Friday, January 27, 2023

Make Money Online 2023💸

There are several ways to make money online in 2023. Some popular options include: Online freelancing: You can offer your skills and services as a freelancer, such as writing, graphic design, or programming. Websites like Upwork and Freelancer allow you to find clients and work remotely. Selling products online: You can sell products through online marketplaces like Amazon, Etsy, or your own e-commerce website. Affiliate marketing: You can promote other people's products and earn a commission on any sales made through your unique referral link. Online tutoring or teaching: You can teach or tutor students online through platforms like VIPKid, Teachable or Zoom. Create and monetize YouTube channel: Create a YouTube channel around a specific niche, and monetize it through ads, sponsorships, and affiliate marketing. Investing in stocks, forex or crypto: You can invest in the stock market, forex market or crypto market, and earn money through capital gains or dividends. Note that making money online also requires time, effort, and patience. It's also important to research and understand the risks involved with any investment opportunities.

Thursday, September 9, 2021

Digital Marketing Full Course (eShikhon)

Drive Link: https://drive.google.com/drive/folders/13wJSQ2GC-MZwcAmNYhCRFSrOsPRdsZnu?usp=sharing

Tuesday, July 6, 2021

বৈদ্যুতিক পাওয়ার কি?

 বৈদ্যুতিক পাওয়ার হল কোন সার্কিটে একক সময়ে ব্যয়িত বিদ্যুৎ আর বৈদ্যুতিক এনার্জি হল নিদিষ্ট সময়ে বা মোট সময়ে ব্যয়িত বিদ্যুৎ ।

Wednesday, May 5, 2021

বগুড়ায় "ফ্রি ফায়ার" গেম নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ৩ রাজমিস্ত্রি শ্রমিক আহত


 বগুড়ার শাজাহানপুরে মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারপিট ও ছুরিকাঘাতে তিন কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


৪ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের বিহিগ্রাম এলাকায় এই ঘটনা ঘাটে।


আহতরা হলো, উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের শাহনগর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে মোজাহিদ হোসেন (২০), তোতা মিয়ার ছেলে রায়হান হোসেন (২২) এবং আজিজার রহমানের ছেলে সজিব আহমেদ (১৮)। আহতরা সবাই রাজমিস্ত্রির শ্রমিক বলে জানা গেছে।


স্থানীয় ইউপি সদস্য এমরান হোসেন জানান, মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলা নিয়ে শাহনগর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে ইলেকট্রিশিয়ান সুমন মিয়াকে (১৮) আহতরা এক সপ্তাহ আগে মারপিট করে। এরা সবাই একসঙ্গে চলাফেরা করে। ওই সময় শাহনগর স্থানীয় একটি ক্লাবে সালিস বৈঠক হয়। ওই ঘটনার জের ধরে আজ মঙ্গলবার সুমন মিয়া ও তার সহযোগীরা প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়।


শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


তথ্যসূএঃ boguralive

Thursday, April 22, 2021

সাইবার সিকিউরিটি কী? সাইবার সিকিউরিটি পরিচিতি | কিভাবে ইন্টারনেটে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন?



ইন্টারনেটের ব্যবহার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে তার সাথে বাড়ছে ইন্টারনেটে সিকিউরিটির গুরুত্ব। কারন আপনি  সাইবার সিকিউরিটি ছাড়া ইন্টারনেট জগতে টিকে থাকতে পারবেন না। অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিন্তু ইন্টারনেটে যে সব সময় সিকিউর রাখতে হবে নিজেকে সে বেপারে তারা অজ্ঞ। তাই ইন্টারনেট ব্যবহার যেন আমাদের ক্ষতির কারণ না হয়ে যায় তাই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। এই জন্য সাইবার সিকিউরিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ইন্টারনেট দিয়ে যেমনভাবে অনেকের ভাল করা সম্ভব তেমনিভাবে অনেকের নানাভাবে ক্ষতিও করা সম্ভব। তাই সবাই সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত জানতে হবে। আধুনিক সব ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস হ্যাকিং এর শিকার হতে পারে। তাই যদি সবসময় সাবধান থাকা উচিৎ যদি সব সময় সাবধান না থাকেন, তাহলে আপনিও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। সাইবার আক্রমণগুলি প্রতিষ্ঠান, কর্মচারী এবং ভোক্তাদের জন্য একটি বিপন্ন বিপদ।

সাইবার সিকিউরিটি কী? সাইবার সিকিউরিটি পরিচিতিঃ
সাইবার সিকিউরিটি হচ্ছে কোনও সাইবার অ্যাটাক থেকে নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং প্রোগ্রাম গুলি সুরক্ষিত ও পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া। ইন্টারনেটের জগতে হ্যাকিং বা ম্যালওয়ার অ্যাটাক থেকে বাঁচার জন্য যেসব ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয় সেই বিষয় গুলি সাইবার সিকিউরিটির মধ্যে পরে। ওয়েবসাইট অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করতে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যখন কেউ আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনকে অসৎ ভাবে অ্যাক্সেস নেয়ার চেষ্টা করে তখন তা হ্যাকিং এর আওতায় পরে। বা আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোন কেও হ্যাক করার চেষ্টা করছে।

আর এ ধরনের খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যয় সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

সাইবার হুমকি ধরনঃ
কি কি ধরনের সাইবার হুমকি আপনি পেতে পারেন সেসব সম্পর্কে জানাটা আগে জরুরী। যদি আপনি সাইবার হুমকি সম্পর্কে না জানেন তাহলে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে বুঝতে পারবেন না। তো চলুন কি কি ধরনের সাইবার হুমকি আপনি পেতে পারেন সেসব সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক।

অনেক ধরণের সাইবার হুমকি রয়েছে যা আপনার ডিভাইস এবং নেটওয়ার্কগুলিতে আক্রমণ করতে পারে, কিন্তু সাইবার হুমকি সাধারণত তিনটি ভাগে বিভক্ত সেগুলো হল Confidentiality, Integrity, and Availability.

Attacks on Confidentiality : এটি দ্বারা সাধারণভাবে বুঝায় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি এবং আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড তথ্য চুরি করা। অনেক আক্রমণকারীরা আপনার এসব তথ্য সংগ্রহ করবে এবং অন্যদের ব্যবহার করার জন্য এটি ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করবে।

Attacks on integrity : এই আক্রমণ দ্বারা সাধারণভাবে বুঝায় ব্যক্তিগত বা এন্টারপ্রাইজ sabotage তথ্য চুরি করা, এবং প্রায়ই লিক বলা হয়। এটি একটি সাইবারক্রিমিনাল অ্যাক্সেস এবং প্রকাশ্যে তথ্য প্রকাশ করবে এবং যেই সংস্থার তথ্য চুরি করবে সেই সংস্থার উপর বিশ্বাস হারানোর জন্য জনগণকে প্রভাবিত করবে। সহজ কথায় বলা যায় আপনার ব্যাবসা নষ্ট করার জন্য এসব হাকিং করা হয়ে থাকে।

Attacks on availability : এই ধরণের সাইবার আট্যাকের লক্ষ্য ব্যবহারকারীদের তাদের নিজস্ব ডেটা অ্যাক্সেস চুরি করবে এবং একটি নিদিষ্ট পরিমাণ ফি বা মুক্তিপণ না দেওয়া পর্যন্ত আপনার তথগুলো অবরুদ্ধ করে রাখবে। সাধারণত, এই সাইবার ক্রিমিনাল আপনার নেটওয়ার্ককে অনুপ্রবেশ করবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ডেটা অ্যাক্সেস থেকে আপনাকে অবরুদ্ধ করবে। আপনি আপনার ডাটা গুলোর অ্যাক্সেস পাবেন না।

নিচে কয়েকটি সাইবার হুমকির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে যা উপরে তালিকাভুক্ত তিনটি বিভাগে পড়ে:

১। Social engineering / সামাজিক প্রকৌশলী

২। APTs (Advanced Persistent Threats)

৩। Malware / 

৪। ভালনারবিলিটি

৫। ব্যাকডোর

৬। ডিরেক্ট অ্যাক্সেস অ্যাটাক

৭। ফিশিং


সাইবার নিরাপত্তা জন্য নিচের পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করুনঃ
১। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার সময় শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সাইট ব্যবহার করুন। যদি সাইটে “https://,” থাকে তাহলে সেই সাইটকে বিশ্বাস করা যেতে পারে, আর যদি “http://,” মানে s মিসিং থাকে তাহলে সেই সাইটকে বিশ্বাস করা যায় না।

২। অজানা কোন লিঙ্ক থেকে ইমেইল ওপেন করবেন না বা আপনার কোন Password দিবেন না।

৩। সর্বদা আপনার ডিভাইস আপডেট রাখা।

৪। সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধে করতে নিয়মিত আপনার ফাইলগুলি ব্যাকআপ করুন।

৫। Password দেওয়ার সময় উপরের কিঙ্ক দেখে নিবেন সব সময়। যাতে কেউ আপনার Password ফিসিং করতে না পারে।

Saturday, February 13, 2021

করোনাভাইরাস: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হল

 

এ নিয়ে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হল।

বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছুটির সময়সীমা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।


সেখানে বলা হয়েছে, 'কোভিড নাইনটিনের মহামারীর কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি আগামি ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।'


বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর গত ১৭ই মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যা এখন পর্যন্ত চালু হয়নি।


এরইমধ্যে বাতিল হয়ে গেছে ২০২০ সালের জেএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এছাড়া কোন শ্রেণীতে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। সব শিক্ষার্থীকে অটোপাস দেয়া হয়েছে।


সবশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই ছুটি ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এখন এই ছুটি আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করার ঘোষণা এলো।


তবে এই ছুটি চলাকালীন সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে।


গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে সংক্রমণের হার কমে যাওয়া সেইসঙ্গে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ায় স্কুলগুলোকে এই মাসের শুরুতেই সীমিত আকারে খোলার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছিল।

আব্দুর রাজ্জাক ও শাহরিয়ার নাফিস: ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশে দুই ক্রিকেটার

 

শাহরিয়ার নাফিস ও আব্দুর রাজ্জাক

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক এবং শাহরিয়ার নাফিস।

শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলার মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির সময় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অবসরের ঘোষণা দেন।


বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছিলেন এই দুই ক্রিকেটার।


বিবিসি বাংলার সাথে এই প্রসঙ্গে কথা হয়েছে শাহরিয়ার নাফিস এবং আব্দুর রাজ্জাকের।

'মাঠের বাইরে এখন অবদান রাখতে চাই'

অবসরের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডেপুটি ম্যানেজার, ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগে দায়িত্ব পেয়েছেন শাহরিয়ার নাফিস আহমেদ।


অবসর নেয়ার কারণ হিসাবে তিনি বলছেন, ''একুশ বছর ধরে আমি ক্রিকেট খেলছি। আমি মনে করছি, একজন ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসাবে আমি যতটুকু অবদান রাখতে পারবো, মাঠের বাইরে গিয়ে বরং আমি (তার থেকে) অনেক বেশি অবদান রাখতে পারবো।''


''বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, সেই সুযোগ নেয়ার জন্যই আমি এখন অবসরের সিদ্ধান্ত নিলাম।''


ইএসপিএন ক্রিকেটইনফোর তথ্য অনুযায়ী, বাম হাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাফিস ২৪টি টেস্ট আর ৭৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে তার সর্বোচ্চ স্কোর ১৩৮ আর ওয়ানডেতে ১২৩। ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ তিনি খেলেছেন ১২৪টি।


শাহরিয়ার নাফিস বলছেন, তার ছেড়ে যাওয়া স্থান পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটাররা পূরণ করে দেবে।


তিনি বলেন, ''কোন শূন্যতা থাকেই না, আমার পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটার যারা আছেন, তারা সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারবেন। আমি এমন একটা জায়গা রেখে যাচ্ছি, যখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেকদূর এগিয়েছে। সেই এগিয়ে যাওয়ার পথে আমার অল্প হলেও কিছু অবদান রয়েছে, সেটা ভেবে আমার ভালো লাগছে।''


'খেলাকে সবসময়েই মিস করবো'


শনিবার ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছেন আরেকজন ক্রিকেটার বোলার আব্দুর রাজ্জাক।


তবে মাঠ থেকে বিদায় নিলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে তিনি নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন।


বিবিসি বাংলাকে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ''অনেকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক খেলা হচ্ছিল না, ডোমেস্টিকেও অনেকদিন ধরে কোন খেলা নেই। আসলে একটা না একটা সময় খেলা থেকে বিদায় নিতেই হবে।


''ক্রিকেট বোর্ডের অফার ছিল, আমি নির্বাচক হিসাবে জয়েন করতে পারবো। হয়তো একটু আগে হচ্ছে, তারপরেও ঠিক আছে। আমাকে তো একটা না একটা সময় খেলা ছাড়তেই হতো। একটা নতুন জায়গায় আমাকে অ্যাডজাস্ট করতে হবে, সেটার জন্য না হয় আরেকটু বেশি সময় পাওয়া গেল,'' তিনি বলছিলেন।


টানা বিশ বছর ধরে ফার্স্টক্লাস ক্রিকেট খেলার পর এখন নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক। তবে খেলাকে তিনি ভবিষ্যতেও মিস করবেন।


''এই জিনিস মিস না করার কোন কারণ নেই। এতদিন ধরে খেলেছি, খুব স্বাভাবিকভাবেই মিস করবো। তারপরেও বাস্তবতা হলো, একটা সময়ে তো সরে আসতেই হবে।''


আব্দুর রাজ্জাক ১৩টি টেস্ট ম্যাচ আর ১৫৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৩৪টি। ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছেন ১৩৭টি।


টেস্ট, ওয়ানডে, ফার্স্ট ক্লাস আর টি টোয়েন্টি মিলিয়ে তার সংগ্রহ করা মোট উইকেটের সংখ্যা ৯১৩টি।



Monday, January 4, 2021

বাংলাদেশে প্রচলিত এবং ইসলামী ধারার ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কী

 

ইসলামী ধারার ব্যাংকে টাকা বিনিয়োগ করতে চান অনেকে


বাংলাদেশে এতদিন প্রচলিত ধারার ব্যাংকিং করছিল এমন একটি ব্যাংক তার নাম পরিবর্তন করে ইসলামী ধারার ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে।


নতুন বছরের শুরু থেকে পূর্ণাঙ্গ শরীয়াহভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে এনআরবি গ্লোবাল নামের এই ব্যাংকটি। তাদের নতুন নাম হয়েছে 'গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।'


সম্প্রতি এরকম দু'টি ব্যাংক ইসলামী ধারার ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করায় বাংলাদেশে এ ধরনের ব্যাংকের সংখ্যা বেড়ে ১০-এ উঠেছে।


ইসলামী ব্যাংক এবং প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কী?

বাংলাদেশে সম্প্রতি প্রচলিত ধারার বেশ কিছু ব্যাংকে ইসলামী ধারার ব্যাংকের একটি 'উইণ্ডো' খোলা হয়েছে।

এদের মূল পার্থক্যটা কী - জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষক তাসনিমা খান বলছিলেন, মূল পার্থক্যের জায়গাটা হচ্ছে সুদ এবং মুনাফার হিসেবের ক্ষেত্রে।


তিনি বলছিলেন "মূল ধারার ব্যাংকিং এ সুদের বা ইন্টারেস্টের বিষয়টা থাকে। আমরা যখন ব্যাংকে টাকা জমা রাখি তখন একটা নির্দিষ্ট হারে সুদ দেয়াই হচ্ছে। সেখানে ব্যাংকের লাভ বা ক্ষতি হোক আমরা যারা টাকা জমা রাখছি আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় হয় না। কিন্তু ইসলামে যেহেতু সুদকে হারাম বলা হয়ে থাকে তাই এটা অনেকের কাছে অনেকটা গ্যাম্বলিং এর মত"।


মূল পার্থক্য সুদ ও লভ্যাংশের

তাসনিমা খান বলছিলেন "ইসলামের ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে এটা একটা শেয়ারিং মেথড হবে। 'প্রফিট-লস-শেয়ারিং' অর্থাৎ ব্যাংক যেহেতু আমার কাছ থেকে আমানত রাখছে, ব্যাংকের যদি লাভ হয় তাহলে আমার আমানতের উপর আমি লভ্যাংশ পেতে পারি। কিন্তু ব্যাংকের যদি ক্ষতি হয় তাহলে আমি লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য যোগ্য হব না। এটাই প্রচলিত এবং ইসলামী ধারা ব্যাংকের মধ্যে মূল পার্থক্য"।

ইসলামী ধারার ব্যাংকিংএর কয়েকটি দিক

মুদারাবা কনসেপ্ট- মুনাফার অংশীদারি


মুরাবাহা- লাভে বিক্রি (লোনের ক্ষেত্রে)


মুসারাকা- লাভ লোকসানের ভাগাভাগি


আর এই লাভ লোকসানের ভাগাভাগির ক্ষেত্রে ইসলামী ধারা মানা হয় না বলে মনে করেন অনেকে।


বাংলাদেশ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন বলছিলেন, দুই ধারার ব্যাংকের একটা মিল হল তাদের কর্তৃপক্ষ বা রেগুলেটরি এক অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোথাও ইসলামী কোন উইং নেই।


মি. আমিন বলছিলেন, "ইসলামী ধারা ব্যাংকে লাভ বা ক্ষতির উপর মুনাফার অংশ হেরফের হতে পারে। আগে থেকে কোন কিছু নির্দিষ্ট থাকবে না। কিন্তু আমাদের দেশে ইসলামী ব্যাংকে আগে থেকেই জানা যায় রেট, যে আমানতকারী কত শতাংশ মুনাফা পাবে"।


বাংলাদেশে যে দশটি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে

ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক। এর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছে।


এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক নাম পরিবর্তন করে আজ থেকে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক করা হয়েছে।


নতুন বছরের শুরু থেকে পূর্ণাঙ্গ শরীয়াহভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করছে ব্যাংকটি।


পাশাপাশি ইসলামি ধারার সেবার জন্য প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ৮০টির মতো শাখা ও উইন্ডো রয়েছে।



Saturday, December 12, 2020

উচ্চশিক্ষা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার সময়সূচীর ব্যাপারে সুর নরম করলো


 বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নানা সময়ে পরীক্ষা নেয়ার আবেদন তাদের কাছে আসছে।


ছাব্বিশে ডিসেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে, কিন্তু হল খোলা হবে না - একাডেমিক কাউন্সিলের এমন সিদ্ধান্তের দুদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য বিবিসিকে বললেন, শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে, পরিস্থিতি বুঝে দেয়া হবে পরীক্ষার তারিখ। তবে পরীক্ষা হলেও আবাসিক হল না খোলার ব্যাপারেই অনঢ় তিনি।


এই পরীক্ষা যদি অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে এটা হবে করোনাভাইরাস মহামারির পর মূলধারার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম সশরিরে পরীক্ষা গ্রহণ।


মহামারির কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৷ গত জুন থেকে অনলাইনে ক্লাস চললেও এখন পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হয়নি।


বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ২৬ ডিসেম্বর থেকে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। এই খবর স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।


বিশেষ করে ঢাকার বাইরে থেকে আসা যেসব শিক্ষার্থী আবাসিক হলে থেকে বিশ্বাবিদ্যালয় পড়েন, তাদের বক্তব্য, পরীক্ষা দেয়ার জন্য জন্য ঢাকায় এসে কোথায় থাকবেন তারা? কীভাবে অংশ নেবেন পরীক্ষা?


  • সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটাই ভর্তি পরীক্ষা
  • মুক্ত চিন্তার জায়গা কমে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে?
  • ক্লাসে ফিরতে চান ঢাবি শিক্ষক রুশাদ ফরিদী
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ শাস্তি

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান

যে কারণে পরীক্ষা নিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়:


বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নানা সময়ে পরীক্ষা নেয়ার আবেদন তাদের কাছে আসছে।

কারণ তারা এখন চাকরির বাজারে ঢোকার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।

এছাড়া সেশন জট কমিয়ে আনাটাও একটা কারণ এই পরীক্ষা নেয়ার পিছনে।

এ কারণেই একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরুর তারিখ ঠিক করা হয়েছিলো এ বছরের ছাব্বিশে ডিসেম্বর।

কিন্তু এখন সুর নরম করে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বিবিসিকে বলছেন, "পরীক্ষার কোন ফাইনাল তারিখ দেয়া হয়নি। প্রতিটা বিভাগ তাদের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে, তাদের পরিস্থিতি বুঝে তারপর পরীক্ষার তারিখ ও রুটিন দেয়া হবে"।

ছাব্বিশ ডিসেম্বর তারিখটি ছিল উপাচার্যের চোখে একটি প্রস্তুতিমূলক সময়সূচী।

তবে হল না খোলার ব্যাপারে অনঢ় অবস্থানের কথা জানাচ্ছেন উপাচার্য।

তাহলে পরীক্ষা দিতে এসে কোথায় থাকবেন ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা?

উপাচার্যের ভাষায়, যেহেতু শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আগ্রহী, তাই তারা নিজেদের থাকার একটা ব্যবস্থা নিশ্চয়ই করতে পারবে বলে তার আশা।

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার যে প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক
  • বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে সব ফি আদায় করা যাবেনা
  • নবম থেকে এসএসসি পর্যন্ত পাঁচজনের একজন ঝরে পড়ছে

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৷

পরীক্ষা দিতে চান যারা:


সাদিয়া রহমান সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পর থেকেই তিনি যশোর জেলার নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছেন।

তিনি বলছেন, "পরীক্ষা হয়ে গেলে অন্তত বিভিন্ন চাকরির পরিক্ষাগুলোতে অংশ নিতে পারবো। সেটার জন্য যদি পরীক্ষা হয় তাহলে ঢাকায় থাকার একটা ব্যবস্থা করতে হবে"।

যেভাবে নেয়া হতে পারে পরীক্ষা:


মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলছেন, সবার আগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টা বিবেচনায় রাখতে হবে।

সেই বিবেচনায় পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সময় অর্ধেক কমিয়ে আনা হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি।

ভাবা হচ্ছে এক দিনে দুটো পরীক্ষা নেবার কথাও।

এছাড়া ইনকোর্স ও টিউটোরিয়াল পরীক্ষা অনলাইনের মাধ্যমে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

উপাচার্যের ভাষায়, "স্বল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে"।

তথ্য সূত্রঃ bbc.com

বাংলা একাডেমির ভার্চুয়াল বইমেলার সমালোচনায় প্রকাশক ও লেখকরা

 

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে ২০২১ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলা স্থগিত করার যে সিদ্ধান্ত বাংলা একাডেমি নিয়েছে সেটির কড়া সমালোচনা করছেন লেখক ও প্রকাশরা।


তারা প্রশ্ন তুলছেন, বাংলাদেশে শপিং-মল, কলকারখানা এবং গণ-পরিবহন সহ সবই যেহেতু স্বাভাবিক নিয়মে চলছে, সেক্ষেত্রে কেন বই মেলা বন্ধ রাখা হবে?

বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা বলছেন, বইমেলা আয়োজনের জন্য তারা আরো আগে থেকেই প্রস্তুত নেয়া শুরু করেছিলেন।

তাদের আশা ছিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির হয়তো উন্নতি হবে।

কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বাংলা একাডেমি ভিন্ন চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম পরিচালক ড. জালাল আহমেদ।

"আমাদের নির্বাহী পরিষদ, বাংলা একাডেমির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠান, সেটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় আপাতত বইমেলা স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা আবার বইমেলা শুরু করবো।"

তবে ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ভার্চুয়াল বইমেলা আয়োজন করা যেতে পারে বলে মনে করছে বাংলা একাডেমি।

লেখক এবং প্রকাশকরা বলছেন, বইমেলার প্রকৃত আবহ ভার্চুয়াল বইমেলার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব নয়।

ভার্চুয়াল বইমেলাকে সমর্থন করছেন না লেখক সাদিয়া নাসরিন।

লেখক সাদিয়া নাসরিন বলেন, "বইমেলা শুধু বই কেনা-বেচার জায়গা না। এখানে লেখক এবং পাঠকের মধ্যে যোগাযোগেরও জায়গা। এখানে আড্ডা হয়, গল্প হয়। এতবড় একটি জিনিস অনলাইনে করা সুন্দর বা সুখময় কিছু হবে বলে আমার মনে হয় না।"

প্রকাশকরা মনে করেন, একটু পরিকল্পনা গ্রহণ করলেই বইমেলা আয়োজন করা সম্ভব।


তথ্য সুএঃ bbc.com


মুজিব ভাস্কর্য: 'বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্ক চলবে না' - দেশজুড়ে আমলাদের সমাবেশ

ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে সব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা এসব সমাবেশ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ঢাকায় বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে বিসিএসের সব ক্যাডারদের -সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম- সমাবেশের আয়োজন করে যাতে সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস।

মিস্টার কায়কাউস তার বক্তৃতায় বলেন, "আমরা উনত্রিশটি ক্যাডার সার্ভিসের সবাই আজ অঙ্গীকার করছি যে জাতির পিতার অসম্মান আমরা হতে দিবোনা। জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান। আমরা সবাই কেন বক্তৃতার শেষে জয় বাংলা বলবোনা। আশা করি আজ থেকেই শুরু করবো এবং প্রয়োজনে সরকারের অনুমতি নিবো"।

এতে পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদসহ বিসিএস এর সবগুলোর ক্যাডারের অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবরাসহ প্রায় সব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছেন।

এমন সময় তারা এই প্রতিবাদ করছেন, যখন একদিন আগেই খবর বেরিয়েছে, ভাস্কর্যের বিরোধীতাকারী বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতাদের সাথে একটি সমঝোতা বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে সরকার।

সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদ বলেন, "স্বাধীনতা, সংবিধান, রাষ্ট্র ও জাতির জনক- নো বডি ক্যান টাচ দেম"।

"আমরা তাদের মোকাবেলা করবো। বঙ্গবন্ধু দেশ, পতাকা, মানচিত্র দিয়েছেন। তার ওপর হামলা সংবিধানের ও রাষ্ট্রের ওপর হামলা। রাষ্ট্র অবশ্যই বিধিবিধান অনুযায়ী কঠোর হস্তে মোকাবেলা করবে"।

বিসিএস অডিট ও অ্যাকাউন্টস এসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়া বলেন, "জাতির পিতাকে যারা অসম্মান করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করছি"।

বিসিএস কর অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফজলে হায়াত কায়সার বলেন, "বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতোনা, আর বাংলাদেশ না হলে এত ক্যাডার সার্ভিস হতোনা। ভাস্কর্য যারা ভেঙ্গেছে তারা দেশবিরোধী, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি"।

বিসিএস শুষ্ক ও আবগারি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কাস্টমস কমিশনার বলেন, "এখনো এ দেশে কিছু মানুষ দেখা যাচ্ছে যারা জাতির পিতাকে অশ্রদ্ধা করছেন। ভাস্কর্য ভাঙ্গার মতো দুঃসাহস দেখাচ্ছে। তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি"।

তিনি বলেন, "অনেক মুসলিম দেশে ভাস্কর্য আছে। আমরা কি তাহলে বেশি মুসলমান হয়ে গেছি। আসলে তারা স্বাধীনতার প্রতি আঘাত করতে চায়। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বঙ্গবন্ধু- এসব নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই"।


তথ্য সূএঃ bbc.com

Friday, May 15, 2020

আদমদীঘিতে শপিংমলে মানুষের উপচেপড়া ভীড়, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ



আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সরকারি ভাবে সীমিত সময় শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহিত স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছেন না। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিনিয়ত কাপড়, কসমেটিক, সেলুনসহ বিভিন্ন দোকানে শুরু হয়েছে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। ফলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম কাজে আসবে কিনা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

বগুড়ার জেলার আদমদীঘিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে উপজেলা ব্যাপি লকডাউন ঘোষনা করেন প্রশাসন। এরপর উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীর তৎপরতায় সামাাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ দোকানপাট ও যানবাহন সীমিত আকারে চলাচল করে। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার লকডাউন শিথিল করলে গত তিনদিন যাবত আদমদীঘি সদর, সান্তাহার পৌরসভা, চাঁপাপুর, কুন্দগ্রাম, নসরতপুর, মুরইল, ছাতিয়ানগ্রাম, ছাতনি-ঢেকড়া, সাওইল বিহিগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার গুলোতে নারী,পুরুষ ও শিশুদের উপচেপড়া ভীড় শুরু হয়েছে। তারা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাংশ ক্রেতা ও বিক্রেতাগন মাস্ক ব্যবহার করছেন না। মাছ ও মাংস বাজারের চিত্রও অনুরুপ।

সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখেই বসানো হচ্ছে সাপ্তাহিক হাটবাজার। এদিকে দেশে করোনাভাইরাসে ক্রমেই মৃত্যু ও আক্রান্তে সংখ্য বৃদ্ধি পাওয়ার মূহুর্তে অত্র উপজেলা ব্যাপি স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলাচল করায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম কাজে আসবে কিনা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ জানান, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য জনগনকে সচেতন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলছে। এরপরও কেউ সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।