজার আরোহী নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে করোনাভাইরাসের কারণে সাগরে আটকে পড়া একটি প্রমোদ জাহাজ সান ফ্রান্সিসকোর কাছে অকল্যান্ড বন্দরে নোঙর করেছে

•প্রাদুর্ভাবের অর্থনৈতিক ক্ষতি ও অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কার মুখে সারা বিশ্বের শেয়ার বাজারে ধস অব্যাহত রয়েছে।

Monday, March 9, 2020

করোনা আক্রান্ত ৬০ হাজার মানুষ এখন সুস্থ


বিশ্বের প্রায় ৯১টি দেশে কামড় বসিয়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা। এক লাখেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত। মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৪৮ জন। এমন পরিস্থিতিতেও বিশ্ববাসীর জন্য সুখবর। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দোড়গোড়া থেকে ফিরে এসেছে, এমন নিদর্শনও রয়েছে। গোটা বিশ্বে ৬০ হাজার ৬৩৭ জন মানুষ সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে নিয়মিত তথ্য সংরক্ষণ করছে। এ নিয়ে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠান দ্য সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসএসই)।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৩ হাজার ৬৪৮ জন। যাদের মধ্যে ৫৪৫ জন ছাড়া বাকি সবাই চীনের নাগরিক।
পুরো বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৪৮৫ জন মানুষ। আক্রান্তদের অধিকাংশই চীনের হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। ডিসেম্বরের শেষে অঞ্চলটির রাজধানী উহান থেকে ভাইরাসটির উৎপত্তি।
তবে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬০ হাজার ৬৩৭ জন মানুষ। ফলে যেভাবে দ্রুত করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশে, এতে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বেশ আশাব্যাঞ্জক।
চীনের মূল ভূখণ্ডে সেরে উঠেছেন ৫০ হাজারের অধিক ব্যক্তি। ইরানে ২১৩৪, ইতালিতে ৫৮৯, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১১৮, সিঙ্গাপুরে ৭৮, জাপানে ৭৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এ ছাড়া স্পেন, জার্মানি, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়াসহ আক্রান্ত সব দেশেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন রোগীরা।
বয়স্ক এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভোগা মানুষকে বেশি আক্রান্ত করছে করোনাভাইরাস। তবে উহানের ১০০ বছর বয়সী আক্রান্ত এক ব্যক্তি সেরে ওঠেছেন এই রোগ থেকে। শনিবার (০৭ মার্চ) তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়াও হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, আক্রান্ত ব্যক্তি আলঝেইমার রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফেব্রুয়ারির ২২ তারিখ হুবেইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
এদিকে চীনের পর ভাইরাসটির সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে ইতালি, ইরান ও কোরিয়ায়। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩৩ জন। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬ হাজার মানুষ। ইরানে মারা গেছে ১৯৪ জন মানুষ। সংক্রমণ ঘটেছে সাড়ে ৬ হাজার মানুষের দেহে। দক্ষিণ কোরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫০। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে সাত হাজারের অধিক মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউইয়র্কে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
রোববার (০৮ মার্চ) বাংলাদেশে প্রথম তিন জনকে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের দু’জন ইতালি ফেরত। আক্রান্ত দু’জনের মদ্যে দু’জন স্বামী-স্ত্রী। এবং তারা নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।


তথ্যসূত্র:somoinews.tv

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে কোরআনের আয়াত!



হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে – যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের গ্রন্থাগারের প্রবেশপথে ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের ন্যায়বিচার সম্পর্কে একটি আয়াত তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে ন্যায়বিচারের উদাহরণ হিসেবে ইস্পাতের সাইনবোর্ডে খোদাই করে লিপিবদ্ধ হয়েছে সূরা নিসার ১৩৫ নম্বর আয়াত।

এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, আয়াতটি ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দৃষ্টান্ত। ন্যায়বিচারের ব্যাপারে কোরআনের এই বাণীকে উৎকৃষ্ট উদাহরণ মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ফটকের খোদাই করা সূরা নিসার ১৩৫ নম্বর আয়াতটি হলো- ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ন্যায়বিচারে অটল থাকো। তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাক্ষ্য দেবে। সত্য বলার কারণে যদি তোমার নিজের ক্ষতি হয় অথবা মা-বাবা বা আত্বীয়ের ক্ষতি হয়, তবুও সত্য সাক্ষ্য দেবে।

বিচারপ্রার্থী দুইপক্ষ ধনী কিংবা গরীব যাই হোক না কেনো তোমরা সত্যের পক্ষেই সাক্ষ্য দেবে। তোমাদের চেয়ে আল্লাহ তায়ালা তাদের বেশি কল্যাণ চান। লোভের বশবর্তী হয়ে কিংবা প্রবৃত্তির তাড়নায় ন্যায়বিচার থেকে দূরে সরে যেও না। যদি প্যাঁচানো কথা বলো কিংবা সত্যকে ঘুরিয়ে বলো এ জন্য যে- তোমার পক্ষ জিতে যাবে, তাহলে মনে রেখো আল্লাহ তায়ালা ভেতর-বাইরের সব গোপন খবর স্পষ্টভাবে জানেন।’

Sunday, March 8, 2020

Former PUBG Esport Team Owners Detail Broken Promises & Cancellations



Apparently, dealing with the PlayerUnknown's BATTLEGROUNDS Esports department was a pretty unpleasant experience, according to two former PUBG Esport team owners. One of the earliest games to popularize the now widespread battle royale shooter genre, PUBG has kept the majority of their players invested by continuing to add in new weapons, locations, and features, such as the ability to fly lightweight airplanes in PUBG.

Although it began as a PC-only title, PUBG can now be found on the Xbox One, PlayStation 4, and even mobile devices. PUBG Mobile recently celebrated its second anniversary, and is featuring a special event this month which will add an amusement park to Erangel, the game's first map ever released. Players have also been enjoying the game's new 8v8 Deathmatch mode, which takes players to one of seven different select locations from the PUBG maps and lets them battle it out old-school style. The game has grown in popularity in the Esports scene since release, although some of PUBG's recent Esports news hasn't been very flattering.

Now, thanks to a recent interview by Esports Insider, players have a little bit of a better idea of what goes on behind the scenes at PUBG Esports, and from delaying promised items to leaving team owners to find out league changes via Twitter, it doesn't sound very good. According to Shawn Pellerin, Co-owner of Spacestation Gaming, communication between his team and the National PUBG League was "non-existent," and that "Alex Penn, who was in charge of NPL, never replied to emails - even after multiple attempts... we were never able to give feedback on anything." Feedback would have been helpful, especially since both Pellerin and the CEO of Ghost Gaming, Matt Dillon, reported that they were promised custom in-game items for their teams, but those never came. "I expected our share of that to be at least $50,000," Dillon said.

Dillon also stated that his team was "promised, or at least pitched, a much more robust offering of in-game items custom for each time. The original time frame for that should have been Phase 1." However, the National PUBG League ended up moving these cosmetic items further and further back, first to Phase 2, and then to the PUBG Global Championship. According to Pellerin, a similar story was told to them, where "We were promised they would build a full organization set including weapon... but never ended up happening." The items were eventually cancelled, and both owners described the support they received from the PUBG Corporation as "minimal" throughout the entire process.

Given the rising popularity of Esports over the past few years, companies like the PUBG Corporation will need to reassess the way they handle dealings with Esports teams in the future, lest they allow their game to become abandoned for one which offers a more positive working relationship. While unforeseeable events always occur in business (just look at how the coronavirus cancelled SXSW) the most important thing that everyone involved can do to help each other out is maintain an open and honest line of communication. Hopefully PlayerUnknown's BATTLEGROUNDS will do a better job of taking care of their Esports teams in the future, and until then both Ghost Gaming and Spacestation Gaming can find other games to play.

Worm supermoon will illuminate the sky this weekend



(CNN)A supermoon heralding spring will light up the sky Sunday and Monday. The true full moon occurs Monday, but it will appear full for three days from early Sunday until early Wednesday, according to NASA.

For those in the US, March's full moon also happens during Daylight Saving Time -- so don't forget to "spring forward" and set those clocks an hour ahead.

Supermoons occur when the moon is within 90% of perigree, or its closest approach to Earth in orbit. The moon will appear brighter and bigger in the night sky and hopefully no clouds and inclement weather will obscure the view.

Saturday, March 7, 2020

করোনাভাইরাস: চীনে ধসে পড়া কোয়ারেন্টিন হোটেল থেকে ৪৭ উদ্ধার, অনেকে এখনো আটকা


চীনের উদ্ধারকারীরা পূর্বাঞ্চলীয় কোয়াংঝো শহরে ধসে পড়া একটি হোটেলের ভেতর থেকে ৭০ জনের মধ্যে ৪৭ জনকে উদ্ধার করেছে।

পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ফুজিয়ান প্রদেশের উদ্ধারকর্মীরা ঐ হোটেলের ধ্বংসস্তুপের ভেতরে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
কিন্তু এখনো পযর্ন্ত এটা পরিস্কার না যে ঠিক কী কারণে হোটেলটি ধসে পড়লো এবং কোন ব্যক্তি নিহত হয়েছে কিনা। ঘটনাটি শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঘটে।


রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এসেছিল এরকম লোকজনকে সেখানে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছিল।

হোটেলটি ২০১৮ সালে চালু হয় এবং এতে ৮০টি কামরা রয়েছে।

বেইজিং নিউজ ওয়েবসাইট কে একজন নারী বলেছেন, তার এক বোন এবং আত্মীয়কে সেখানে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছিল। তিনি বলছিলেন, "আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। তারা তাদের ফোন ধরছেন না"।



আমিও আরেকটা হোটেলে কোয়ারেন্টিনে ছিলাম। আমি খুব উদ্বিগ্ন। আমি বুঝতে পারছি না কি করবো। তারা ভালো ছিল। ডাক্তাররা তাদের প্রতিদিন তাপমাত্রা নিচ্ছিলো। এবং টেষ্টের ফলাফল দেখাচ্ছিল সবকিছু স্বাভাবিক আছে"।

শুক্রবার পর্যন্ত ফুজিয়ানে ২৯৬ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।

এর বাইরে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।


তথ্যসূত্র:www.bbc.com

আদমদীঘিতে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় মামলা



বগুড়ার আদমদীঘিতে ২য় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে(৮) ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই শিশু কন্যার বাবা বাদী হয়ে উপজেলার জিনইর গ্রামের আবু কালামকে (৪০) আসামি করে আদমদীঘি থানায় ধর্ষণের চেষ্টা সংক্রান্ত মামলা করেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন ওই গ্রামের ঘর জামাই ও আসামি আবু কালাম।

জানা যায়, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার মেরাই পোওতা গ্রামের আলতাফ আলীর ছেলে তরকারি ব্যবসায়ী আবু কালাম দীর্ঘদিন যাবৎ আদমদীঘি উপজেলার জিনইর গ্রামে বিয়ে করে ঘর জামাই থেকে বসবাস করছিল। গত ২ মার্চ দুপুরে শিশুটি উঠানে খেলা করার সময় আবু কালাম কৌশলে তার বাড়িতে ওই শিশু কন্যাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় প্রতিবেশী এক ব্যক্তি দেখতে পেয়ে হৈচৈ শুরু করেন। পরে শিশু কন্যাটি তার মাকে বিষয়টি জানায়। শিশুর বাবা চট্রগ্রাম থেকে বাড়ি পৌঁছে গতকাল বুধবার আবু কালামকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। বাদী তার স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে চট্রগ্রামে দর্জির কাজ করতেন।

মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন। তিনি জানান, আসামিকে গ্রেপ্তারের তৎপরতা চলছে।


তথ্যসূত্র:kalerkantho.com

Friday, March 6, 2020

One billion Android devices at risk of hacking



More than a billion Android devices are at risk of being hacked because they are no longer protected by security updates, watchdog Which? has suggested.


The vulnerability could leave users around the world exposed to the danger of data theft, ransom demands and other malware attacks.

Anyone using an Android phone released in 2012 or earlier should be especially concerned, it said.

Which? says it was not reassured by Google's response.

And the tech giant has not responded to BBC requests for a comment.

Google's own data suggests that 42.1% of Android users worldwide are on version 6.0 of its operating system or below.

According to the Android security bulletin, there were no security patches issued for the Android system in 2019 for versions below 7.0.

Extrapolating this data, Which? concluded that two in five Android users worldwide were no longer receiving security updates.

It then tested five phones:

ADVERTISEMENT
a Motorola X
a Samsung Galaxy A5
a Sony Xperia Z2
an LG/Google Nexus 5
a Samsung Galaxy S6
Which? asked anti-virus lab AV Comparatives to infect them with malware - and it succeeded on every phone, creating multiple infections on some.

It said it shared its findings with Google but the tech giant "failed to provide reassurance that it has plans in place to help users whose devices were no longer supported".

The watchdog wants Google and others to provide far more transparency around how long updates for smart devices will be provided.

And it said the mobile industry needed to do a better job of giving support to customers about their options once security updates are no longer available.

Kate Bevan, Which? Computing editor, said: "It's very concerning that expensive Android devices have such a short shelf life before they lose security support, leaving millions of users at risk of serious consequences if they fall victim to hackers.

"Google and phone manufacturers need to be upfront about security updates - with clear information about how long they will last and what customers should do when they run out.

"The government must also push ahead with planned legislation to ensure manufacturers are far more transparent about security updates for smart devices - and their impact on consumers."

How to check whether your phone is vulnerable and what to do
Image copyrightSAMSUNGGalaxy S6 Edge
Image captionThe Samsung Galaxy S6 came out in 2015
If your Android device is more than two years old, check whether it can be updated to a newer version of the operating system. If you are on an earlier version than Android 7.0 Nougat, try to update via Settings> System>Advanced System update
If you can't update, your phone could be at risk of being hacked, especially if you are running a version of Android 4 or lower. If this is the case be careful about downloading apps outside the Google Play store
Also be wary of suspicious SMS or MMS messages
Back up data in at least two places (a hard drive and a cloud service)
Install a mobile anti-virus via an app, but bear in mind that the choice is limited for older phones

Kali Linux 2020.1a Released – Download Updated Kali Image for Raspberry Pi



World’s leading Penetration distribution Kali Linux 2020.1a released with some of the major changes in the installer which makes the installation process easier for users.

Kali Linux also issued a new updated image for Raspberry Pi, both 32-bit & 64-bit for Raspberry Pi and the file corruption bug has been fixed that affected in an earlier version.



In the earlier versions of Kali 2020.1, Offensive security changed the base images without having multiple different ISOs for each DE, by introducing an “installer” image as well as a “live” image.

According to Kali Linux 2020.1a update, “The “installer” image is the new one, as this uses “debian-cd” on the back-end. We noticed a bug in a dependency chain, which caused an issue with x11. As a result, you may not have got a graphical interface after installing Kali. As a result, we pushed out a fix (2020.1a) to address this.”

With the Kali Linux 2020.1 traditional default non-root user” has been introduced, so there is no longer a superuser account and default user now is a standard.

With the Kali Linux 2020.1 default, the user has been switched to kali with the vagrant image as well. A Vagrant is a tool for building and managing virtual machine environments in a single workflow.

Now for the vagrant images, the update has been reverted, you can also use the KaliLinux on a PineBook Pro.

Also, Kali Linux 2020.1a is only for users who haven’t successfully installed the 2020.1, If you are already running 2020.1, you do not need to reinstall.

New version of Kali Linux 2020.1a can be downloaded from here.

You are also recommended reviewing our Kali Linux Tutorials page which covers dozens of Kali Linux Tools. Also, Learn The Complete Kali Tools in Kali Linux Operating System.

Mars 2020 Rover Gets a Name: Perseverance




Students chant, “Go Perseverance!” during an event to announce the official name of the Mars 2020 rover, Thursday, March 5, 2020, at Lake Braddock Secondary School in Burke, Va. The final selection of the new name, Perseverance, was made by Associate Administrator of NASA's Science Mission Directorate, Thomas Zurbuchen, following a nationwide naming contest conducted in 2019 that drew more than 28,000 essays by K-12 students from every U.S. state and territory. The rover is currently at NASA's Kennedy Space Center in Florida being prepared for launch this summer.

Photo Credit: NASA/Aubrey Gemignani

Tuesday, March 3, 2020

This Japanese gamer bed is gaming's final form



No need to continue the discussion over which is better, a sitting desk or a standing desk. Desks are cancelled. Gaming from a couch? That's dead, too. All lesser modes of gaming are obsolete now that we've seen this gaming bed from Japanese company Bauhutte. There's no need to rise and shine, Doctor Freeman: now you can start shining right from the supine position.

"I wake up and move from my bed to my desk. Why is that so complicated? Gaming beds solve this problem," reads the Google-translated text from the Bauhutte website. "As soon as you get up, you can watch a game or animation and realize a life cycle of falling asleep without difficulty. "

I suspect this translation isn't entirely accurate, but it doesn't matter. I'm sold. You had me at "bed."


The gaming bed is really any bed which will fit Bauhutte's variety of bed accessories, such as a small desk surface at the foot wide enough to support a dual monitor setup, a couple of speakers, and twin cupholders. I feel like the controller cozy and headphone rack hanging off the left edge of the bed-desk aren't optimally placed—I'd have to pull myself up into a sitting position and lean really far forward to grab them, and what am I? Some kind of athlete?


Luckily, you can accessorize with a four-wheeled 'Energy Wagon' full of drinks and snacks (hopefully a few healthy ones) that can be rolled up right alongside your gaming bed, and there's room enough for your headphones and controller there too, I'd wager. And no, that is no mere blanket. It is a 'gaming blanket,' according to the website. A blanket for gaming.

Meanwhile, an adjustable arm can hold your phone or other mobile device above your head while you lie back in comfort. There's even room on the headboard for an alarm clock so you don't miss any important, early-morning gaming appointments, and there's space for a tube of lotion for... any moisturizing needs you might have.

Snark aside, this all looks extremely useful for gamers with mobility issues. And also for anyone who just wants to game while in complete comfort—though I don't see any solutions for bathroom breaks, so you might have to get creative.

If you're not ready to commit to a gaming bed, you can always try Bauhutte's 'gaming camp,' which is a tent-like enclosure you put over your desk "like a hat" and zip up around you, cutting off "unnecessary visibility" and "creating an environment where you can concentrate on one display" and "remain fully locked in and surrounded by your noxious gamer farts." (Okay, that last quote is from me, not the website.)

NASA is now accepting applications for new astronauts



(CNN)The moment is finally here. NASA is accepting applications for aspiring astronauts.

NASA wants to send another man and the first woman to the moon by 2024. This next class of astronauts, part of the Artemis Generation, will help it get there -- and eventually to Mars -- by the mid-2030s.

"America is closer than any other time in history since the Apollo program to returning astronauts to the Moon," NASA Administrator Jim Bridenstine said in a news release. "We will send the first woman and next man to the lunar South Pole by 2024, and we need more astronauts to follow suit on the moon, and then Mars."

Before you get lost in visions of yourself floating in space, keep in mind that the competition is stiff. The last time that NASA took applications for new astronauts in 2015, a record-breaking 18,300 people applied.

Eleven were selected.

"Becoming an astronaut is no easy task, because being an astronaut is no easy task," Steve Koerner, NASA's director of flight operations and chair of the astronaut selection board, said in a news release.

"Those who apply will likely be competing against thousands who have dreamed of and worked toward going to space for as long as they can remember. But somewhere among those applicants are our next astronauts, and we look forward to meeting you."

Since the 1960s, 350 people have trained as astronaut candidates under NASA, the agency said. Currently, there are 48 astronauts in the active astronaut corps, but the agency said it needs more of them to help further its exploration efforts.

NASA said the new astronauts could live and work aboard the International Space Station, and take part in experiments that prepare for more distant space exploration. Or they could launch on new spacecraft and dock at Gateway, the new spaceship that NASA is planning that will orbit the moon. Once the agency completes its second moon landing in 2024, it plans to send astronauts to the moon every year on expeditions.

Those exploration efforts will hopefully help the agency prepare to send people to Mars in the mid-2030s, NASA said.

If you think you've got what it takes, you can apply on the USAjobs website from now until March 31. Those interested in applying will need to be a US citizen and have an advanced degree in a STEM field, along with at least two years of related professional experience or at least 1,000 hours of pilot-in-command time in jet aircraft.

Candidates will have to pass the NASA long-duration spaceflight physical and an online assessment.

NASA says it will select its new class of candidates in mid-2021.

Sunday, March 1, 2020

Internet access hangs by a thread for hundreds of millions



Sharks might not threaten our internet connection, but fishermen certainly do.Despite what Wi-Fi and mobile data might lead people to believe, the internet is less of a nebulus cloud of data in the air above us, and more of an intricate mesh of wires firing away beneath our feet.

The world’s online networks are powered by a complex system of underwater and underground cabling, supplemented in some regions by satellite links.

Around 380 undersea cables carry over 99.5% of all transoceanic data, running for 750,000 miles across the ocean floor. These fiber optic wires connect the massive data centers supporting cloud behemoths such as Amazon Web Services, Microsoft Azure and Google Cloud.

Huawei to sell undersea cable business
Check out our list of the best cloud computing services on the market
Google, Facebook to activate undersea web cable, excluding China and Hong Kong

The total number of submarine cables shot up during a period of rapid growth in the mid-2000s, followed by an interval during which relatively little new cable was laid, but available capacity was slowly exhausted. A renewed demand for bandwidth, caused by the rapid growth of connected devices, is now propelling a new wave of cable initiatives.

The first submarine cable to use fiber optics was TAT-8, which went live in 1988. It had two operational fiber pairs and one backup pair, and reached speeds of up to 280MB per second.

The current fastest cable (MAREA, owned jointly by Microsoft and Facebook) has eight fibre pairs, and achieved record speeds of 26.2TB per second in 2019 – that's almost 100,000 times faster than TAT-8.

However, despite exponential growth in quantity and capacity, whole countries can be plunged into blackout if just one cable is damaged or snapped, with ramifications for household users and businesses alike.

Undersea cables are usually run through areas of deep ocean to minimize the possibility of damage. But the deep sea is a harsh environment, and cables laid at extreme depth can be challenging to access if repairs are required.

According to telecoms research firm Telegeography, there are over 100 cable breaks per year. Many of these go unnoticed in developed regions with extensive redundancies, but the infrastructure keeping us online is still far more fragile than any of us realize.