Friday, February 28, 2020

বদলে গেল কলেজে ভর্তির নিয়ম



এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে বড় পরিবর্তন আসছে। কলেজ ও মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে এবার সংস্কার করা হচ্ছে কোটা, বৃদ্ধি পাচ্ছে রেজিস্ট্রেশন ফি আর এসএমএস’র মাধ্যমে করা যাবে না আবেদন। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ভর্তি আবেদন ১০ই মে শুরু হয়ে ২৫শে জুন শেষ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সভায় একাদশ শ্রেণির খসড়া নীতিমালা-২০২০ তুলে ধরা হয়। খসড়া নীতিমালায় ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী ও বিকেএসপি কোটা বহাল রেখে অন্যান্য কোটা বাতিল করা হয়েছে। থাকছে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, বিকেএসপি ০.৫ এবং প্রবাসী ০.৫ শতাংশ কোটা। ভর্তি নিশ্চয়ন ফি ১৩০ টাকার বদলে ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করতে প্রস্তাব করা হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক আগামী জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে বলে। সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা।


তথ্যসূত্র:dhakalive24.com

Thursday, February 27, 2020

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন ডুয়েটের তিন শিক্ষার্থী




প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেয়েছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) তিন শিক্ষার্থী। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন।


স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ডুয়েটের তিন শিক্ষার্থী হলেন— মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রমজান আলী, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইমরান মাসুদ ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাজী আবু মঞ্জুর। বর্তমানে তারা তিনজনই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

রমজান আলী ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, ইমরান মাসুদ কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এবং কাজী আবু মঞ্জুর ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষকতা করছেন।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে রমজান আলী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক পাওয়ার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সবার দোয়া আর আল্লাহর অশেষ রহমতে এটি সম্ভব হয়েছে। আমি আমার বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা মহোদয় এবং শুভাকাঙ্ক্ষী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

কাজী আবু মঞ্জুর বলেন, নিঃসন্দেহে এটি শিক্ষা জীবনের বড় পাওয়া। এই অর্জনে আমার শিক্ষক, বন্ধু, পরিবারের অনুপ্রেরণায় সহায়তা করেছে। বন্ধু সমাজ অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। আর যার অবদান অপরিসীম তিনি হচ্ছেন আমার বড় ভাই কাজী আবুল কালাম আজাদ।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীত হয়েছিল ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ শিক্ষার্থী। ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তারা।


তথ্যসূত্র:www.manobkantha.com.bd

Wednesday, February 26, 2020

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেশি গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর




দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সরকার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সুন্দর আগামীর জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারসহ সবাইকে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলির কথা বলা হতো। সেই বাংলাদেশ আর নেই। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশে বর্তমানে বর্তমানে ৪৯টি সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রয়েছে। এর মধ্যে পুরোনো ইন্সটিটিউটের সংখ্যা ২০টি, যেগুলো পুরোপুরি সরকারি। নতুন রাজস্বভুক্ত ইন্সটিটিউটের সংখ্যা পাঁচটি, মনোটেকনিক ইন্সটিটিউট তিনটি, প্রকল্পভুক্ত ১৮টি ও মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সংখ্যা তিনটি। ‘প্রতি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০০টির কাজ শুরু করা হয়েছে।’ এ ছাড়া ৪টি সরকারি মহিলা পলিটেকনিক ও ২৩টি বিশ্বমানের নতুন পলিটেকনিক স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ৩২৯ উপজেলায় ২০ হাজার ৫২৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে দক্ষ নাগরিক গঠনের কাজ ত্বরান্বিত হবে।

দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কি পেলাম, কি পেলাম না, তার চিন্তা না করে আগে দেশকে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের আগামী প্রজন্ম যেন সুন্দর জীবন পায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে। সেক্ষেত্রে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার জন্য আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন একমাত্র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররাই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে মানুষের সমস্যাবলী সমাধান এবং জীবনকে সহজ করার জন্য বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োগ। মূলত, মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৪ বছর মেয়াদী যে ইঞ্জনিয়ারিং পড়ানো হয় তাকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। যার গ্রেড মান ১৪। যেখানে উচ্চ মাধ্যমিকের গ্রেড মান ১২, ডিগ্রির গ্রেড মান ১৫ ও অনার্সের ১৬। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে চার(৪) বছর মেয়াদী শিক্ষাক্রম পরিচালিত হয়। চার বছর মেয়াদী শিক্ষাক্রম আটটি(৮) পর্বে বিভক্ত যাদের সেমিষ্টার বলা হয়। এক একটি সেমিষ্টারের কার্য দিবস ১৬-১৮ সপ্তাহ। সে হিসেবে প্রতি বর্ষের কার্য দিবস ৩২-৩৬ সপ্তাহ। নির্ধারিত কার্য দিবস শেষ হওয়ার পর পর্ব সমাপণি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণভবন জনগণের ভবন। আপনাদের জন্য সবসময় এর দ্বার উন্মুক্ত। আগে জানালে এ সম্মেলন গণভবনে আয়োজন করা যেতো। গণভবনে আপনাদের দাওয়াত থাকলো।’

দেশ গড়ার হাতিয়ার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। আমাদের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপে স্বাগতম। ২০১৩ সালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে তৈরি করা এই গ্রুপ দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারদের নানাবিধ সমস্যার সমাধান করে আসছে। চাকুরি পড়াশুনা থেকে শুরু করে যারা ইঞ্জিনিয়ার হতে চান তাদের সু-পরামর্শ প্রদান করা আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।


তথ্যসূত্র: engineeringjobsinbd.blogspot.com

Saturday, February 22, 2020

আদমদীঘিতে রাস্তা পাকা করনের শুভ উদ্ধোধন




গ্রাম কে শহরে রুপান্তর করনের লক্ষে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের তেঁতুলিয়া-উজ্জলতা প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে রাস্তা পাকা করনের আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্ধোধন করেন আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম খান রাজু।

শনিবার বেলা ১২ টায় উপজেলার তেতুলিয়া - উজ্জলতা রাস্তার তেঁতুলিয়া গ্রামে এই উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু রেজা খান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা নাজিমুল হুদা খন্দকার, মিজানুর রহমান বাবু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক হাফিজার রহমান, মিহির কুমার সরকার, আনোয়ার হোসাইনসহ স্থানীয় জনসাধারন। ৯৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৫ শত ২২ মিটার পাকা রাস্তার কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বন্ধু ট্রের্ডাস।


তথ্যসূত্র:deshsangbad.com

Sunday, February 16, 2020

১৬ দিন পরপর পৃথিবীতে সিগনাল পাঠাচ্ছে এলিয়েনরা!




১৬ দিন পরপর পৃথিবীতে ৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের গ্যালাক্সি থেকে ক্রমাগত আসছে রহস্যময় রেডিও সংকেত। গত ৪০৯ দিন ধরে প্রতি ১৬ দিন পরপর এ সংকেত পাঠানো হচ্ছে। মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহৃত শক্তিশালী টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে এ ঘটনা।

এই সংকেতগুলোর অদ্ভুত মিল শনাক্ত করেছে দ্য কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট বা ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি) প্রজেক্ট। টেলিস্কোপ দিয়ে এটি শনাক্ত করেন কানাডা ও যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। গত ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

সাধারণত দূরবর্তী বস্তুর অস্তিত্ব জানতে রেডিও সংকেত ব্যবহার করা হয়। তবে নিয়মিত বিরতিতে এমন সংকেত বিজ্ঞানীদের ভাবতে বাধ্য করেছে যে, সত্যিই কি তাহলে ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে!

রাত জেগে থাকা মানুষদের অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি!



প্রয়োজনে বা অভ্যাসগত কারণে অনেকেরই রাত জাগার অভ্যাস থাকে। অনেকেরই আবার কাজের সময়টিই থাকে সারারাত। কিন্তু আমাদের আধুনিক সমাজে মোবাইল ও ইন্টারনেট এর কারণে অল্প বয়সের অনেকের মধ্যেই রাত জাগার প্রবণতা বাড়ছে।
জানেন কি, রাত জাগায় আপনি যদি অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন বা অসুবিধা মনে না হলেও এর বেশ কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় জানা গেছে, যারা রাতে সময়মতো ঘুমাতে যান এবং ভোরে ঘুম থেকে উঠেন এমন মানুষদের চেয়ে যারা রাতে দেরি করে ঘুমাতে যান এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের কম বয়সে মৃত্যুবরণের সম্ভাবনা ১০ শতাংশ বেশি। এছাড়া ওই গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, রাত জাগা মানুষদের বিভিন্ন রোগের বেশি ঝুঁকি থাকে।

সায়েন্স ডেইলির এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিন এবং ইউনিভার্সিটি অফ সারে’র এই গবেষণাটির তথ্য প্রকাশিত হয়।

ইউকে বায়োব্যাঙ্ক নামের একটি দীর্ঘমেয়াদি জরিপের প্রায় ৫ লাখ অংশগ্রহণকারীর তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা মানুষ বা ‘ভোরের পাখিদের’ তুলনায় রাতজাগা বা ‘প্যাঁচা’ ধরনের মানুষের মৃত্যু হয় আগে। ওই গবেষণার রাতজাগা মানুষদের মাঝে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের আগামী সাড়ে ছয় বছরের মাঝে মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে বলে জানানো হয়।

গবেষণার সহ-লেখক ক্রিস্টেন নাটসন জানিয়েছেন, পৃথিবীতে ভোরে ঘুম থেকে ওঠে এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। এমন একটা পৃথিবীতে রাতজাগা মানুষের জীবনযাপনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।

রাতজাগা মানুষ এবং ভোরে ঘুম থেকে ওঠা মানুষের মাঝে তুলনা করে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা হয়েছে। তবে মৃত্যুর সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা এই প্রথম হলো।

ইউনিভার্সিটি অফ সারে’র ক্রনোবায়োলজি বিষয়ের অধ্যাপক ম্যালকম ভন শান্টজ জানিয়েছেন, যারা রাত জাগেন তাদের কর্মক্ষেত্রেও এ ব্যাপারটি মাথায় রেখে কাজের সময় নির্ধারণ করে দেয়া উচিত। তারা দেরি করে কাজ শুরু এবং দেরিতে শেষ করার সুযোগ পেলে তা উপকারী হবে বলে মনে করেন তিনি।

রাত জাগার এমন প্রবণতার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন নাটসন। তিনি জানান, এর পেছনে থাকতে পারে মানসিক চাপ, ভুল সময়ে খাদ্য গ্রহণ, যথেষ্ট ব্যায়াম না করা, ঘুম কম হওয়া, জোর করে রাত জাগা, মাদক গ্রহণ বা মদ্যপান।

নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে, রাতজাগা মানুষের ডায়াবেটিস, মানসিক সমস্যা এবং স্নায়বিক রোগের ঝুঁকি বেশি।

গবেষণায় বলা হয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাতজাগা মানুষও সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি।

Wednesday, February 12, 2020

পরিবেশ রক্ষায় শত কোটি গাছ লাগাবে ড্রোন



সভ্যতার এই উর্ধমুখী গন্তব্যের সময়ে যেমন মানুষের সামাজিক,অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নতি চোখে পরার মতো ঠিক তেমনি তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দুষণের হার।
সভ্যতার উন্নায়ন তরান্বিত করতে গিয়ে আমরা আমদের পরিবেশ কে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলছি দিনের পর দিন।বর্তমান সময়ে পরিবেশ তথা প্রধানত বায়ু দুষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এই বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।তাই পৃথিবীর ফুসফুস ঠিক রাখতে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কোটি গাছ লাগানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে কানাডিয়ান দুই তরুণ।দুইজন তরুণের পক্ষ্যে এতো গাছ লাগানো আসলেই কি সম্ভব?

তারা তাদের উদ্ভাবনির মাধ্যমে বিশ্বকে এমনটাই জানান দিয়েছেন। তারা ড্রোন দিয়ে বনায়নের জন্য “ফ্ল্যাশ ফরেস্ট” নামের একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারা এমন একটি ড্রোন তৈরি করেছেন যা একদিনে ২০ হাজার চারা ও ১ লাখ বীজ রোপণ করতে পারবে।

এর ফলে মানুষের চেয়ে গাছ লাগান যাবে ১০ গুণ দ্রুতগতিতে।কমে যাবে শ্রমিকের সংখ্যা,বেঁচে যাবে সময়।সার্বিক ভাবে এতে খরচ কমে আসবে প্রায় ২০ শতাংশ। “ফ্ল্যাশ ফরেস্ট” তাদের ওয়েবs
সাইটে বলেছে, “প্রতি বছর ১৩ বিলিয়ন গাছ হারাচ্ছে পৃথিবী। এর বিপরীতে জন্মাচ্ছে অর্ধেক পরিমাণ গাছ আর এই অর্ধেক এর অধিকাংশই প্রাকৃতিক ভাবে জন্মাচ্ছে।

আমরা পৃথিবীর ফুসফুস ঠিক করার কাজে নেমেছি। অন্যসব কাজের আগে এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” গাছ লাগানোর জায়গা খুঁজতে “ফ্ল্যাশ ফরেস্ট” ব্যবহার করবে এরিয়াল ম্যাপিং সফটওয়্যার যা তাদের গাছ রোপনের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা খুঁজতে সহায়তা করবে।এছাড়াও এক্ষেত্রে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের সহায়তা নেয়া হবে বলে তারা জানায়।

জায়গা পর্যবেক্ষণ ও বাছাই হয়ে গেলে সেখানে প্রয়োজনীয় বীজ, সার ও গাছের উপকারী “মাইকররাইজ ফাঙ্গাস” নিয়ে যাবে ড্রোনটি। পরিক্ষামুলক ভাবে গত আগস্টে পাইলট প্রকল্পের ড্রোন এর আওতায় ৩ মিনিটে ১৬৫টি করে মোট ৩ হাজার গাছ লাগানো হয়।


তথ্যসূত্র:sciencebee.com.bd

Tuesday, February 11, 2020

আদমদীঘিতে ছাত্রীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরন ও সভা



আদমদীঘি(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘির বিনাহালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের নিজ ব্যায়ে ছাত্রীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরন করেন। এউপলক্ষে গতকাল সোমবার স্কুল মাঠে সভা অনুষ্ঠিত হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম খান রাজু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান বাবু, মজিবর রহমান, আব্দুল রাজ্জাক আজাদ, রেবতী মোহন শাহা, নশরতপুর ইউপি সদস্য উজ্জল হোসেন বিনাহালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন, ছাত্রী সুচি পারভীন প্রমুখ। সভা শেষে প্রধান অতিথি ১৮০ জন ছাত্রীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরন করেন।


তথ্যসূত্র:ekattorerdesh.com

আজহারীকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে: ভিপি নুর



আলোচিত ধর্মীয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর।শুক্রবার বেলা ১১টার পর নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।নুর বলেন, মিজানুর রহমান আজহারী বর্তমানে নিঃসন্দেহে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আলোচক। ওয়াজ মাহফিলের নাম্বার ওয়ান মাওলানা।


‘তিনি যেখানেই যান সেখানেই উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে তরুণরা তার মাহফিলে ভিড় জমাচ্ছে। উনার মাহফিলে যত লোক হয় এরকম সচরাচর আর কোনো আলেম ওলামার মাহফিলে আমি এত লোক দেখিনি।’ভিপি নুর বলেন, আমি তার ওয়াজ মাহফিল সরাসরি দেখিনি। তবে ফেসবুক, স্যোশাল মিডিয়া ও ইউটিউবে তার ওয়াজ শুনে অনুধাবন করতে পেরেছি- বাংলাদেশে তার জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে দিন দিন ইসলামি ধর্মাবলম্বী ও ইসলাম প্রিয় মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন তিনি।


‘বাংলাদেশে ছোট বাচ্চারাসহ বৃদ্ধরাও যারা স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেন তারাও আজহারীর পরিচয় জেনে গেছেন। ফেসবুকে ও ইউটিউবে তার ওয়াজ মাহফিলের যে ভিউ হয় তাতে অস্বীকার করার উপায় নাই যে তিনি একজন জনপ্রিয় বক্তা।’নুর বলেন, সমস্যা হলো বর্তমান সময়ে আজহারী আলোচনায় এসেছেন। আমাদের ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর এক বক্তব্যে শুনতে পেলাম তিনি নাকি জামায়াতের লোক।তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তাকে পছন্দ করি বা অপছন্দ করি সেটা মুখ্য বিষয় না। বাংলাদেশে যারা ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করে বা ইসলাম ধর্মের অনুসারী তাদের কাছে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।


আজহারীর জনপ্রিয়তার কারণ উল্লেখ করে ডাকসু ভিপি বলেন, গতানুগতিক ওয়াজ মাহফিলের তুলনায় তার ওয়াজ মহাফিল ভিন্ন ধাচের হয়ে থাকে। সমকালীন প্রসঙ্গ, প্রযুক্তি, আধুনিক বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।‘বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে কিনা, অনেকেই বলেন টিভি দেখা যাবে না- এসব বিতকির্ত বিষয়ে নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করেন তিনি।’অর্থপ্রতিমন্ত্রীর সমালোচনা করে নুর বলেন, তিনি (আজহারী) যদি জামায়াতের লোক হয়ে থাকেন তবে সেটির সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর উপস্থাপন করা উচিৎ ছিল। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তিনি যদি কোনো ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে থাকেন বা বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে থাকেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।


‘কিন্তু কথা নেই বার্তা নেই, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলো,’ যোগ করেন তিনি।নুর আরও বলেন, বিবিসির একটা নিউজ মারফত জানতে পারলাম, তিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এবং কাছের লোকজন স্বীকার করেছেন তিনি এই মুহূর্তে দেশে নাই। তিনি দেশ ছেড়েছেন। নিউজটি যেভাবে করা হয়ে সেটা পর্যালোচনা করে মনে হয়েছে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে হয় তো।তিনি আরও বলেন, আজহারী যদি সরকারের বাইরে ভিন্নমতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে থাকেন কিংবা ভিন্নমতের অনুসারী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তিনি যে কাজটি করে যাচ্ছিলেন বর্তমান সময়ে সেটি আমি ব্যক্তিগতভাবে বিরোধিতা করি না। কারণ সবকিছুর পরে প্রত্যেকেরই একটি ব্যক্তিগত উপলব্ধি আছে, দৃষ্টিভঙ্গি আছে।


আজহারীর আলোচনা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল এবং তার আলোচনার খুবই প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ডাকসু ভিপি।নুর বলেন, আমাদের সমাজে মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ চরম অবক্ষয় ধারণ করেছে। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ নারী যেখানে ধর্ষণের শিকার হয়, স্বামী স্ত্রীর হাতে নিহত হয়, যেখানে পারিবারিক অশান্তি, মানুষের মধ্যে অস্থিরতা, মানুষে মানুষে সহিংসতা কিংবা রাজনীতি বা ধর্মের নামে মানুষ খুন, উগ্রতা হচ্ছে সেই সময়ে এরকম একজন ধর্মীয় বক্তার প্রয়োজন আছে সমাজে।‘এছাড়া ইসলামের বিভিন্ন বিষয়কে আজহারী যেভাবে মানুষের মাঝে আলোচনা করেন, সমকালীন প্রসঙ্গকে কানেক্ট করেন সে বিষয়টি আমার কাছে খুবই চমৎকার মনে হয়েছে।’


ডাকসু ভিপি বলেন, তরুণরা তার ওয়াজ মাহফিলের বড় একটা অংশ। যেহেতু আমাদের দেশ মুসলিম অধ্যুষিত। এখানে মুসলমানের সংখ্যাটাই বেশি। তাই আজহারীর ওয়াজের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে বা ইসলাম ধর্মের মানুষের মধ্যে বিনয়, সহনশীলতা, মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ববোধ-এই বিষয়গুলো যদি নতুন করে জাগরণ করতে পারতাম, সেটি আমাদের জন্য একটা পজিটিভ বার্তা হতো।


তথ্যসূত্র:viwer.com.bd

ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ ও শাস্তির দাবি করলেন মালয়েশিয়া প্রবাসীরা




বর্তমান সময়ে দেশের জনপ্রিয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীকে জামায়াতের প্রোডাক্ট বলায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লার পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা। স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় গতকাল বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরের পাসার বোরং সেলাংয়ের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মনির বিন আমজাদ।


সেই লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ তার এক বক্তব্যে এই সময়ের আলোচিত ধর্মীয় বক্তা ও ইসলামী চিন্তাবিদ মিজানুর রহমানকে ‘জামায়াতের প্রোডাক্ট’ বলে যে মন্তব্য করেছেন এতে তিনি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।’

তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আলেম-ওলামাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। তিনি হীন ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য আলেম-ওলামাদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন। তিনি দল-মত নির্বিশেষে নিরপেক্ষভাবে দেশের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের ধর্মীয় স্বার্থ ও স্বাধীনতা রক্ষায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও জানান।সেই লিখিত বক্তেব্যে আরও বলা হয়, ‘আমাদের বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি সহজভাবে মেনে নেবেন না। কাজেই আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টাকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে শেখ আব্দুল্লাহকে অবিলম্বে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে অপসারণ ও দল থেকে বহিষ্কার করবেন।’

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ হানিফ, মোয়াজ্জেম হোসেন, আপন, কামাল, খলিল, সোহেল আহমেদ্, মোবারক আলী, পারভেজ, তারিকুল ইসলাম, আর কে কামাল, আক্কাস দেওয়ানসহ প্রায় ২ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি।এদিকে সম্প্রতি মিজানুর রহমান আজহারীর কড়া সমালোচনা করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছিলেন, বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে আজহারীসহ কিছু বক্তা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে জামায়াতের প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি জামায়াতের প্রোডাক্ট।

এ সময় তিনি বলেন, ‘বর্তমানে প্রকাশ্যে জামায়াতের রাজনীতির সুযোগ না থাকায় কৌশলে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে এসব বক্তা জামায়াতের পক্ষে কথাবার্তা বলছেন। তারা কোরআন-হাদিসের যেসব ব্যাখ্যা দেয় তার অধিকাংশই মিথ্যা কথার আশ্রয় নিয়ে আজেবাজে কথা বলে। তথ্য সূত্রঃ যমুনা টিভি।


তথ্যসূত্র:viewer.com.bd

Saturday, February 8, 2020

মালেয়শিয়ায় আজহারীকে দেখতে প্রবাসীদের উপচে পড়া ভিড়!




বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি আ’লোচিত ইস’লামী বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসির মাহফিলের সব কর্মসূচি আগামী মা’র্চ স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে মালয়েশিয়ার মাটিতে পা রাখেন মিজানুর রহমান আজহারী। মালেয়শিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৌঁছালে সেখানে আজহারী বরণ করতে ভীড় করেন অনেক বাঙালী। যার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে, এখানেই এ বছরের তাফসির প্রোগ্রামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই, মা’র্চ পর্যন্ত আমা’র বাকি প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হলো। রিসার্চের কাজে আবারও মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে, আবারও দেখা হবে ও কথা হবে কুরআনের মাহফিলে, ইনশাআল্লাহ।’

এ সময় মাহফিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রোগ্রামগুলো বাস্তবায়নে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার জন্য রইল আন্তরিক ভালোবাসা ও দোয়া। বিশেষ করে পু’লিশ, প্রশা*সন এবং স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রোগ্রামগুলো সুন্দরভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুক।’তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর বেশীর ভাগ প্রোগ্রামেই পারিবারিক ও সামাজিক ক্রাইসিস নিয়ে কথা বলেছি, পাশাপাশি কয়েকটি সূরার তাফসিরও করেছি। আশা করি, আলোচনাগুলো থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। পরিবারের সবাই মিলে আলোচনাগুলো শুনুন এবং কথাগুলো বাস্তব জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন, ধীরে ধীরে আমাদের পরিবার ও সমাজ সুখময় এবং শান্তিময় হয়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।’



এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, ‘আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে, দেশের আপাম’র জনতার যে ভালোবাসা পেয়েছি, জানিনা সিজদায় পড়ে কতটুকু অশ্রু ঝরালে এবং কোন ভাষায় শোকরগোজার হলে এর যথাযথ শুকরিয়া আদায় হবে। মালিকের দরবারে আলীশানে লাখো কোটি শুকর এবং সুজুদ। ওয়ালহাম’দু লিল্লাহি ‘আলান্নি’আম।’আজহারী বলেন, ‘আমি একজন নগন্য মানুষ। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের ছাত্র। কুরআনের ছাত্র হয়েই বেঁচে থাকতে চাই ও নিরলস কাজ করে যেতে চাই। তাই সুপ্রিয় শ্রোতাদের বলবো, প্লিজ আমাকে নিয়ে অ’তিরিক্ত মাতামাতি করবেন না। আমাকে জড়িয়ে কোনো ব্যাপারে কাউকে গালাগালি করবেন না, অন্য কোনো মতাদর্শের আলেম’দের হেয় বা ছোটো করে কিছু বলতে যাবেন না। যদিও তাদের কেউ কখনো আমাকে ছোটো করে কথা বলেন। অনুরূপভাবে, কোথাও আমাকে ডিফেন্ড করে তর্ক বা কমেন্ট করতে চাইলে, ভদ্রতা বজায় রেখে, যৌক্তিকভাবে এবং বিনয়ের সঙ্গে সেটা করুন। সত্য একদিন উন্মোচিত হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমা’র এ জীবনের ছোট্ট অ’ভিজ্ঞতায় যা দেখলাম, সেটা হলো: আম’রা আমাদের জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়ে দেই অন্যকে হিং’সা করতে করতে। নিজেরা কাজ না করে অন্যের বি’রুদ্ধে অ’পপ্রচার চালাতে আম’রা মহাব্যস্ত। আসলে, অ’পপ্রচার করে তেমন কোনো লাভ নেই। অ’পপ্রচারে আমি কখনো মন:ক্ষুন্ন হইনা। আমা’র বিশ্বা’স আপনারাও হবেন না। কারণ, অ’পপ্রচারগুলোই আমাদের প্রচারণার দায়িত্ব পালন করেছে, আলহাম’দুলিল্লাহ। হক্বের পথে বাধা-বিপত্তি আসবেই। এটাই স্বাভাবিক। যে পথে কাঁ’টা নেই সেটা পথ নয়, সেটা কার্পেট। আর কার্পেটে হেঁটে মজলিশে পৌঁছানো যায়, মনজিলে নয়। মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারেনা। তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহ।’



তথ্যসূত্র:dhakanewsbd.net

আল্লাহর আইন মেনে শুধু হালাল খাবার খাওয়ায় করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদে চীনা মুসলিমরা



করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে চীন সহ সারাবিশ্বে মা’রাত্মক আকার ধারন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ইতিমধ্যে এটাকে মহা’মারী আকারে ঘোষনা করেছে। পুরোপুরি অবরু’দ্ধ রাখা হয়েছে করে দেওয়া হয়েছে চীনের উহান ও হুবেই শহর। শুধু চীন নয় আক্রান্ত হয়েছে ইন্ডিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, হংকং সহ বিশ্বের প্রায় বিশটি দেশ।

বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারলাইন্স সহ প্রায় সব কয়টি দেশের বিমান যোগাযোগ। এত কিছু যখন ঘটে যাচ্ছে তখন কেমন আছেন সেদেশের উইঘুর মুসলিমরা। সম্প্রতি সিএনএন একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ।

সিএনএন এর দেওয়া সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইঘুর মুসলিমরা তাদের হালাল খাবার খাওয়ার কারনে এখনো অন্যান্য দের তুলনায় নিরাপদে আছে। তবে ভাইরাসটা যেহেতু সং’ক্রামক তাই তাদের আ’ক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি চীনের কোরনাভাইরাসের উৎপত্তি বাদুরের মাধ্যমে হওয়ায় বেশ গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তাদের খাদ্যাভাস নিয়ে। তাদের প্রিয় খাদ্যের তালিকায় রয়েছে তেলাপোকার ফ্রাই, টিকটিকি, ইঁদুর, সাপ, নানা রকম কীটপতঙ্গ ও বাদুরের জুস। মুসলিমদের খাদ্য তালিকায় হালাল ও হারাম বিভক্ত থাকায় তারা এসব খাবার ভক্ষন করেনা বিধায় চীনের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে বেশ নিরাপদেই রয়েছেন চীনা মুসলিমরা।

তথ্যসূত্র:agamirbarta.com

Friday, February 7, 2020

কোরআনের আলোকে তৈরি অপরুপ পার্কে ৭ মাসে ১০ লক্ষ মানুষের সমাগম




কুরআনিক পার্কে ৭ মাসে ১০ লাখ মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ের কুরআনিক পার্ক গত সাত মাসে ১০ লাখের অধিক লোক পরিদর্শন করেছেন। ইরানের বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, পার্কটি উদ্বোধনের শুরু থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কুরআনে বর্ণিত উদ্ভিদসমূহ দেখার জন্য সেখানে ভিড় জমায়।

উদ্বোধনের সাত মাস অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে দুবাইয়ের গভর্নর একটি উৎসবের ব্যবস্থা করে। এ পর্যন্ত দশ লাখ লোক পার্কটি পরিদর্শন করায় এ উৎসব পালন করা হয়। পার্কটি নির্মাণ করতে ২০০ মিলিয়ন দিরহামের অধিক অর্থ ব্যয় হয়েছে এবং এটি পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য একটি সফল প্রকল্প।

৬৪ হেক্টর জমির উপর এই কুরআনিক পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। পার্কে মোট ১৩টি বাগান রয়েছে। এসব বাগানে কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত ৪৫ প্রকার গাছ লাগানো হয়েছে এবং খাদ্য ও ঔষধ হিসেবে গাছগুলোর বর্ণনা উল্লেখ করা হয়েছে।

পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত অনেক অলৌকিক ঘটনা বিশেষ করে হযরত মুসা আ.এর লাঠির অলৌকিক ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও পার্কের সবুজ মনোরম দৃশ্য পরিদর্শকের হৃদয়ে প্রশান্তির ছায়া ফেলে দেয়। বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন দুবাইয়ের কুরআনিক পার্ককে বিশ্বে পর্যটকদের ১০০টি স্থানের মধ্যে তুলে ধরেছে।


তথ্যসূত্র:bartabahok.net

৫০ বছর অপেক্ষার পর স্লোভেনিয়ায় দৃষ্টিনন্দন প্রথম মসজিদ !




মধ্য ইউরোপের একটি দেশ। আগে যুগোস্লাভিয়ার অংশ ছিল দেশটি। দেশটিতে এ প্রথম নির্মিত হচ্ছে একটি মসজিদ। দেখতে অনেক সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি।


এ অঞ্চলে বসবাসরত মুসলিমরা দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে মসজিদ নির্মাণে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। বিভিন্ন মহলের বিরোধিতার কারণে এতদিন তা নির্মাণ সম্ভব হয়নি।

অবশেষে মুসলমানদের সে চেষ্টায় সফলতার মুখ দেখেছে। মুসলিমরা অর্ধ শতাব্দীর প্রতিক্ষার পর পেয়েছে সে সুযোগ। মসজিদের নির্মাণ কাজও প্রায় শেষের পথে।

মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়া মসজিদ না থাকার অভিযোগে ২০১৫ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।

কারণ বর্ণনা করে তারা সে সময় বলেছিলেন, ‘দেশটিতে মুসলিমদের জন্য কোনো মসজিদ নেই। স্লোভেনিয়ায় তাদের আশ্রয় দিলে তারাই সমস্যার মুখোমুখি হবে।

সেই স্লোভেনিয়ায় মসজিদ নির্মাণ নিঃসন্দেহে সেসব মুসলিমদের জন্য সুখবর, যারা দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের দাবি করে আসছিল; আবার যেসব মুসলিম শরণার্থীরা ইতোমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে দেশটিতে তাদের জন্য এটি সুসংবাদ।

৫০ বছরের দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর হলেও স্লোভেনিয়ায় মসজিদের মিনার থেকে উচ্চরিত হবে কালেমার সুমহান আহ্বান। প্রশংসা সে মহান সত্ত্বার, যার একান্ত ইচ্ছায় অবশেষে মসজিদ পেল স্লোভেনিয়ায় বসবাসকারী মুসলমানরা। আলহামদুলিল্লাহ! শুকরিয়া সেই মহান প্রভুর কাছে।

আরো পড়ুন-৯২ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করলেন এই বৃদ্ধা!

বেলজিয়ামের প্রবীণ নারী নাগরিক জর্জেট লেপলের বয়স ৯২ বছর। ইসলামের সৌন্দর্য দেখে প্রতিবেশির অনুপ্রেরণায় তিনি ৯২ বছর বয়সে পবিত্র ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। প্রবীণ নারী জর্জেট লেপল-এর শেষ ৫০ বছরের প্রতিবেশি মুহাম্মাদ ও তার পরিবার।

জর্জেট লেপলের মেয়ে ছাড়া পরিবারের কোনো সদস্য জীবিত না থাকার কারণে তিনি মুহাম্মাদের স্ত্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। মুহাম্মাদ ও তার স্ত্রীর এক ছেলে ও ২ মেয়ের ছোট্ট পরিবারের সঙ্গী।

জর্জেট লেপল মুহাম্মাদের পরিবারের সঙ্গে থাকাকালীন সময়ে কাছ থেকে দেখেন তাদের প্রার্থনা ও ইসলামে রীতিনীতি। এগুলোই তাকে ইসলাম গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে তোলে। জর্জেট লেপল লক্ষ্য করেন, মুসলিম পরিবারের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে কীভাবে কথা বলে, তার খোঁজ-খবর কীভাবে রাখে।

তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা, সেবা-যত্ন ও প্রার্থনা দেখে তার খুবই ভালো লেগেছিল। জর্জেট পেপল বলেন, ‘তার নিজের মেয়ে রয়েছে কিন্তু সে মেয়ে তাকে ডাকে না, তার খোঁজ-খবরও রাখে না। অথচ মুহাম্মাদের পরিবার তার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করে এবং সার্বক্ষণিক যত্ন নেয়। তাদের এ সদ্ব্যহার তাকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে।

গত রমজান মাসে জর্জেট পেপল এই মুসলিম পরিবারের সঙ্গেই মরক্কো ভ্রমণ করেন। সেখানে তিনি অনেক লোকের এক সঙ্গে রোজা পালন করতে দেখেন এবং একে অপরের যত্ন ও মেহমানদারি করতে দেখেন।

মরক্কো থাকাকালে তিনি এ চিন্তা করে হতবাক হয়ে যান যে, জীবনের শেষ সময়ে এসে তিনি ইসলামের সৌন্দর্য দেখতে পেলেন। তবে জর্জেট পেপল জীবনের শেষ সময়ে এসে ইসলামের সন্ধান পেয়েও আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

তিনি মুহাম্মাদের পরিবারের সঙ্গে মরক্কো থেকে ব্রাসেলসে ফিরে আসেন। তিনি ব্রাসেলস মসজিদে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘নূর ইসলাম’।

আরো পড়ুন-ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এরদোগানের তুরস্ক!

ইসরায়েলের জন্য হুমকি দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের হুমকি তালিকায় রয়েছে ইরান। অর্থাৎ তেহরানকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে তেল আবিব। একই সঙ্গে মনে করে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কারণেই নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারছে না তারা।

এবার সেই হুমকি তালিকায় তুরস্ককে যুক্ত করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানায়, আগামী বছরগুলোতে ইসরায়েলের জন্য কারা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে সে বিষয়ে প্রতি বছরই বার্ষিক একটি তালিকা প্রকাশ করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

এবার সেই তালিকায় তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করেছে তেল আবিবের সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল গত বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, তুরস্ক হুমকি হয়ে উঠলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি সরাসরি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হতেও পারে।

কারণ ইসরায়েল বিরোধী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েই যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। এদিকে ইসরায়েলের নতুন হুমকি তালিকার শীর্ষে কারা রয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই তালিকার শীর্ষে নিঃসন্দেহে ইরান অবস্থান করছে।

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে ইসরায়েল। তেল আবিব মনে করে, তাদের চারপাশে বিভিন্ন বাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলছে তেহরান

ইসলামি স্থাপত্যের মাস্টার পিস তুরস্কের ‘নীল মসজিদ’ যা ৪০০ বছর ধরে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে

ইউরোপে মসজিদের শহর নামে পরিচিত তুরস্কের ইস্তাম্বুল। উসমানীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত নীল মসজিদের প্রযুক্তিগত সৌন্দর্য সত্যিই দারুণ ও চিত্তাকর্ষক। নামাজের সময় ছাড়া বাকি সময়টাতে সব ধর্মের লোক এখানে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু সবাইকে মার্জিত পোশাক পড়ে সেখানে ঢুকতে হয়।

তুরস্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বলা হয় একে। এই মসজিদে প্রবেশ করার জন্য সবসময় ভিড় লেগে থাকে। এই মসজিদকে ইসলামী স্থ্যাপত্যের মাস্টার পিস বলা হয়ে থাকে। এই সুন্দর মসজিদের স্থপতি মুহাম্মদ আগা।

এই মসজিদটি নির্মাণের সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাইজান্টাইন রাজপ্রাসাদ,উসমানী আমলের অনেক অভিজাত ব্যাক্তিদের নিজস্ব প্রসাদ। এই মসজিদের অভ্যন্তরের দেয়াল নীল রঙের টাইলস দিয়ে সুসজ্জিত বলে এই মসজিদটি নীল মসজিদ ব্লু মস্ক নামে পরিচিত।

এটি ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে উসমানীয় সম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ নির্মাণ করেন। মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি মাদরাসা, একটি পান্থনিবাস এবং প্রতিষ্ঠাতার সমাধি অবস্থিত। মসজিদটির মূল একটি গম্বুজের পাশাপাশি আটটি গম্বুজ রয়েছে। মূল গম্বুজটির উচ্চতা ৪৩ মিটার।

মসজিদের চার কোণে চারটি ও পেছনে আরো দুইটিসহ মোট ছয়টি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদের মিনার ও গম্বুজগুলো নীল-সাদা সীসার গাঁথুনি দ্বারা আচ্ছাদিত এবং মিনার ও গম্বুজের ওপরের ভাগ সোনার প্রলেপযুক্ত তামায় নকশাকৃত।

ভেতরের দেয়ালগুলোর উপরিভাগে বাহারি কারুকাজ ও নকশাচিত্রের পাশাপাশি কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের ক্যালিগ্রাফি রয়েছে। ক্যালিগ্রাফিগুলো তৈরি করেছেন, সেসময়ের সেরা ক্যালিগ্রাফার সাইয়িদ কাসিম গুবারি। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ২৪০ ফুট ও প্রস্থ ২১৩ ফুট।


তথ্যসূত্র:bartabahok.net

জমজমের পানি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানি, প্রমাণ করলেন জা’পানের বিজ্ঞানী



এই জমজমের পানি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানি। পবিত্র জমজম নিয়ে রাসুল (সা.)-এর বহু হাদিস রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। মহানবী(সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হলো জমজমের পানি। তাতে রয়েছে তৃপ্তিরখাদ্য ও ব্যা’ধির আরো’গ্য।’ (আল-মুজামুল আউসাত, হাদিস : ৩৯১২)জা’পানের বিখ্যাত গবেষক মাসরু এমোতো জমজমেরপানি নিয়ে গবেষণা

করেছেন। তাঁর মতে, জমজমের এক ফোঁটা পানির যে নিজস্ব খনিজ গুণাগুণ আছে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে নেই।তিনি আরো বলেন, সাধারণ পানির এক হাজার ফোঁটার সঙ্গেযদি জমজমের পানির এক ফোঁটা মেশানো হয়, তাহলে সেই মিশ্রণও জমজমের পানির মতো

বিশুদ্ধ হয়। কেননাজমজমের পানির মতো বিশুদ্ধ পানি পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।খলিলুল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর পুত্র হ’জরত ইসমাঈল ও স্ত্রী’’’ হাজেরা (আ.)-এর এই স্মৃ’তিকে

মহান আল্লাহ এতটাই বরকতময় করে রেখেছেন যে, পৃথিবীতে এই পানির নজির আর তিনি রাখেননি। এই পানিকে তিনি বানিয়েছেন সম্পূর্ণ জীবা’ণুমুক্ত এবং হাজারো জীবাণুর প্রতিষে’ধক।জা’পানি বিজ্ঞানী মাসারু ইমোতো ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা করেছেন জমজমের পানির ওপর।কেন জমজমের পানি পৃথিবীর বিশুদ্ধতম পানি তার কিছু বৈজ্ঞানিক ধারণা বের করেছেন গবেষণার মাধ্যমে।১। এক ফোঁটা

জমজমের পানিতে যে পরিমাণ আকরিক পদার্থ থাকে তা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে থাকে না।২।

জমজমের পানির গুণগত মান কখনও পরিবর্তিত হয় না।৩। সাধারণ কূপের পানিতে জলজ উদ্ভিদ জন্মালেও জমজম কূপের পানিতে কোনো জলজ উদ্ভিদ বা অন্যান্য উদ্ভিদজাত অণু’জীব জন্মায় না।৪।

জমজমের পানিতে যেসব আকরিক পদার্থ পাওয়া গেছে তার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফ্লোরাইড, সোডিয়াম, ক্লোরাইড, সালফেট,নাইট্রেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম উল্লেখযোগ্য।ফ্লোরাইড ছাড়া বাকি মিনারেলগুলোর মাত্রা অন্যসব স্বাভাবিক খাবার পানিতে পাওয়া মাত্রা থেকে বেশি ছিল।৫। জমজমের পানিতে এন্টিমনি, বেরিলিয়াম, ব্রোমাইন,কোবাল্ট, বিস্মুথ, আয়োডিন আর মলিবডেনামের মতো পদার্থগুলোর মাত্রা ছিল ০.০১ ppm থেকেও কম। ক্রোমিয়াম, ম্যাংগানিজ আর টাইটানিয়াম এর মাত্রা ছিল একেবারেই নগণ্য।

৬। জা’পানি বিজ্ঞানীর পরীক্ষা অনুযায়ী জমজমের পানির pH হচ্ছে ৭ দশমিক ৮। যেটি সামান্য ক্ষারজাতীয়।বিজ্ঞানী তার পরীক্ষায় আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, সীসা এবং সেলেনিয়ামের মতো ক্ষ’তিকর পদার্থগুলো ঝুঁ’কিমু’ক্ত মাত্রায় পেয়েছেন। যে মাত্রাগুলোতে মানুষের কোনো ক্ষ’তি হয় না।৭। মাসারু তার পরীক্ষায় জমজমের পানির এমন এক ব্যতিক্রমধ’র্মী মৌলিক আকার পেয়েছেনযেটি খুবই চমকপ্রদ।

পানির দুইটি স্ফটিক সৃষ্টি হয়- একটি আরেকটির উপরে কিন্তু সেগুলো একটি অনুপম আকার ধারন করে।


তথ্যসূত্র:bearinggreatnews.com

মহাকাশে ১১ মাস কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরলেন এই নারী নভোচারী



প্রায় ১১ মাস মহাকাশে কাটিয়ে বৃহস্পতিবার পৃথিবীতে ফিরলেন মা'র্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশচারী ক্রিস্টিনা কোচ। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে মহাকাশে থেকে প্রথম নারী মহাকাশচারী হিসেবে রেকর্ড করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার নিরাপদেই পৃথিবীর বুকে পা রেখেছেন ক্রিস্টিনা।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ৩২৮ দিন ছিলেন তিনি। তার সঙ্গেই পৃথিবীতে ফিরেছেন ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির নুকা পারমিটানো এবং রাশিয়ান স্পেস এজেন্সির আলেকজান্ডার সোভোস্তভ। কাজাখস্তানের ল্যান্ডিং সাইটে স্পেস শাটলের মধ্যে হাসিমুখে বসে থাকতে দেখা গেছে ক্রিস্টিনাকে। গত বছরের ১৪ মা'র্চ পৃথিবী ছেড়েছিলেন তিনি।

এদিকে, এই দীর্ঘ সফরের পর ক্রিস্টিনাকে অ'ভিন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন মা'র্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে নিয়ে পুরো আমেরিকা গর্বিত বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘোড়ার পিঠে করে তিন মহাকাশচারীর পৃথিবীতে ফেরা দেখতে আসেন।

এর আগে নাসার মহাকাশচারী পেগি হুইটসন ২০১৬-১৭ সালে নারী নভোচারী হিসেবে সর্বোচ্চ ২৮৯ দিন মহাকাশে কাটিয়ে আসেন। সেই রেকর্ড ভাঙলেন ৪১ বছরের ক্রিস্টিনা।


তথ্যসূত্র: independentnewsbd.com

করোনা প্রতিরোধে সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা দিলেন বিল গেটস দম্পতি



প্রা'ণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ১০ কোটি ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে আটশ’ কোটি টাকা দান করার ঘোষণা দিয়েছেন বিল গেটস দম্পতি। তাদের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় এ অর্থ দান করা হবে। বুধবার ফাউন্ডেশনটির পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়েছে। খবর সিএনএন।

করোনা ভাইরাস শনাক্ত, ভ্যাকসিন গবেষণা এবং চিকিৎসার জন্য এ বিপুল অর্থ দানের ঘোষণা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং তার স্ত্রী' মেলিন্ডা গেটস। এ অর্থের মধ্যে দুই কোটি ডলার সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন চীনা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে।

এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা প্রায় ২ কোটি ডলার দান করেছেন। এছাড়া চীনা স্মা'র্টফোন নির্মাতা শাওমি শাওমির সিইও লি জুন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ১৮ লাখ ডলার দান করেছেন।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে ৬৩৬ জনের মৃ'ত্যু হয়েছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এ ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

ভ'য়াবহ রূপ নেয়া করোনা ভাইরাসে চীনে মৃ'তের সংখ্যা কেবল বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনে আরও ৭৩ জন মা'রা গেছেন। শুধু হুবেই প্রদেশে মৃ'তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৮ জনে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাসে মৃ'তের সংখ্যা ৬৩৮ ছাড়িয়ে গেছে।


তথ্যসূত্র:Indipendent news

Thursday, February 6, 2020

জীবনে সুস্থ থাকতে চাইলে বিয়ে করতে হবে অল্প বয়সে!




বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌ’ন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। বিয়ে শুধু একটি সামাজিক বন্ধনই না। বিয়ে দুটি মানুষকে একত্রে বেধে ফেলে।

বিয়ের ফলে দুটি মানুষের মনের আদান প্রদান হয়। যার ফলে দুটি মানুষ তাদের চিন্তা চেতনাকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করতে পারে। যার ফলে একাকিত্ব মনোভাব, হতাশা, ক্লান্তি সবই দূর করা সম্ভব। তাই সুস্থ থাকতে বিয়ে করা জরুরি।



সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে এমন তথ্য। বিয়ে এবং সুস্থ্ এই দুই নিয়ে কি বলা হয়েছে তা জেনে নিন-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: বিয়ের ফলে স্বামী-স্ত্রী’’র মধ্যে নিয়মিত শারীরিক স’ম্পর্ক স্থাপিত হয়। যার ফলে দম্পতির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

নারীর মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ: স্বাভাবিক যৌ’নজীবন নারীর মূত্রাশয়ের মাংসপেশীকে সক্রিয় রাখে। বিশেষ করে ‘অর্গাজমের’ সময় ‘পেলভিক ফ্লোরের’ মাংসপেশী সংকুচিত হয়, যা একটি ভালো ব্যায়ামও বটে। কারণ প্রায় ৩০ শতাংশ নারীর কোনো না কোনো সময় মূত্রাশয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

রক্তচাপ কমায়: নিয়মিত শারীরিক স’ম্পর্ক স্থাপিত হলে র’ক্তচাপ কমে বলে মনে করেন গবেষক জোসেফ জে. পিনসন। গবেষণা বলছে, শারীরিক স’ম্পর্ক র’ক্তচাপ কমায়।

ব্যায়াম: নিয়মিত শারীরিক স’ম্পর্কে প্রতি মিনিটে পাঁচ ক্যালোরি খরচ হয়। গবেষকরা জানান, শারীরিক মিলনে দু’ধরনের উপকার পাওয়া যায়। এক. হৃদকম্পনে গতি আনে, দুই. একই সঙ্গে অনেক মাংসপেশীকে সক্রিয় করে।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁ’কি: শারীরিক স’ম্পর্ক হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারি। হার্ট রেট ভালো রাখার পাশাপাশি ‘এস্ট্রোজেন’ এবং ‘টেস্টোস্টেরনের’ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষকরা জানান, যারা সপ্তাহে অন্তত দু’দিন শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তাদের হার্ট অ্যাটাকে মৃ’ত্যুর আশ’ঙ্কা কম।

ব্যথা কমায়: ব্যথা কমাতে ‘অর্গাজম’ বেশি কার্যকর। অধ্যাপক বেরি আর. কমিসারুক জানান, অর্গাজম ব্যথা বন্ধ করতে পারে। কারণ এতে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা শরীরের ব্যথা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ঘুম: শারীরিক স’ম্পর্কের পর দ্রুত ঘুমাতে পারবেন। কারণ অর্গাজমের সময় যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা দেহকে শিথিল করে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে।

মানসিক চাপ: সঙ্গীর ঘনিষ্ঠতা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে পারে। গবেষকরা জানান, সুস্থ জীবনের জন্য শারীরিক ঘনিষ্ঠতা অ’ত্যন্ত জরুরি।

অন্য সব ধর্মকে ছাড়িয়ে ইসলাম হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ‘বড় ধর্ম’



যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার এক প্রতিবেদনে বলেছে, আগামী ২০৭০ সালে অনুসারীর সংখ্যায় বিশ্বের অন্য সব ধ’র্মকে ছাড়িয়ে যাবে ইস’লাম৷ অর্থাৎ ৫৩ বছর পর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি থাকবে মু’সলমান৷ খবর ডয়চে ভেলের। ২০১০ সালে সারা বিশ্বে মোট ২১৭ কোটি মানুষ খ্রিষ্ট ধ’র্ম অনুসরণ করতো৷

তারপরই ছিল ইস’লাম ধ’র্মের অনুসারীরা৷ তখন বিশ্বে মোট ১৬০ কোটি ইস’লাম ধ’র্মাবলম্বী ছিল৷ কিন্তু পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদন বলছে, ৫ দশক পর খ্রিষ্ট ধ’র্মাবলম্বীদের পিছনে ফেলে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি হয়ে যাবে মু’সলমান৷ জন্মহার সবচেয়ে বেশি কেন এত দ্রুত ইস’লাম ধ’র্মাবলম্বীদের সংখ্যা বাড়বে? বলা হচ্ছে, সারা বিশ্বে মু’সলমানদের জন্মহার বেশি আর মূলত এ কারণেই সংখ্যায় সব ধ’র্মকে পিছনে ফেলবে তারা৷ মু’সলমানদের শি’শু জন্মহার ৩ দশমিক ১ শতাংশ আর খ্রিষ্টানদের ২ দশমিক ৭ শতাংশ৷

তরুণ অনুসারী বেশি। অন্য সব ধ’র্মের তুলনায় ইস’লাম ধ’র্মের তরুণ অনুসারী বেশি৷ এ মুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের বয়স ১৫ বছরের নীচে৷ অন্যদিকে ৩৪ শতাংশ ইস’লাম ধ’র্মবলম্বীর বয়স ১৫ বছরের কম৷ তার মানে, অন্যান্য ধ’র্মাবলম্বীদের তুলনায় ইস’লাম ধ’র্মাবলম্বীদের বেশি দিন সন্তান জন্ম দেয়ার সুযোগও বেশি৷

নাস্তিক কমবে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে নাস্তিক অনেক কমবে৷ এখন যেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ নাস্তিক, সেখানে ২০৫০ নাগাদ তা কমে হবে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ৷ ২০৭০ সালে সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মু’সলমান পিউ রিসার্চ সেন্টারের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে আরো যে বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে,

তা হলো, ২০১০ সাল থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে খ্রিষ্ট ধ’র্মাবলম্বী ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে৷ এই সময়ে ইস’লাম ধ’র্মাবলম্বী বাড়বে ৭৩ শতাংশ৷ ফলে এক সময় স্বাভাবিক কারণেই সংখ্যায় খ্রিষ্টান ধ’র্মাবলম্বীদের ছাড়িয়ে যাবে ইস’লাম৷ পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০৭০ নাগাদ সারা বিশ্বে মু’সলমানই সবচেয়ে বেশি থাকবে৷

তথ্যসূত্র: dailytime24.com

রাসূল (সা.) - হজরত আদম (আ.) পর্যন্ত পূর্বপুরুষগণের নামের তালিকারাসূল (সা.) - হজরত আদম (আ.) পর্যন্ত পূর্বপুরুষগণের নামের তালিকা



একনজরে দেখে নিন প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) থেকে আমাদের আদি পিতা হজরত আদম (আ.) পর্যন্ত পূর্বপুরুষগণের নামের তালিকা
১. হজরত মুহম্মদ মুস্তাফা (সা.)
২. তাঁহার পিতা আব্দুল্লাহ
৩. তাঁহার পিতা আব্দুল মোত্তালিব
৪. তাঁহার পিতা হাসিম
৫. তাঁহার পিতা আব্দ মানাফ
৬. তাঁহার পিতা কুছাই
৭. তাঁহার পিতা কিলাব
৮. তাঁহার পিতা মুরাহ
৯. তাঁহার পিতা কা’ব
১০. তাঁহার পিতা লুই
১১. তাঁহার পিতা গালিব
১২. তাঁহার পিতা ফাহর
১৩. তাঁহার পিতা মালিক
১৪. তাঁহার পিতা আননাদর
১৫. তাঁহার পিতা কিনান
১৬. তাঁহার পিতা খুজাইমা
১৭. তাঁহার পিতা মুদরাইকা
১৮. তাঁহার পিতা ইলাস
১৯. তাঁহার পিতা মুদার
২০. তাঁহার পিতা নিজার
২১. তাঁহার পিতা মা’দ
২২. তাঁহার পিতা আদনান
২৩. তাঁহার পিতা আওয়াদ
২৪. তাঁহার পিতা হুমাইসা
২৫. তাঁহার পিতা সালামান
২৬. তাঁহার পিতা আওয
২৭. তাঁহার পিতা বুয
২৮. তাঁহার পিতা কামওয়াল
২৯. তাঁহার পিতা ওবাই
৩০. তাঁহার পিতা আওয়ান
৩১. তাঁহার পিতা নাসিদ
৩২. তাঁহার পিতা হিযা
৩৩. তাঁহার পিতা বালদাস
৩৪ . তাঁহার পিতা ইয়াদলাফ
৩৫. তাঁহার পিতা তাবিখ
৩৬. তাঁহার পিতা জাহিম
৩৭. তাঁহার পিতা নাহিস
৩৮. তাঁহার পিতা মাখি
৩৯. তাঁহার পিতা আ’য়েফ
৪০. তাঁহার পিতা আবকার
৪১. তাঁহার পিতা উবাইদ
৪২. তাঁহার পিতা আদ দাহা
৪৩. তাঁহার পিতা হামদান
৪৪. তাঁহার পিতা সানবার
৪৫. তাঁহার পিতা ইয়াসরিবি
৪৬. তাঁহার পিতা ইয়াহজিন
৪৭. তাঁহার পিতা ইয়ালহান
৪৮. তাঁহার পিতা ইরাওয়া
৪৯. তাঁহার পিতা আইযি
৫০. তাঁহার পিতা যিশান
৫১. তাঁহার পিতা আইছার
৫২. তাঁহার পিতা আফনাদ
৫৩. তাঁহার পিতা আইহাম
৫৪. তাঁহার পিতা মুকাসির
৫৫. তাঁহার পিতা নাহিস
৫৬. তাঁহার পিতা যারিহ
৫৭. তাঁহার পিতা সামি
৫৮. তাঁহার পিতা মায্যি
৫৯. তাঁহার পিতা ইওয়াদ
৬০. তাঁহার পিতা ইরাম
৬১. তাঁহার পিতা হিদার
৬২. তাঁহার পিতা হজরত ইসমাইল (আ.)
৬৩. তাঁহার পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.)
৬৪. তাঁহার পিতা তারক
৬৫. তাঁহার পিতা নাহুর
৬৬. তাঁহার পিতা সারুয
৬৭. তাঁহার পিতা রা’উ
৬৮. তাঁহার পিতা ফাহিয
৬৯. তাঁহার পিতা আবীর
৭০. তাঁহার পিতা আফরাহশাদ
৭১. তাঁহার পিতা সা’ম
৭২. তাঁহার পিতা হজরত নূহ (আ.)
৭৩. তাঁহার পিতা লামিক
৭৪. তাঁহার পিতা মাতু সালিখ
৭৫. তাঁহার পিতা হযরত ঈদ্রীস (আ.)
৭৬. তাঁহার পিতা ইয়ারিদ
৭৭. তাঁহার পিতা মালহালিল
৭৮. তাঁহার পিতা কিনান
৭৯. তাঁহার পিতা আনস
৮০. তাঁহার পিতা হজরত শীস (আ.)
৮১. তাঁহার পিতা হজরত আদম (আ.)

Wednesday, February 5, 2020

ছোট পেটে সন্তানের জায়গা হয় কিন্তু বিরাট ফ্ল্যাটে মায়ের জায়গা হয় না




দশ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ, কষ্টের তীব্রতা সহ্য করে যে মানুষটি সন্তানের জন্ম দেন, তিনিই মা। বাবাও যে কোন ত্যাগ স্বীকার করেন না, এমন নয়! জীবনের সবটুকু দিয়ে সন্তানকে মানুষ করেন। কিন্তু সেই সন্তানরা কি বাবা-মাকে মনে রাখে?

সন্তানের কাছে মা-বাবার বেশি কিছু চাওয়ার থাকে না। থাকে শেষ বয়সে আদরের সন্তানের পাশে থেকে সুখ-দুঃখ ভাগ করার ইচ্ছা। আর এ ইচ্ছা নিয়েই প্রত্যেক মা-বাবা প্রহর গুণতে থাকেন দিবা-রজনী। কিন্তু অনেকেরই সেই সন্তানের কাছে আশ্রয় না হয়ে আশ্রয় হয় আপনজনহীন বৃদ্ধাশ্রমে। শেষ বয়সে মস্ত ফ্ল্যাটের ঘরের কোণেও জনমদুখী মা-বাবার এতটুকুও জায়গা মিলে না। ওদের ছুঁড়ে দেয়া হয় প্রবীণ নিবাসনামীয় নরকে। তবুও প্রতিবাদ দানা বাঁধে না; মন অভিশাপ দেয় না।

আজ যারা বৃদ্ধ তারা নিজেদের জীবনের সব সময় এবং ধন সম্পদ বিনিয়োগ করেছেন সন্তানের জন্য, নিজের জন্য রাখেননি কিছুই। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের কাছ থেকে এর একটি ক্ষুদ্র অংশও তারা পাচ্ছেন না। কখনো দেখা যায় সন্তান তার নিজের পরিবারের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই পিতা-মাতাকে মনে করছে বোঝা। নিজে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একটু ভালো থাকার জন্য বাবা-মার ঠাঁই করে দিয়েছেন বৃদ্ধাশ্রমে। আবার এমনো দেখা যায় যে সন্তানের টাকা পয়সার অভাব নেই, কিন্তু পিতা-মাতাকে নিজের কাছে রাখার প্রয়োজন বোধ করছেন না, বা বোঝা মনে করছেন। হয় নিজেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রমে, নয়ত অবহেলা দুর্ব্যবহার করে এমন অবস্থার সৃষ্টি করছেন যেন তাদের পিতা-মাতা নিজেরাই সরে যান তার সাধের পরিবার থেকে। তবে এমন সন্তানের সংখ্যা অসংখ্য নয়।

একবার বৃদ্ধনিবাসে পাঠাতে পারলেই যেন সব দায়মুক্তি। এভাবে নানা অজুহাতে পিতা-মাতাকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। অনেক নামি-দামি বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, চাকরিজীবী যারা এক সময় খুব বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন, বৃদ্ধ বয়সে এসে নিজের সন্তানের দ্বারাই অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়ে বৃদ্ধাশ্রমের স্থায়ী বাসিন্দা হতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক সন্তান বা আত্মীয়-স্বজন আর তাদের কোনো খবরও নেন না। তাদের দেখতে আসেন না, এমনকি প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা বা জিনিসপত্রও পাঠান না। বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠানে বা ঈদের আনন্দের সময়ও পিতা-মাতাকে বাড়িতে নেন না।

এমনও শোনা যায়, অনেকে পিতা বা মাতার মৃত্যুশয্যায় বা মারা যাওয়ার পরও শেষবার দেখতে যান না। বৃদ্ধাশ্রম অবহেলিত বৃদ্ধদের জন্য শেষ আশ্রয়। তাদের সারাজীবনের অবদানের যথার্থ স্বীকৃতী, শেষ সময়ের সম্মান ও নিরাপত্তা দেয়া হয় এসব বৃদ্ধাশ্রমে। এখানে তারা নির্ভাবনায়, সম্মানের সঙ্গে, আনন্দের সঙ্গে বাকি দিনগুলো কাটাতে পারেন। প্রয়োজনে অনেক বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসারও সুন্দর ব্যবস্থা করা আছে। কিন্তু সব প্রাপ্তির মাঝেও এখানে যা পাওয়া যায় না তা হলো নিজের পরিবারের সান্নিধ্য।


তথ্য সূএ : ডেইলি বাংলাদেশ/টিআরএইচ

"১৪ই ফেব্রুয়ারি সকল কোচিং, প্রাইভেট বন্ধ" অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী



১৪ ফেব্রুয়ারি মানেই ভালোবাসা দিবস, আর ভালোবাসা দিবস মানেই ভন্ডামি।

১৪ ফেব্রুয়ারি উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা কোচিং আর প্রাইভেটের নাম করে বাসা থেকে বের হয়ে ঘুরতে যায়।

উঠতি বয়সে একটু ফুর্তি বেশিই থাকে, সেই ফুর্তি পার্ক থেকে শুরু করে চিপাচাপা পর্যন্ত গড়ায়।

এজন্যে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন "১৪ ফেব্রুয়ারি সকল প্রাইভেট আর কোচিং বন্ধ থাকবে"। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

আর কেউ যদি ধোঁকা দিয়ে প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যায় বা ডেটিং করতে গিয়ে ধরা খায় সেজন্য নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ।

ছেলেদের ক্ষেত্রে পশ্চাৎ দেশ বরাবর এক ডজন ডিম ইনপুট দেওয়া হবে আর মেয়েদের মাথার চুল একদম ব্লেড দিয়ে ন্যাড়া করে দেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে এই নতুন আইনটি সংসদে পাস করা হয়েছে।

Motivation: The Scientific Guide on How to Get and Stay Motivated

Motivation is a powerful, yet tricky beast. Sometimes it is really easy to get motivated, and you find yourself wrapped up in a whirlwind of excitement. Other times, it is nearly impossible to figure out how to motivate yourself and you're trapped in a death spiral of procrastination. This page contains the best ideas and most useful research on how to get and stay motivated.

This isn't going to be some rah-rah, pumped-up motivational speech. (That's not my style.) Instead, we're going to break down the science behind how to get motivated in the first place and how to stay motivated for the long-run. Whether you're trying to figure out how to motivate yourself or how to motivate a team, this page should cover everything you need to know.

You can click the links below to jump to a particular section or simply scroll down to read everything. At the end of this page, you'll find a complete list of all the articles I have written on motivation.

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই সৌদিতে আরেক ভাইরাসের হানা



সৌদি আরবে মারাত্মক সংক্রামক বার্ড ফ্লু দেখা দিয়েছে বলে বিশ্ব পশুস্বাস্থ্য সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্যা ওয়ার্ল্ড ওরগাইজেশন ফর অ্যানিমেল হেলথ বা ওআইই জানিয়েছে। বিশ্ব যখন চীনের উহান প্রদেশ থেকে সৃষ্ট করোনাভাইরাস ২০১৯-এনসিওভি'র সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত তখন এ হুঁশিয়ারি দেয়া হলো।

রাজধানী রিয়াদ থেকে দেড়শ’ কিলোমিটার উত্তরের সুদাইর অঞ্চলে বার্ড ফ্লু’র প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ওআইই জানায়, এ কারণে ২২ হাজারের বেশি এ রোগে মারা গেছে।
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে তিন লাখ ৮৫ হাজার পাখি মেরে ফেলা হয়েছে। সৌদি কৃষি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ের পর এই প্রথম সৌদিতে দেখা দিল বার্ড ফ্লুর প্রকোপ।
এর আগে বার্ড ফ্লু’র এইচ৫এন৪’র যে প্রজাতি সৌদি আরবে শনাক্ত করা হয়েছে তা মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটায় না বলে মনে করা হয়েছে। কিন্তু এ ভাইরাস আরও শক্তিশালী এবং রোগ বিস্তারে সক্ষমতা অর্জন করছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মসজিদে সালাত আদায় করলেন চায়নিজ প্রধানমন্ত্রী



চায়নিজ প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মসজিদে সালাত আদায় করলেন। AP এর লোগো সম্বলিত একটা ভিডিও ভাইরাল হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এখানে তার বক্তব্য হিসেবে কোট করা হয়েছে, “আমরা ভাষান্তরিত কুরআন থেকে আমাদের উপলব্ধি, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় আল্লাহর কাছে সিজদায় পড়া এবং মসজিদে গিয়ে নামাজ পরে প্রার্থনা করা।”

এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে অরবিট টাইমস ইউটিউব ও গুগুলের সহযোগিতায় দেখে, এটা ২০১৫ সালের একটা পুরাতন ভিডিও। ২০১৫ সালের মালয়েশিয়ার তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আহমেদ বাদায়ি বেইজিং এ ৫ দিনের সফরে এসেছিলেন তখন শুক্রবার জুম্মার সালাতে অংশ গ্রহণ করেছিলেন চাইনিজ প্রধানমন্ত্রী

বাদুড় মেরে স্যুপ বানিয়ে খেয়ে এই মহিলাই ছড়িয়েছেন কোরোনা ভাইরাস




ইতিমধ্যেই চীনে ছড়িয়ে পরেছে কোরোনা ভাইরাস। চীনে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫ এবং আক্রান্ত ৮৩০। প্রতিবেশী দেশের থেকে ভারতেও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ইতিমধ্যেই মুম্বাইতে দুইজন আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে।কি এই কোরোনা ভাইরাস?

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে সবার প্রথম এই ভাইরাস ছিল সাপের শরীরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর নাম দিয়েছে ২০১৯- NCOB।এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তির শ্বাসকষ্ট দেখা যায় এবং ক্রমশ তা গুরুতর হয়ে ওঠে। কিন্তু মানুষের শরীরে এই ভাইরাস থাকেনা।সাপ, বাদুর, ইত্যাদি প্রাণীদের মধ্যেই দেখা যায় এই ভাইরাস। তাহলে হঠাৎ কীকরে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লো এই ভাইরাস?




ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে একজন মহিলা একটি বাদুর মেরে তার স্যুপ তৈরি করে খাচ্ছে।মনে করা হচ্ছে তারপরই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ওই মহিলা আর তার থেকেই এই কোরোনা ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে মহামারীর আকার ধারণ করেছে।

এবার চট্টগ্রামে ‘করোনা ভাইরাস’ দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি




করোনা ভাই'রাস আক্রান্ত স'ন্দেহে চীন থেকে আসা দুই শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতা'লে ভর্তি করা হয়েছে। তারা ঢাকায় ২৪ জানুয়ারি এসেছিলেন। বুধবার রাতে দুই শিক্ষার্থীর লালার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা সফটওয়্যার ইঞ্জিনয়ার বলে জানা গেছে। আসার পর তারা জানান, চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি জানান, দুই শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মা'থা-ব্যথা সর্দি ছিল। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তারা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রা'ণঘাতী করোনা ভাই'রাসে চীনে এখন পর্যন্ত মৃ'তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে। এছাড়া এ ভাই'রাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০০ ছাড়িয়ে গেছে।