Saturday, February 13, 2021

করোনাভাইরাস: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হল

 

এ নিয়ে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হল।

বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছুটির সময়সীমা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।


সেখানে বলা হয়েছে, 'কোভিড নাইনটিনের মহামারীর কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি আগামি ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।'


বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর গত ১৭ই মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যা এখন পর্যন্ত চালু হয়নি।


এরইমধ্যে বাতিল হয়ে গেছে ২০২০ সালের জেএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এছাড়া কোন শ্রেণীতে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। সব শিক্ষার্থীকে অটোপাস দেয়া হয়েছে।


সবশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই ছুটি ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এখন এই ছুটি আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করার ঘোষণা এলো।


তবে এই ছুটি চলাকালীন সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে।


গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে সংক্রমণের হার কমে যাওয়া সেইসঙ্গে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ায় স্কুলগুলোকে এই মাসের শুরুতেই সীমিত আকারে খোলার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছিল।

আব্দুর রাজ্জাক ও শাহরিয়ার নাফিস: ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশে দুই ক্রিকেটার

 

শাহরিয়ার নাফিস ও আব্দুর রাজ্জাক

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক এবং শাহরিয়ার নাফিস।

শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলার মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির সময় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অবসরের ঘোষণা দেন।


বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছিলেন এই দুই ক্রিকেটার।


বিবিসি বাংলার সাথে এই প্রসঙ্গে কথা হয়েছে শাহরিয়ার নাফিস এবং আব্দুর রাজ্জাকের।

'মাঠের বাইরে এখন অবদান রাখতে চাই'

অবসরের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডেপুটি ম্যানেজার, ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগে দায়িত্ব পেয়েছেন শাহরিয়ার নাফিস আহমেদ।


অবসর নেয়ার কারণ হিসাবে তিনি বলছেন, ''একুশ বছর ধরে আমি ক্রিকেট খেলছি। আমি মনে করছি, একজন ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসাবে আমি যতটুকু অবদান রাখতে পারবো, মাঠের বাইরে গিয়ে বরং আমি (তার থেকে) অনেক বেশি অবদান রাখতে পারবো।''


''বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, সেই সুযোগ নেয়ার জন্যই আমি এখন অবসরের সিদ্ধান্ত নিলাম।''


ইএসপিএন ক্রিকেটইনফোর তথ্য অনুযায়ী, বাম হাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাফিস ২৪টি টেস্ট আর ৭৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে তার সর্বোচ্চ স্কোর ১৩৮ আর ওয়ানডেতে ১২৩। ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ তিনি খেলেছেন ১২৪টি।


শাহরিয়ার নাফিস বলছেন, তার ছেড়ে যাওয়া স্থান পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটাররা পূরণ করে দেবে।


তিনি বলেন, ''কোন শূন্যতা থাকেই না, আমার পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটার যারা আছেন, তারা সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারবেন। আমি এমন একটা জায়গা রেখে যাচ্ছি, যখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেকদূর এগিয়েছে। সেই এগিয়ে যাওয়ার পথে আমার অল্প হলেও কিছু অবদান রয়েছে, সেটা ভেবে আমার ভালো লাগছে।''


'খেলাকে সবসময়েই মিস করবো'


শনিবার ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছেন আরেকজন ক্রিকেটার বোলার আব্দুর রাজ্জাক।


তবে মাঠ থেকে বিদায় নিলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে তিনি নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন।


বিবিসি বাংলাকে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ''অনেকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক খেলা হচ্ছিল না, ডোমেস্টিকেও অনেকদিন ধরে কোন খেলা নেই। আসলে একটা না একটা সময় খেলা থেকে বিদায় নিতেই হবে।


''ক্রিকেট বোর্ডের অফার ছিল, আমি নির্বাচক হিসাবে জয়েন করতে পারবো। হয়তো একটু আগে হচ্ছে, তারপরেও ঠিক আছে। আমাকে তো একটা না একটা সময় খেলা ছাড়তেই হতো। একটা নতুন জায়গায় আমাকে অ্যাডজাস্ট করতে হবে, সেটার জন্য না হয় আরেকটু বেশি সময় পাওয়া গেল,'' তিনি বলছিলেন।


টানা বিশ বছর ধরে ফার্স্টক্লাস ক্রিকেট খেলার পর এখন নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক। তবে খেলাকে তিনি ভবিষ্যতেও মিস করবেন।


''এই জিনিস মিস না করার কোন কারণ নেই। এতদিন ধরে খেলেছি, খুব স্বাভাবিকভাবেই মিস করবো। তারপরেও বাস্তবতা হলো, একটা সময়ে তো সরে আসতেই হবে।''


আব্দুর রাজ্জাক ১৩টি টেস্ট ম্যাচ আর ১৫৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৩৪টি। ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছেন ১৩৭টি।


টেস্ট, ওয়ানডে, ফার্স্ট ক্লাস আর টি টোয়েন্টি মিলিয়ে তার সংগ্রহ করা মোট উইকেটের সংখ্যা ৯১৩টি।