Friday, February 7, 2020

৫০ বছর অপেক্ষার পর স্লোভেনিয়ায় দৃষ্টিনন্দন প্রথম মসজিদ !




মধ্য ইউরোপের একটি দেশ। আগে যুগোস্লাভিয়ার অংশ ছিল দেশটি। দেশটিতে এ প্রথম নির্মিত হচ্ছে একটি মসজিদ। দেখতে অনেক সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি।


এ অঞ্চলে বসবাসরত মুসলিমরা দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে মসজিদ নির্মাণে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। বিভিন্ন মহলের বিরোধিতার কারণে এতদিন তা নির্মাণ সম্ভব হয়নি।

অবশেষে মুসলমানদের সে চেষ্টায় সফলতার মুখ দেখেছে। মুসলিমরা অর্ধ শতাব্দীর প্রতিক্ষার পর পেয়েছে সে সুযোগ। মসজিদের নির্মাণ কাজও প্রায় শেষের পথে।

মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়া মসজিদ না থাকার অভিযোগে ২০১৫ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।

কারণ বর্ণনা করে তারা সে সময় বলেছিলেন, ‘দেশটিতে মুসলিমদের জন্য কোনো মসজিদ নেই। স্লোভেনিয়ায় তাদের আশ্রয় দিলে তারাই সমস্যার মুখোমুখি হবে।

সেই স্লোভেনিয়ায় মসজিদ নির্মাণ নিঃসন্দেহে সেসব মুসলিমদের জন্য সুখবর, যারা দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের দাবি করে আসছিল; আবার যেসব মুসলিম শরণার্থীরা ইতোমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে দেশটিতে তাদের জন্য এটি সুসংবাদ।

৫০ বছরের দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর হলেও স্লোভেনিয়ায় মসজিদের মিনার থেকে উচ্চরিত হবে কালেমার সুমহান আহ্বান। প্রশংসা সে মহান সত্ত্বার, যার একান্ত ইচ্ছায় অবশেষে মসজিদ পেল স্লোভেনিয়ায় বসবাসকারী মুসলমানরা। আলহামদুলিল্লাহ! শুকরিয়া সেই মহান প্রভুর কাছে।

আরো পড়ুন-৯২ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করলেন এই বৃদ্ধা!

বেলজিয়ামের প্রবীণ নারী নাগরিক জর্জেট লেপলের বয়স ৯২ বছর। ইসলামের সৌন্দর্য দেখে প্রতিবেশির অনুপ্রেরণায় তিনি ৯২ বছর বয়সে পবিত্র ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। প্রবীণ নারী জর্জেট লেপল-এর শেষ ৫০ বছরের প্রতিবেশি মুহাম্মাদ ও তার পরিবার।

জর্জেট লেপলের মেয়ে ছাড়া পরিবারের কোনো সদস্য জীবিত না থাকার কারণে তিনি মুহাম্মাদের স্ত্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। মুহাম্মাদ ও তার স্ত্রীর এক ছেলে ও ২ মেয়ের ছোট্ট পরিবারের সঙ্গী।

জর্জেট লেপল মুহাম্মাদের পরিবারের সঙ্গে থাকাকালীন সময়ে কাছ থেকে দেখেন তাদের প্রার্থনা ও ইসলামে রীতিনীতি। এগুলোই তাকে ইসলাম গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে তোলে। জর্জেট লেপল লক্ষ্য করেন, মুসলিম পরিবারের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে কীভাবে কথা বলে, তার খোঁজ-খবর কীভাবে রাখে।

তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা, সেবা-যত্ন ও প্রার্থনা দেখে তার খুবই ভালো লেগেছিল। জর্জেট পেপল বলেন, ‘তার নিজের মেয়ে রয়েছে কিন্তু সে মেয়ে তাকে ডাকে না, তার খোঁজ-খবরও রাখে না। অথচ মুহাম্মাদের পরিবার তার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করে এবং সার্বক্ষণিক যত্ন নেয়। তাদের এ সদ্ব্যহার তাকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে।

গত রমজান মাসে জর্জেট পেপল এই মুসলিম পরিবারের সঙ্গেই মরক্কো ভ্রমণ করেন। সেখানে তিনি অনেক লোকের এক সঙ্গে রোজা পালন করতে দেখেন এবং একে অপরের যত্ন ও মেহমানদারি করতে দেখেন।

মরক্কো থাকাকালে তিনি এ চিন্তা করে হতবাক হয়ে যান যে, জীবনের শেষ সময়ে এসে তিনি ইসলামের সৌন্দর্য দেখতে পেলেন। তবে জর্জেট পেপল জীবনের শেষ সময়ে এসে ইসলামের সন্ধান পেয়েও আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

তিনি মুহাম্মাদের পরিবারের সঙ্গে মরক্কো থেকে ব্রাসেলসে ফিরে আসেন। তিনি ব্রাসেলস মসজিদে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘নূর ইসলাম’।

আরো পড়ুন-ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এরদোগানের তুরস্ক!

ইসরায়েলের জন্য হুমকি দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের হুমকি তালিকায় রয়েছে ইরান। অর্থাৎ তেহরানকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে তেল আবিব। একই সঙ্গে মনে করে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কারণেই নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারছে না তারা।

এবার সেই হুমকি তালিকায় তুরস্ককে যুক্ত করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানায়, আগামী বছরগুলোতে ইসরায়েলের জন্য কারা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে সে বিষয়ে প্রতি বছরই বার্ষিক একটি তালিকা প্রকাশ করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

এবার সেই তালিকায় তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করেছে তেল আবিবের সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল গত বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, তুরস্ক হুমকি হয়ে উঠলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি সরাসরি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হতেও পারে।

কারণ ইসরায়েল বিরোধী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েই যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। এদিকে ইসরায়েলের নতুন হুমকি তালিকার শীর্ষে কারা রয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই তালিকার শীর্ষে নিঃসন্দেহে ইরান অবস্থান করছে।

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে ইসরায়েল। তেল আবিব মনে করে, তাদের চারপাশে বিভিন্ন বাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলছে তেহরান

ইসলামি স্থাপত্যের মাস্টার পিস তুরস্কের ‘নীল মসজিদ’ যা ৪০০ বছর ধরে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে

ইউরোপে মসজিদের শহর নামে পরিচিত তুরস্কের ইস্তাম্বুল। উসমানীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত নীল মসজিদের প্রযুক্তিগত সৌন্দর্য সত্যিই দারুণ ও চিত্তাকর্ষক। নামাজের সময় ছাড়া বাকি সময়টাতে সব ধর্মের লোক এখানে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু সবাইকে মার্জিত পোশাক পড়ে সেখানে ঢুকতে হয়।

তুরস্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বলা হয় একে। এই মসজিদে প্রবেশ করার জন্য সবসময় ভিড় লেগে থাকে। এই মসজিদকে ইসলামী স্থ্যাপত্যের মাস্টার পিস বলা হয়ে থাকে। এই সুন্দর মসজিদের স্থপতি মুহাম্মদ আগা।

এই মসজিদটি নির্মাণের সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাইজান্টাইন রাজপ্রাসাদ,উসমানী আমলের অনেক অভিজাত ব্যাক্তিদের নিজস্ব প্রসাদ। এই মসজিদের অভ্যন্তরের দেয়াল নীল রঙের টাইলস দিয়ে সুসজ্জিত বলে এই মসজিদটি নীল মসজিদ ব্লু মস্ক নামে পরিচিত।

এটি ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে উসমানীয় সম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ নির্মাণ করেন। মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি মাদরাসা, একটি পান্থনিবাস এবং প্রতিষ্ঠাতার সমাধি অবস্থিত। মসজিদটির মূল একটি গম্বুজের পাশাপাশি আটটি গম্বুজ রয়েছে। মূল গম্বুজটির উচ্চতা ৪৩ মিটার।

মসজিদের চার কোণে চারটি ও পেছনে আরো দুইটিসহ মোট ছয়টি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদের মিনার ও গম্বুজগুলো নীল-সাদা সীসার গাঁথুনি দ্বারা আচ্ছাদিত এবং মিনার ও গম্বুজের ওপরের ভাগ সোনার প্রলেপযুক্ত তামায় নকশাকৃত।

ভেতরের দেয়ালগুলোর উপরিভাগে বাহারি কারুকাজ ও নকশাচিত্রের পাশাপাশি কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের ক্যালিগ্রাফি রয়েছে। ক্যালিগ্রাফিগুলো তৈরি করেছেন, সেসময়ের সেরা ক্যালিগ্রাফার সাইয়িদ কাসিম গুবারি। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ২৪০ ফুট ও প্রস্থ ২১৩ ফুট।


তথ্যসূত্র:bartabahok.net

No comments:

Post a Comment