Friday, January 31, 2020

গুপ্তধনের সন্ধানে: আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের হারিয়ে যাওয়া মুদ্রা



গাজার উপকূলের কাছে বিশ্বের প্রাচীনতম কিছু মুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন কয়েকজন জেলে। মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ড. উটে ওর্টেনবার্গ বলছেন, ''এটা ছিল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান এবং আলেকজান্ডার দি গ্রেটের মুদ্রা ডেকাড্রাকমার সবচেয়ে বেশি নিদর্শন সেখানে ছিল।''

২০১৭ সালের বসন্তে সমুদ্র থেকে এই মুদ্রাগুলো তুলে আনার আগে পর্যন্ত পাওয়া প্রতিটি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের ডেকাড্রাকমা (আলেকজান্ডারের টাকা) মুদ্রার, যা আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর তথ্য তার সংগ্রহে রয়েছে।

গাজার প্রত্নতত্ত্ববিদ ফাদেল আলাটোল বলছেন, ''যখন আমি একটি হাতে তুলে নিলাম, আমি হতভম্ব আর অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম।''

বিল গেটস কন্যার বিয়ে, পাত্র কে?



বিয়ে করছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের কন্যা জেনিফার গেটস। এই স্বপ্নবালিকার হাতজোড়া মিলতে যাচ্ছে মিশরীয় ঘোড়দৌড়বিদ নায়েল নাসেরের সঙ্গে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি বরফাচ্ছাদিত জায়গায় বসা দুজনের ছবি পোস্ট দিয়ে ২৩ বছর বয়সী জেনিফারই তার বিয়ের খবর জানান। ইনস্টাগ্রামের পোস্টে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাকে ভালোবাসার বন্ধনে জড়িয়ে বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটালে নায়েল নাসের’।
ওই পোস্টে জেনিফার বলেন, ‘তুমি অনন্য। এই সপ্তাহান্তে তুমি আমায় একেবারে অবাক করে এমন জায়গায় নিয়েছো, যা আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। আমরা শিখতে, বাড়তে, হাসতে এবং ভালোবাসতে কাটিয়ে দেব আমাদের জীবন।’ লেখার পরে একটি আংটির ইমোও দেন জেনিফার।
নায়েল নাসেরের জন্ম মিশরে হলেও ছোটবেলায় তিনি কুয়েতে বসবাস করতে। সেখানে তার বেড়ে উঠা। নায়েল ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। সেখানে পড়ার সময় দু’জনের পরিচয় হয়। দু’জনেরই ঘোড়দৌড়ের প্রতি ভালোবাসায় তারা নিজেরাও জড়িয়ে পড়েন ভালোবাসার বাঁধনে।
প্রায় ৬০ বছর পর ২০২০ সালের অলিম্পিকের (টোকিও) চূড়ান্ত পর্বে মিশরের জায়গা করে নেয়ার ক্ষেত্রে নাসেরের অনন্য ভূমিকা আছে। আর বর্তমান বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী গেটসের কন্যা জেনিফারও অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন পেশাদার ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায়।
জেনিফারের এই বন্ধনে বেজায় খুশি মাইক্রোসফটের পুরোধা বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। আংটি বদলের খবরে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন জেনিফার-নাসের যুগল।

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করল চীন!



চীনে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা ভাইরাস। মরণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে এক হাজার ৩শ’ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি ঠেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে চীন। বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এ ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে আশার আলো দেখতে পেয়েছেন চীনের চিকিৎসকরা।


চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দাবি, ভাইরাসটির নির্মূলে যে নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন তাতে তারা সফল হয়েছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীদের এ দাবি প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, দুটি হাসপাতালের সাতজন মেডিকেল স্টাফের ওপর এ নতুন ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এসব রোগীর দেহে সংক্রমিত ভাইরাসের লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তারা বর্তমানে সুস্থ আছেন।
টোংজির ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ অব হুয়াংজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এক টুইটবার্তায় শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির কাছে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
তবে নতুন এই ভ্যাকসিনে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের খবরটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
চীনের ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবিকে তারা যাচাই করে দেখবেন বলে জানা গেছে।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরে একটি সামুদ্রিক বাজার থেকেই ওই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
এর পর তা চীনের সীমান্ত পেরিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম হয়ে অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্র: সিএনএন

করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে!



বিশ্ব কাঁপছে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে৷ চীনে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই৷ ২১৩ ছাড়িয়ে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই আশঙ্কা৷ হাজারে হাজারে মানুষ আক্রান্ত করোনা সংক্রমণে৷ এরই মাঝে শুরু হয়েছে নতুন লড়াই৷ বিশ্বজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

তবে এর মধ্যেই ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে প্রতিষেধক নির্ণয়ে বিজ্ঞানীরা নেমে পড়েছেন৷ চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের গবেষণাগারে চলছে সেই কাজ৷ আশার খবর, করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে দ্রুততার সাথে৷

বিবিসি জানাচ্ছে, চীন সরকার খুব দ্রুত এই ভাইরাসের জেনেটিক কোড জানিয়ে দিয়েছে। এর ফলে বিজ্ঞানীরা সহজে একটি ধারণা তৈরি করতে পারেন যে এই ভাইরাসটি কোথা থেকে এসেছে, ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে এটির প্রকোপ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং এই ভাইরাস থেকে মানুষকে কীভাবে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এই জেনেটিক কোড জানার পরেই শুরু হয়েছে অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে লড়াই করার পরবর্তী কর্মসূচি৷ বিবিসি রিপোর্টে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগোর ইনোভিয়াস ল্যাবরেটরিতে সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানীরা অপেক্ষাকৃত নতুন ধরণের ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। এই প্রতিষেধকটিকে এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে ‘আইএনও-৪৮০০’, যেটি এই গ্রীষ্মে মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই গবেষণা কেন্দ্রের বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কেট ব্রোডেরিক জানিয়েছেন, চীন এই ভাইরাসের ডিএনএ সিকোয়েন্স জানানোর পর আমরা ল্যাবের কম্পিউটারে প্রবেশ করাই এবং তিন ঘন্টার মধ্যে একটি প্রতিষেধক ডিজাইন করি। এই প্রতিষেধক ভাইরাসের ডিএনএ সিকোয়েন্স ব্যবহার করে মানবদেহে থাকা ভাইরাসের বিশেষ কিছু অংশে আঘাত করে৷ আমাদের বিশ্বাস দেহ তখন ঐ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হবে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে ইবোলা, জিকা, মার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে৷ প্রতিক্ষেত্রে প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে৷ তাতে থেমেছে ভাইরাসের আক্রমণ৷ তবে বিভিন্ন সময়ে প্রতিষেধক বের করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে৷ তাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়৷ করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে তার জেনেটিক কোড দ্রুত নির্ণয় করেছে চীন৷ তার পরেই প্রতিষেধক তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়েছে৷

বিবিসি জানাচ্ছে, আগের সব ভাইরাস রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাগুলোর সাথে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যায় যে সেসব ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করতে বিজ্ঞানীদের কয়েক বছর লেগে গিয়েছিল। তবে এবার ভাইরাসটি চিহ্নিত করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের গবেষণা শুরু হয়। প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের দ্রুত উদ্যোগের ফলে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়েছে।

তবে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির প্রচেষ্টা বেশ দ্রুত চললেও এটি এখনও একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই ধরণের রোগের প্রতিষেধক সবচেয়ে কার্যকরভাবে চালানো সম্ভব হয় যখন রোগটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে৷ তবে সেটা হলে মহামারির মুখোমুখি হতে হবে৷ ফলে বিজ্ঞানীরা সেটাও এড়ানোর চেষ্টা করছেন৷

Wednesday, January 29, 2020

করোনা প্রতিরোধে বিশ্বনবির কথা মেনে চলছে চীন



চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ম'রণব্যাধি করোনাভাইরাসের উদ্ভব হয়। বর্তমানে এ শহর ছাড়াও ১৩টির বেশি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। যার কোনো প্রতিষেধকও আবিষ্কৃত না হওয়ায় বিশ্বনবির নসিহত মেনে চলার ওপর জো'র দিয়েছে চীন কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শহরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জা'পান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যে অন্যতম।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ভাইরাসে চীনে মা'রা গেছে ১৩২ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৯৩ জন।

গবেষকরা ধারণা করছেন, যদি এ ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তাহলে প্রায় ছয় কোটি মানুষ মৃ'ত্যুর মুখে পড়তে পারে। যার কোনো প্রতিষেধকও আবিষ্কৃত হয়নি এখনো।

মা'রাত্মক ম'রণব্যাধি এ করোনাভাইরাস। এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে কুরআন সুন্নাহে কী' ধরনের নসিহত রয়েছে তা অনুসরণ করাই সবার জন্য জরুরি।

সম্প্রতি চীন করোনাভাইরাস থেকে বাঁ'চার সাধারণ যে উপায় অবলম্বন করছে, দেড় হাজার বছর আগে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে উপদেশ দিয়ে গেছেন। হাদিসের এ আমলই অনুসরণ করছে চীন।

এ রোগের সয়লাব ঠেকাতে চীন সরকার হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে রোগীসহ কোনো মানুষকে অন্য শহরে পাঠাবে না। আবার অন্য শহর থেকে কোনো মানুষকেও এ শহরে প্রবেশ করতে দেবে না। যাতে এ রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। হাদিসের নির্দেশনাও এটি।

‘হ'জরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে বা অঞ্চলে যদি কোনে প্রকার প্লেগ বা মহামা'রি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে তোম'রা যারা (ওই অঞ্চলের) বাহিরে আছ তারা ওই শহরে প্রবেশ করো না। আর যে শহরে মহামা'রী ছড়িয়ে পড়েছে তোম'রা যদি সে শহরে বসবাস করো তবে তোম'রা সে অঞ্চল বা শহর থেকে বাহির হয়ো না।’ (বুখারি, মু'সলিম)

মহামা'রি মূলত আল্লাহর গজব। মহামা'রি প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
‘এটি আল্লাহর গজব বা শা'স্তি, যা (এ রকম শা'স্তি) বনি ইসরাঈলের এক গোষ্ঠীর ওপর এসেছিল, তার বাকি অংশই হচ্ছে মহামা'রি। অ'তএব, কোথাও মহামা'রি দেখা দিলে এবং সেখানে তোম'রা অবস্থানরত থাকলে সে জায়গা থেকে চলে এসো না। অন্যদিকে কোনো এলাকায় এটা দেখা দিলে এবং সেখানে তোম'রা অবস্থান না করলে সে জায়গায় যেয়ো না।’ (তিরমিজি)

চীনের এ হুবেই প্রদেশে বসবাস করে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ। চীন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের আলোকে এ শহর থেকে দেশি কিংবা বিদেশি কোনো মানুষকেই এখনই স্থান ত্যাগ তথা বিদেশিদের নিজ নিজ দেশে যেতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি সরাসরি হাদিসের আমল, যা দেড় হাজার বছর আগেই ঘোষণা করেছিলেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

করোনাভাইরাস এক অজানা আতঙ্ক। রাসুলে আরাবি মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন অন্যায়, জুলুম ও অশ্লীলতার কারণে আল্লাহ তাআলা জালেম ও অন্যায়কারীদের ওপর অ'পরিচিত মহামা'রি চাপিয়ে দেন।

হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামা'রি আকারে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তা ছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।’ (ইবনে মাহাজ)

চীনের করোনাভাইরাস সে রকম ইঙ্গিতই বহন করছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘করোনাভাইরাসটি সার্স বা ইবোলঅর চেয়েও অনেক বেশি বিপজ্জনক। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বা'সতন্ত্রের মাধ্যমে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে অ'পরিচিত এসব ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কেয়ামতের বার্তা দিয়ে যায়। মানুষকে সতর্ক করে যায়। হাদিসের পরিভাষায়ও এটি পরিলক্ষিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

‘কিয়ামতের আগে ৬টি আলামত গণনা করে রাখো-

-আমা'র মৃ'ত্যু; অ'তঃপর

– বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়; তারপর

-তোমাদের মধ্যে বকরির পালের মহামা'রির মতো ঘটবে মহামা'রি;

-সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যক্তিকে একশ দিনার দেওয়ার পরও সে অসন্তুষ্ট থাকবে। তারপর

-এমন সব ফেতনা আসবে, যা আরবের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করবে। তারপর

-যু'দ্ধবিরতির চুক্তি হবে; যা তোমাদের ও বনি আসফার বা রোমকদের মধ্যে সম্পাদিত হবে। অ'তঃপর তারা বিশ্বা'সঘা'তকতা করবে এবং ৮০টি পতাকা উড়িয়ে তোমাদের বিপক্ষে আসবে; প্রতিটি পতাকার নিচে থাকবে ১২ হাজার সৈন্য।’ (বুখারি)

সুতরাং কেয়ামতের আগে এসব ফেতনায় হেফাজত থাকতে হবে। মহামা'রীর রূপধারণকারী এ ভাইরাস থেকে মুক্তি লাভে হাদিসের ওপর আমল করার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার বিকল্প নেই। বেশি বেশি ইসতেগফার করে জুলুম থেকে বিরত থাকাও জরুরি।

Tuesday, January 28, 2020

হুমকির মুখে কারিগরি শিক্ষা!



>> বিধির বাইরেও ক্লাস পরিচালনায় মেলে না সম্মানী>> ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা >> সমস্যার দ্রুত সমাধান, আন্দোলনের দরকার নেই: সচিব

নতুন করে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে দেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা। জনবল সংকট থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা দ্বিতীয় শিফটে (প্রথম শিফটের অনুরূপ) দ্বিগুণ পরিশ্রম করলেও সেভাবে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এ কারণে নতুন ব্যাচে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস বর্জনসহ দু’দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামছেন তারা। শিক্ষক-কর্মচারীদের এমন সিদ্ধান্তে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন। এ কারণে নতুন করে আন্দোলনে নামার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

কারিগরির শিক্ষকরা জানান, সারাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ৪৯টি ও ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে। বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে নানামুখী উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছে। এ খাতে বাজেট বাড়িয়ে নতুন নতুন কারিগরি প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এত উদ্যোগের পরও জনবল সংকটের কারণে সবকিছু ভেস্তে যেতে বসেছে।

জানা গেছে, দেশের ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে (টিএসসি) নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণিতে পাঠদান হলেও এসএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের দুই শিফটে পড়ানো হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ও লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন।

অন্যদিকে ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন প্রায় দুই হাজার পাঁচজন শিক্ষক-কর্মচারী। এক শিফটের শিক্ষক দিয়ে দুই শিফটের ডিপ্লোমা কোর্স পড়ানো হচ্ছে। ১৯৮৩ সাল থেকে দেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলানো হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।


তারা জানান, মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বেতন-ভাতা সুবিধা দিয়ে দুই শিফটের ক্লাস পরিচালনা করেন শিক্ষকরা। দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষকদের জন্য ২০১৮ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ২০০৯ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বর্তমানে তাদের বেতনের ৩০ শতাংশ বাড়তি দেয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে এবং নীতিনির্ধারক পদগুলোতে কারিগরি ক্যাডার নিয়োগের দাবিতে গত দুই বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. তাহের জামিল জাগো নিউজকে বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে দুই শিফটে ক্লাস নিলেও শিক্ষকরা ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শুরুতে বেতনের ৫০ শতাংশ দেয়া হলেও গত দুই বছর ধরে ২০০৯ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী বেতনের ৩০ শতাংশ দেয়া হচ্ছে। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা সে অর্থ উত্তোলন করছেন না।

তিনি আরও বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক ও মাহপরিচালক পদে কারিগরি ক্যাডারদের নিয়োগ দেয়ার কথা। কিন্তু গত দুই বছর এসব পদে চলতি দায়িত্বে প্রশাসন ক্যাডারদের বসানো হচ্ছে। তারা আমাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো গুরুত্ব দেন না।

সভাপতি বলেন, অতিরিক্ত দায়িত্বের জন্য আগের মতো বেতনের ৫০ শতাংশ অর্থ প্রদান, ভবিষ্যতে তা শতভাগে উন্নীতকরণসহ পরিচালক ও মহাপরিচালক পদে কারিগরি ক্যাডার নিয়োগের দাবিতে আমরা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পলিকেটনিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হাফিজ আহমেদ সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, গত ১৯ মাস ধরে শিক্ষক-কর্মচারীদের দ্বিতীয় শিফটের বেতন সুবিধা কমিয়ে আনা হয়েছে। গত বছর জুনে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়। আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং দ্রুত সেগুলো সমাধান করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। কিন্তু এখনও কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় শিক্ষকরা ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছেন।


তিনি বলেন, চাকরির বিধিতে না থাকলেও প্রথম শিফটের মতো শিক্ষক-কর্মচারীরা দ্বিতীয় শিফটে সমপরিমাণ কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সেভাবে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। উল্টো সম্মানীর পরিমাণ আগের চেয়ে কমিয়ে আনা হয়েছে। এ কারণে নতুন করে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।

‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমরা আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো উপস্থাপন করতে চাই’- যোগ করেন মো. হাফিজ আহমেদ সিদ্দিক।

তবে আন্দোলনের কারণে নতুন করে সংকট তৈরি হবে না বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি তিনি জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষকরা অনেক কষ্ট করে দুই শিফট চালান। তাদের সেভাবে সুবিধা দেয়া হয় না। বাড়তি পরিশ্রমের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থ অনুমোদন দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি, অর্থ বরাদ্দের যৌক্তিকতা তুলে ধরে দুই দফায় চিঠি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে।

‘কাজের অনেক অগ্রগতি হয়েছে’ উল্লেখ করে মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সুখবর পাবেন। এ কারণে নতুন করে আন্দোলনে নামার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না।’

‘আশা করি, শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যাবেন’- যোগ করেন তিনি।

এমএইচএম/এমএআর/জেআইএম

ভারতের প্রথম অ্যান্টি টেরার রোবোট DAKSHAর সেরা ফিচার্স



| দেশের প্রথম অ্যান্টি টেরর রোবোট দক্সা

| এটি একটি অটোমেটিক রোবোট

সবে মাত্র ভারতের সাধারনন্ত্র দিবস গেছে। এই সময়ে ভারতের একাধিক নতুন অস্ত্র ও অন্যান্য জিনিসের প্যারেড দেখা যায়। তবে আজকে আমরা এই সব কিছু নিয়ে না কথা বলব ভারতের অ্যান্টি টেরর রোবোটের কথা।

সারা পৃথিবীতেই এই সময়ে একাধিক আতঙ্কের আর আতঙ্কবাদের সমস্যা আছে। সেই সমস্যা থেকে বাঁচার একাধিক উপায় আছে তাও সব সময়ে আরও বেশি সুরক্ষা বা আরও বেশি সুরক্ষিত থাকা সব সময়েই ভাল। আর এই সবের মধ্যেই ভারতে এল Daksha রোবোট।

সারা বিশ্বে চলতে থাকা যুদ্ধের পরিস্থিতির মধেয় ভারতের এই প্রথম অ্যান্টি টেরর রোবোট এক নতুন হাতিয়ার হিসাবে উঠে এসেছে।

এই সময়ে বিশ্বের একাধিক শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী রোবোটিক সেনায় সজ্জিত হচ্ছে আর সেই সময়েই ভারতে এল দক্সা। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট অর্গানাইজেশান (DRDO) Daksha নামের ভারতের প্রথম অ্যান্টি টেরর রোবোট নিয়ে এসেছে।


DAKSHA রোবোট:
ব্যাটারি যুক্ত Daksha রোবোট প্রাথমিক ভাবে সেলফ হ্যান্ডেলিং ডিস্ট্রাকশান আর ডিটেলশান IED র জন্য মাল্টিপেল ক্যামেরা ব্যাবহার করছে। এতে আছে এক্সরে ডিভাইস আর একটি শটগান জা বন্ধ দরজা খুলে দিতে পারে। আর এতে একটি স্ক্যানারও দেওয়া হয়েছে যাতে দরকার হলে এই রোবোট এক্সপ্লোসিভ স্ক্যান করতে পারে।

এটি রিমোটের মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যাবে আর না হলে এটি 500 মিতার লাইন সাইটের ওয়ারলেসের মাধ্যমে আর ফাইবার অপ্টিক কমিউনিকেশানের জন্য 100m দূরত্বে অপারেট করা যাবে। এটি একবার চার্জে তিন ঘন্টা পর্যন্ত চলতে পারে।

দক্সা IED আর অন্য এক্সপ্লোসিভ এলিমেন্ট ডিটেক্ট করতে পারবে। আর এটি কাজ কারলে সীমার অসংখ্য ভারতীয় সৈনিকের প্রান বাঁচবে।

ROV এটি ডেভেলাপ করেছে। আর দক্সার 20 টি ইউনিট DRDO রিসার্চ পুরষ্কার পেয়েছে।

DAKSHA রোবোটের ফিচার:
•এটি সম্পূর্ণ ভাবে অটমেটিক রোবোট
•এটি বায়োলজিকাল, কেমিক্যাল আর রেডিওলজিকাল অস্ত্র ডেস্ট্রয় করতে পারে।
•এটি রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি শিল্ড যুক্ত যা সিগন্যাল জ্যাম করে এক্সপ্লোশান থেকে বাঁচাতে পারে।
•এটি বিমানবন্দর, স্টেশান বা কোথাউ যে কোন যে কোন সন্দেহ জনক লাগেজ ডিটেক্ট করতে পারে আর তা ডেস্ট্রয়ও করতে পারে আর জনবহুল জায়গা থেকে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নিয়ে যাবে।
•এটি এর রোবোটিক আর্মের মাধ্যমে যে কোন জিনিস ওঠাতে পারে। তা সে IED হোক কি বোম, এটি একে ডিফিউসও করতে পারে।
•এই রোবোটে একটি X রে ডিভাইস আছে যা যে কোন গাড়ির এক্সপ্লোরার মেটিরিটাল স্ক্যান করতে পারে।
•এর সঙ্গে এতে ছোট চাকা আছে যা দরকার হলে সিঁড়ি চরতে পারে।
এই সব ফিচার্স দেখে মনে হয় যে এই রোবোট ভারতীয় সৈন্য দলের কাজে আসবে।

Bill Gates owns a lot more Apple stock than you might think




Chronologically speaking, the life work of Bill Gates can be divided into two main areas of interest: first and foremost building and leading Microsoft to become the number-one software company in the world, and secondly using the wealth he accumulated for philanthropy through the Bill & Melinda Gates Foundation.

Based on data from 2019, Bill Gates is believed to still own 330 million shares of Microsoft, accounting for roughly $55B worth of Microsoft stock, or 4.3% of the total company. He and his wife created a separate fund to support the foundation, the Bill & Melinda Gates Foundation Trust, which contains a more diversified, risk-averse portfolio of stocks.