Thursday, September 9, 2021

Digital Marketing Full Course (eShikhon)

Drive Link: https://drive.google.com/drive/folders/13wJSQ2GC-MZwcAmNYhCRFSrOsPRdsZnu?usp=sharing

Tuesday, July 6, 2021

বৈদ্যুতিক পাওয়ার কি?

 বৈদ্যুতিক পাওয়ার হল কোন সার্কিটে একক সময়ে ব্যয়িত বিদ্যুৎ আর বৈদ্যুতিক এনার্জি হল নিদিষ্ট সময়ে বা মোট সময়ে ব্যয়িত বিদ্যুৎ ।

Wednesday, May 5, 2021

বগুড়ায় "ফ্রি ফায়ার" গেম নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ৩ রাজমিস্ত্রি শ্রমিক আহত


 বগুড়ার শাজাহানপুরে মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারপিট ও ছুরিকাঘাতে তিন কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


৪ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের বিহিগ্রাম এলাকায় এই ঘটনা ঘাটে।


আহতরা হলো, উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের শাহনগর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে মোজাহিদ হোসেন (২০), তোতা মিয়ার ছেলে রায়হান হোসেন (২২) এবং আজিজার রহমানের ছেলে সজিব আহমেদ (১৮)। আহতরা সবাই রাজমিস্ত্রির শ্রমিক বলে জানা গেছে।


স্থানীয় ইউপি সদস্য এমরান হোসেন জানান, মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলা নিয়ে শাহনগর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে ইলেকট্রিশিয়ান সুমন মিয়াকে (১৮) আহতরা এক সপ্তাহ আগে মারপিট করে। এরা সবাই একসঙ্গে চলাফেরা করে। ওই সময় শাহনগর স্থানীয় একটি ক্লাবে সালিস বৈঠক হয়। ওই ঘটনার জের ধরে আজ মঙ্গলবার সুমন মিয়া ও তার সহযোগীরা প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়।


শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


তথ্যসূএঃ boguralive

Thursday, April 22, 2021

সাইবার সিকিউরিটি কী? সাইবার সিকিউরিটি পরিচিতি | কিভাবে ইন্টারনেটে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন?



ইন্টারনেটের ব্যবহার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে তার সাথে বাড়ছে ইন্টারনেটে সিকিউরিটির গুরুত্ব। কারন আপনি  সাইবার সিকিউরিটি ছাড়া ইন্টারনেট জগতে টিকে থাকতে পারবেন না। অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিন্তু ইন্টারনেটে যে সব সময় সিকিউর রাখতে হবে নিজেকে সে বেপারে তারা অজ্ঞ। তাই ইন্টারনেট ব্যবহার যেন আমাদের ক্ষতির কারণ না হয়ে যায় তাই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। এই জন্য সাইবার সিকিউরিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ইন্টারনেট দিয়ে যেমনভাবে অনেকের ভাল করা সম্ভব তেমনিভাবে অনেকের নানাভাবে ক্ষতিও করা সম্ভব। তাই সবাই সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত জানতে হবে। আধুনিক সব ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস হ্যাকিং এর শিকার হতে পারে। তাই যদি সবসময় সাবধান থাকা উচিৎ যদি সব সময় সাবধান না থাকেন, তাহলে আপনিও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। সাইবার আক্রমণগুলি প্রতিষ্ঠান, কর্মচারী এবং ভোক্তাদের জন্য একটি বিপন্ন বিপদ।

সাইবার সিকিউরিটি কী? সাইবার সিকিউরিটি পরিচিতিঃ
সাইবার সিকিউরিটি হচ্ছে কোনও সাইবার অ্যাটাক থেকে নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং প্রোগ্রাম গুলি সুরক্ষিত ও পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া। ইন্টারনেটের জগতে হ্যাকিং বা ম্যালওয়ার অ্যাটাক থেকে বাঁচার জন্য যেসব ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয় সেই বিষয় গুলি সাইবার সিকিউরিটির মধ্যে পরে। ওয়েবসাইট অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করতে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যখন কেউ আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনকে অসৎ ভাবে অ্যাক্সেস নেয়ার চেষ্টা করে তখন তা হ্যাকিং এর আওতায় পরে। বা আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোন কেও হ্যাক করার চেষ্টা করছে।

আর এ ধরনের খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যয় সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

সাইবার হুমকি ধরনঃ
কি কি ধরনের সাইবার হুমকি আপনি পেতে পারেন সেসব সম্পর্কে জানাটা আগে জরুরী। যদি আপনি সাইবার হুমকি সম্পর্কে না জানেন তাহলে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে বুঝতে পারবেন না। তো চলুন কি কি ধরনের সাইবার হুমকি আপনি পেতে পারেন সেসব সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক।

অনেক ধরণের সাইবার হুমকি রয়েছে যা আপনার ডিভাইস এবং নেটওয়ার্কগুলিতে আক্রমণ করতে পারে, কিন্তু সাইবার হুমকি সাধারণত তিনটি ভাগে বিভক্ত সেগুলো হল Confidentiality, Integrity, and Availability.

Attacks on Confidentiality : এটি দ্বারা সাধারণভাবে বুঝায় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি এবং আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড তথ্য চুরি করা। অনেক আক্রমণকারীরা আপনার এসব তথ্য সংগ্রহ করবে এবং অন্যদের ব্যবহার করার জন্য এটি ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করবে।

Attacks on integrity : এই আক্রমণ দ্বারা সাধারণভাবে বুঝায় ব্যক্তিগত বা এন্টারপ্রাইজ sabotage তথ্য চুরি করা, এবং প্রায়ই লিক বলা হয়। এটি একটি সাইবারক্রিমিনাল অ্যাক্সেস এবং প্রকাশ্যে তথ্য প্রকাশ করবে এবং যেই সংস্থার তথ্য চুরি করবে সেই সংস্থার উপর বিশ্বাস হারানোর জন্য জনগণকে প্রভাবিত করবে। সহজ কথায় বলা যায় আপনার ব্যাবসা নষ্ট করার জন্য এসব হাকিং করা হয়ে থাকে।

Attacks on availability : এই ধরণের সাইবার আট্যাকের লক্ষ্য ব্যবহারকারীদের তাদের নিজস্ব ডেটা অ্যাক্সেস চুরি করবে এবং একটি নিদিষ্ট পরিমাণ ফি বা মুক্তিপণ না দেওয়া পর্যন্ত আপনার তথগুলো অবরুদ্ধ করে রাখবে। সাধারণত, এই সাইবার ক্রিমিনাল আপনার নেটওয়ার্ককে অনুপ্রবেশ করবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ডেটা অ্যাক্সেস থেকে আপনাকে অবরুদ্ধ করবে। আপনি আপনার ডাটা গুলোর অ্যাক্সেস পাবেন না।

নিচে কয়েকটি সাইবার হুমকির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে যা উপরে তালিকাভুক্ত তিনটি বিভাগে পড়ে:

১। Social engineering / সামাজিক প্রকৌশলী

২। APTs (Advanced Persistent Threats)

৩। Malware / 

৪। ভালনারবিলিটি

৫। ব্যাকডোর

৬। ডিরেক্ট অ্যাক্সেস অ্যাটাক

৭। ফিশিং


সাইবার নিরাপত্তা জন্য নিচের পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করুনঃ
১। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার সময় শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সাইট ব্যবহার করুন। যদি সাইটে “https://,” থাকে তাহলে সেই সাইটকে বিশ্বাস করা যেতে পারে, আর যদি “http://,” মানে s মিসিং থাকে তাহলে সেই সাইটকে বিশ্বাস করা যায় না।

২। অজানা কোন লিঙ্ক থেকে ইমেইল ওপেন করবেন না বা আপনার কোন Password দিবেন না।

৩। সর্বদা আপনার ডিভাইস আপডেট রাখা।

৪। সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধে করতে নিয়মিত আপনার ফাইলগুলি ব্যাকআপ করুন।

৫। Password দেওয়ার সময় উপরের কিঙ্ক দেখে নিবেন সব সময়। যাতে কেউ আপনার Password ফিসিং করতে না পারে।

Saturday, February 13, 2021

করোনাভাইরাস: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হল

 

এ নিয়ে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হল।

বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছুটির সময়সীমা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।


সেখানে বলা হয়েছে, 'কোভিড নাইনটিনের মহামারীর কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি আগামি ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।'


বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর গত ১৭ই মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যা এখন পর্যন্ত চালু হয়নি।


এরইমধ্যে বাতিল হয়ে গেছে ২০২০ সালের জেএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এছাড়া কোন শ্রেণীতে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। সব শিক্ষার্থীকে অটোপাস দেয়া হয়েছে।


সবশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই ছুটি ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এখন এই ছুটি আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করার ঘোষণা এলো।


তবে এই ছুটি চলাকালীন সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে।


গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে সংক্রমণের হার কমে যাওয়া সেইসঙ্গে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ায় স্কুলগুলোকে এই মাসের শুরুতেই সীমিত আকারে খোলার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছিল।

আব্দুর রাজ্জাক ও শাহরিয়ার নাফিস: ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশে দুই ক্রিকেটার

 

শাহরিয়ার নাফিস ও আব্দুর রাজ্জাক

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক এবং শাহরিয়ার নাফিস।

শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলার মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির সময় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অবসরের ঘোষণা দেন।


বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছিলেন এই দুই ক্রিকেটার।


বিবিসি বাংলার সাথে এই প্রসঙ্গে কথা হয়েছে শাহরিয়ার নাফিস এবং আব্দুর রাজ্জাকের।

'মাঠের বাইরে এখন অবদান রাখতে চাই'

অবসরের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডেপুটি ম্যানেজার, ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগে দায়িত্ব পেয়েছেন শাহরিয়ার নাফিস আহমেদ।


অবসর নেয়ার কারণ হিসাবে তিনি বলছেন, ''একুশ বছর ধরে আমি ক্রিকেট খেলছি। আমি মনে করছি, একজন ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসাবে আমি যতটুকু অবদান রাখতে পারবো, মাঠের বাইরে গিয়ে বরং আমি (তার থেকে) অনেক বেশি অবদান রাখতে পারবো।''


''বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, সেই সুযোগ নেয়ার জন্যই আমি এখন অবসরের সিদ্ধান্ত নিলাম।''


ইএসপিএন ক্রিকেটইনফোর তথ্য অনুযায়ী, বাম হাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাফিস ২৪টি টেস্ট আর ৭৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে তার সর্বোচ্চ স্কোর ১৩৮ আর ওয়ানডেতে ১২৩। ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ তিনি খেলেছেন ১২৪টি।


শাহরিয়ার নাফিস বলছেন, তার ছেড়ে যাওয়া স্থান পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটাররা পূরণ করে দেবে।


তিনি বলেন, ''কোন শূন্যতা থাকেই না, আমার পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটার যারা আছেন, তারা সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারবেন। আমি এমন একটা জায়গা রেখে যাচ্ছি, যখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেকদূর এগিয়েছে। সেই এগিয়ে যাওয়ার পথে আমার অল্প হলেও কিছু অবদান রয়েছে, সেটা ভেবে আমার ভালো লাগছে।''


'খেলাকে সবসময়েই মিস করবো'


শনিবার ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছেন আরেকজন ক্রিকেটার বোলার আব্দুর রাজ্জাক।


তবে মাঠ থেকে বিদায় নিলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে তিনি নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন।


বিবিসি বাংলাকে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ''অনেকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক খেলা হচ্ছিল না, ডোমেস্টিকেও অনেকদিন ধরে কোন খেলা নেই। আসলে একটা না একটা সময় খেলা থেকে বিদায় নিতেই হবে।


''ক্রিকেট বোর্ডের অফার ছিল, আমি নির্বাচক হিসাবে জয়েন করতে পারবো। হয়তো একটু আগে হচ্ছে, তারপরেও ঠিক আছে। আমাকে তো একটা না একটা সময় খেলা ছাড়তেই হতো। একটা নতুন জায়গায় আমাকে অ্যাডজাস্ট করতে হবে, সেটার জন্য না হয় আরেকটু বেশি সময় পাওয়া গেল,'' তিনি বলছিলেন।


টানা বিশ বছর ধরে ফার্স্টক্লাস ক্রিকেট খেলার পর এখন নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক। তবে খেলাকে তিনি ভবিষ্যতেও মিস করবেন।


''এই জিনিস মিস না করার কোন কারণ নেই। এতদিন ধরে খেলেছি, খুব স্বাভাবিকভাবেই মিস করবো। তারপরেও বাস্তবতা হলো, একটা সময়ে তো সরে আসতেই হবে।''


আব্দুর রাজ্জাক ১৩টি টেস্ট ম্যাচ আর ১৫৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৩৪টি। ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছেন ১৩৭টি।


টেস্ট, ওয়ানডে, ফার্স্ট ক্লাস আর টি টোয়েন্টি মিলিয়ে তার সংগ্রহ করা মোট উইকেটের সংখ্যা ৯১৩টি।



Monday, January 4, 2021

বাংলাদেশে প্রচলিত এবং ইসলামী ধারার ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কী

 

ইসলামী ধারার ব্যাংকে টাকা বিনিয়োগ করতে চান অনেকে


বাংলাদেশে এতদিন প্রচলিত ধারার ব্যাংকিং করছিল এমন একটি ব্যাংক তার নাম পরিবর্তন করে ইসলামী ধারার ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে।


নতুন বছরের শুরু থেকে পূর্ণাঙ্গ শরীয়াহভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে এনআরবি গ্লোবাল নামের এই ব্যাংকটি। তাদের নতুন নাম হয়েছে 'গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।'


সম্প্রতি এরকম দু'টি ব্যাংক ইসলামী ধারার ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করায় বাংলাদেশে এ ধরনের ব্যাংকের সংখ্যা বেড়ে ১০-এ উঠেছে।


ইসলামী ব্যাংক এবং প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কী?

বাংলাদেশে সম্প্রতি প্রচলিত ধারার বেশ কিছু ব্যাংকে ইসলামী ধারার ব্যাংকের একটি 'উইণ্ডো' খোলা হয়েছে।

এদের মূল পার্থক্যটা কী - জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষক তাসনিমা খান বলছিলেন, মূল পার্থক্যের জায়গাটা হচ্ছে সুদ এবং মুনাফার হিসেবের ক্ষেত্রে।


তিনি বলছিলেন "মূল ধারার ব্যাংকিং এ সুদের বা ইন্টারেস্টের বিষয়টা থাকে। আমরা যখন ব্যাংকে টাকা জমা রাখি তখন একটা নির্দিষ্ট হারে সুদ দেয়াই হচ্ছে। সেখানে ব্যাংকের লাভ বা ক্ষতি হোক আমরা যারা টাকা জমা রাখছি আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় হয় না। কিন্তু ইসলামে যেহেতু সুদকে হারাম বলা হয়ে থাকে তাই এটা অনেকের কাছে অনেকটা গ্যাম্বলিং এর মত"।


মূল পার্থক্য সুদ ও লভ্যাংশের

তাসনিমা খান বলছিলেন "ইসলামের ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে এটা একটা শেয়ারিং মেথড হবে। 'প্রফিট-লস-শেয়ারিং' অর্থাৎ ব্যাংক যেহেতু আমার কাছ থেকে আমানত রাখছে, ব্যাংকের যদি লাভ হয় তাহলে আমার আমানতের উপর আমি লভ্যাংশ পেতে পারি। কিন্তু ব্যাংকের যদি ক্ষতি হয় তাহলে আমি লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য যোগ্য হব না। এটাই প্রচলিত এবং ইসলামী ধারা ব্যাংকের মধ্যে মূল পার্থক্য"।

ইসলামী ধারার ব্যাংকিংএর কয়েকটি দিক

মুদারাবা কনসেপ্ট- মুনাফার অংশীদারি


মুরাবাহা- লাভে বিক্রি (লোনের ক্ষেত্রে)


মুসারাকা- লাভ লোকসানের ভাগাভাগি


আর এই লাভ লোকসানের ভাগাভাগির ক্ষেত্রে ইসলামী ধারা মানা হয় না বলে মনে করেন অনেকে।


বাংলাদেশ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন বলছিলেন, দুই ধারার ব্যাংকের একটা মিল হল তাদের কর্তৃপক্ষ বা রেগুলেটরি এক অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোথাও ইসলামী কোন উইং নেই।


মি. আমিন বলছিলেন, "ইসলামী ধারা ব্যাংকে লাভ বা ক্ষতির উপর মুনাফার অংশ হেরফের হতে পারে। আগে থেকে কোন কিছু নির্দিষ্ট থাকবে না। কিন্তু আমাদের দেশে ইসলামী ব্যাংকে আগে থেকেই জানা যায় রেট, যে আমানতকারী কত শতাংশ মুনাফা পাবে"।


বাংলাদেশে যে দশটি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে

ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক। এর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছে।


এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক নাম পরিবর্তন করে আজ থেকে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক করা হয়েছে।


নতুন বছরের শুরু থেকে পূর্ণাঙ্গ শরীয়াহভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করছে ব্যাংকটি।


পাশাপাশি ইসলামি ধারার সেবার জন্য প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ৮০টির মতো শাখা ও উইন্ডো রয়েছে।